বৃহস্পতিবারও ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৫ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা ৩৮তম স্থানে রয়েছে।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর‘মধ্যম’বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, সৌদি আরবের রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ১৫৮, ১৫৬ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মান পাল্টে ঢাকার বাতাস ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য বায়ু দূষণ শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।