গুদামজাত করার আগে নকল সন্দেহে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) সাত ট্রাক সার জব্দ করেছে বগুড়া বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) কর্তৃপক্ষ। ট্রাকগুলোতে ৯৮ হাজার কেজি সার রয়েছে বলে জানা গেছে।
বগুড়া বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার কয়েক বস্তা সারের মান পরীক্ষার পর সন্দেহ হলে সার খালাস না করে সার ভর্তি ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়।
বাফা জানায়, গত রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাতটি ট্রাক বগুড়ায় পৌঁছায়। প্রতিটি ট্রাকে ২৮০ বস্তা সার রয়েছে। পরে সোমবার সকালে ২৪ বস্তা সার পরীক্ষা করে নকল ও ভেজাল বলে মনে হয় কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলো জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, বিপুল পরিমাণ নকল সারসহ কারখানার সন্ধান
মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। মঙ্গলবার সারগুলো ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য একটি টিম আসবে। সারগুলোর পরিবহন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন।
ট্রাকচালক আব্দুল আউয়াল বলেন, শনিবার পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সাতটি ট্রাকে সার লোড করে রবিবার রাত ৩টার দিকে বগুড়া বাফার গুদামে পৌঁছাই। সকালে কর্মকর্তারা নকল সন্দেহে ট্রাকগুলো জব্দ করে।
আরও পড়ুন: ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
দেশে কৃষকদের জন্য সার উৎপাদনের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণে সার আমদানি করে থাকে বিসিআইসি। দেশের ২৪টি বাফার গুদামের একটি বগুড়ার পুরান বগুড়া তিনমাথা এলাকায় অবস্থিত। বিদেশ থেকে আমদানি করা সার এখানে সংরক্ষণ করা হয়। বগুড়ার সার আসে সাধারণত সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নৌ-বন্দর থেকে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার পরিবহন করা হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী, পরিবহন ঠিকাদারের মাধ্যমে গুদামে আসা সার সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দিলে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের (ঠিকাদার) ম্যাটেরিয়াল রিসিভ রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্ট দেখিয়ে পরিবহন ঠিকাদাররা তাদের প্রাপ্ত টাকা বুঝে নেন। এরপর বগুড়া গুদাম থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার সরবরাহ করা হয়।