আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ৭ম বাপা ফুড প্রো আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত কৃষকরা ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবং এ বিষয়ে একটি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, সরকার ধান সংগ্রহের ঘোষণা দেয়ার পর ধানের দাম মণ প্রতি ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে যা কৃষকদের জন্য ইতিবাচক খবর। তবে মূল্যবৃদ্ধি ও হ্রাস নিয়ে মন্ত্রণালয় সবসময়ই উভয় সংকটে থাকে।
‘দাম কমে গেলে আমরা সমালোচনার শিকার হয়েছি এবং বেড়ে গেলে চাপের মুখোমুখি হয়েছি,’ বলেন মন্ত্রী।
প্রচুর চাল মজুত থাকা সত্ত্বেও মিডিয়া রিপোর্টগুলোতে চালের দাম বৃদ্ধির খবর উঠে আসছে এবং গত এক সপ্তাহে দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে, বলেন তিনি।
‘একসময় বাংলাদেশে খাদ্যের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও এটি খাদ্য উৎপাদনে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী।
‘বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় আবাদি জমিগুলো দ্রুত সংকুচিত হচ্ছে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি জাতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ,’ বলেন রাজ্জাক।
বাংলাদেশ থেকে কৃষি পণ্যের রপ্তানি ৪০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনকে (বাপা) ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
বাপা সভাপতি আ ফ ম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে, এফএওর এদেশীয় প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের ওপর তিন দিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাপা।