সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টায় একিউআই সূচকে ৫২ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৫৮তম স্থানে আছে বাংলাদেশের জনবহুল এই রাজধানী।
এদিকে উগান্ডার কাম্পালা, ইন্দোনেশিয়ার মেদান ও জাকার্তা যথাক্রমে ১৬৯, ১৬৩ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক প্রতিদিনের বাতাসের মানের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। একটি শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত এবং কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে সেটি এই সূচকে তুলে ধরা হয়।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যুহার বেড়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সর্বকালের উষ্ণতম দিনের রেকর্ড ভেঙেছে ২২ জুলাই