চৈত্রের দাবদাহের মতো এই বৈশাখের গরমেও অতিষ্ঠ জনজীবন। এখন বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির ছন্দে স্বস্তিতে ফেরার প্রার্থনা সবার।
প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের তাপদাহে। মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া অসহনীয় গরম আর তাপদাহে বিমর্ষ প্রাণ-প্রকৃতি।
এদিকে সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা ৯ম
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাকিবুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর বাজারের ভ্যানচালক লিপু মিয়া বলেন, ব্যাটারিচালিত চার্জার ভ্যান চালাতে কষ্ট নেই। কষ্ট এ রোদে যাত্রী নিয়ে যেতে।
আর বেশি তাপের কারণে মানুষ বের হয় না, এ জন্য আয় রোজগার কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন মার্কেটের ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি শিলন আলী বলেন, গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। মার্কেটে প্রচুর গরম থাকায় দিনের বেলা অনেকটা ফাঁকা থাকছে।
দিনমজুর সামসুল বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
রাস্তার পাশে বসে বেল ও কলা বিক্রেতা মুনছুর আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। গাছের নিচে শুয়ে-বসে কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
তরমুজ ও ডাব বিক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, এতো গরম, তারপরও দিনের বিক্রি নেই। কিন্তু এই তাপদাহে দোকানে বসে থাকায় কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক লিয়াকত জানান, গরমের কারণে দিনের বেলায় তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। আর সন্ধ্যার পরও গরমের কারণে ভাড়া নেই।
আরও পড়ুন: উপসাগরীয় এলাকায় নিম্নচাপ; মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে