এর মধ্যে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যুলেট হতে প্রায় ৮ হাজার অভিবাসী বাংলাদেশিকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার অংশ হিসেবে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ফুড বাস্কেট বিতরণ শুরু করে দূতাবাস ও কনস্যুলেট।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৩ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে কারফিউ চলছে। এ অবস্থায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
চলমান কারফিউ ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের কাছে সুপার শপের কুপন মোবাইলে বিতরণ করা হচ্ছে যা দিয়ে প্রবাসীরা সহজেই কাছের কোনো আউটলেট থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারবেন।
এছাড়া, দূতাবাসের আওতায় সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে স্থাপিত প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা রিয়াদ, বুরাইদা, হাইল, দাম্মাম, জুবাইল ও আল হাসা শহরে প্রায় এক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে সহায়তা প্রদান করেছে।
এদিকে, রিয়াদের সম্মিলিত আওয়ামী পরিবারের পক্ষ হতে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি অভিবাসীকে সহায়তা করা হয়েছে এবং আরও প্রায় দুই হাজার অভিবাসীকে সহায়তা করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দেশটির দাম্মাম শহরের বাংলাদেশ সোসাইটি ও বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশিকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সামাজিক সংগঠন অভিবাসীদের সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম বিষয়ে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ জানান, যারা সহায়তার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছেন তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বরাদ্দ অনুযায়ী যত বেশি সংখ্যক প্রবাসীকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া যায়। সেই সাথে কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও সচ্ছল ব্যক্তিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা যেন চাকরিচ্যুত না হন এ বিষয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।