দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা প্রায় বেশি থাকে, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি এরমধ্যে অন্যতম। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতভরের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ১৬০ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল লাহোর। ১৫৩ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানেই রয়েছে দিল্লি। দুটি শহরের বাতাসই বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
তবে রাতভরের বৃষ্টির আজ ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে। যদিও বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকালে রাস্তাঘাটে জমা হাঁটু-সমান পানি পেরিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ।
অবশ্য বৃষ্টির কারণে আজ রাজধানীবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও, নিশ্বাস নিতে পারছেন স্বাস্থ্যকর বাতাসে। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, শহরটির বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ৪৪ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৮৪তম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫০। এই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ঢাকা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।