বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরের তালিকায় গত দুই-তিন দিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর চিরাচরিত অবস্থানে খুব বেশি লক্ষ করা যায়নি। তবে ছোট্ট বিরতির পর ফের এই তালিকায় ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর জায়গা করে নিলেও মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টায় ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছিল লাহোর, আর সূচক ১৫৬ নিয়ে তিনে ছিল দিল্লি। তবে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা। ১৬৫ একিউআই স্কোর ছিল শহরটির।
এ ছাড়া, ১৫৫ ও ১৫৩ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম শহর ছিল যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও উগান্ডার কাম্পালা।
অর্থাৎ, তালিকার শীর্ষ পাঁচ শহরের বাতাসের মানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানে আজ কিছুটা উন্নতি
তবে ঢাকার বাতাসের মান আজ কোনো প্রকার ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতেই নেই। একই সময়ে ৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস ছিল ‘মাঝারি’। একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। আর ৫০ বা তার কম হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
৭৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ২১তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।