সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
বুধবার মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে পিএইচডি গবেষণা ফলাফলের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করে সফল বিশ্বনাথের নাজিম
অনুষ্ঠানে আরেকটি গবেষক দল জানায়, ডিএনএ বারকোডিংয়ের মাধ্যমে জেনেটিক পদ্ধতিতে একই প্রজাতির মাছ শনাক্তের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষাবাদ পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের ড. শামীমা নাসরীনের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
এছাড়া ‘সয়াগ্রোথ বোস্টার’ নামক প্রোটিন পরিপূরকের পেটেন্ট পেয়েছেন মৎস্য চাষ বিভাগের ড. মোহাম্মদ এনামুল কবির। এটি মৎস্য, ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পে প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক কুয়াশা (সি-ফগ) নির্ধারণ ও এর স্থানান্তর প্রক্রিয়া নির্ণয়ের মাধ্যমে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা রোধ করার আরেকটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আহমেদ হারুন-আল-রশীদ। তিনি এই প্রযুক্তির প্যাটেন্ট অর্জন করেছেন বলে সেমিনারে নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪ জেলার ৬০ হাজারের বেশি মৎস্য চাষি পাচ্ছেন আর্থিক সহায়তা
পুনরায় ৪ দেশে বাজার ফিরে পেয়েছে খুলনার কাঁকড়া
ইউরোপে কমলেও, খুলনাঞ্চলের চিংড়ির রপ্তানি বেড়েছে জাপানে
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু সাঈদ।
সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মৎস্য চাষ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোহা. তরিকুল আলম, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর ব্যাপারী, ড. মো. তাওহীদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।