গত দু-তিন দিনে ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি, আবার কড়া রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মানুষজন। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির বিষয় হলো, আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি চলে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬০। যদিও এই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে শহরটির বাতাস। তবে একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।
গতকালের লক্ষণীয় অবনতির পর আজকের এই পরিবর্তন সত্যিই ইতিবাচক। কারণ গতকাল এই সময়ে ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। তবে আজ ৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার ৪৫তম স্থানে রয়েছে শহরটি।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
এদিকে, গতকাল ৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার দশম স্থানে থাকা ভারতের দিল্লি আজ ১৪৯ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। একই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর। গতকাল শহরটির স্কোর ছিল ১১৮।
আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৫।
এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।