সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৩৬। বাতাসের মানের উন্নতি হলেও এটা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মানুষ ও গণপরিবহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করায় এবং শনিবারের বৃষ্টির কারণে বাতাসের মানের উন্নতি হয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, আফগানিস্তানের কাবুল এবং চীনের চেংদু যথাক্রমে ১৮৩, ১৬৭ এবং ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্ষা মৌসুমে দূষণ কিছুটা কমে।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।