তবে, খেলনা ড্রোনগুলোর ওজন পাঁচ কেজির বেশি হতে পারবে না এবং এগুলো ৫০০ ফুট উচ্চতার ওপরে উঠতে পারবে না বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এতে যুক্ত হয়েছিলেন।
বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ নীতিমালায় ড্রোনগুলোকে চারটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে- (ক) বিনোদন ও আনন্দের জন্য খেলনা ড্রোনের ওজন পাঁচ কিলোগ্রামের কম, (খ) কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না, (গ) বাণিজ্যিক কাজের জন্য এবং (ঘ) রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
তিনি বলেন, বিনোদন বা খেলার জন্য এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ-বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জরিপ করার জন্য বা কোনো বই লেখার জন্য কোনো অনুমতি লাগবে না। পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি জরিপ চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেবে। ড্রোন কোথায় ওড়ানো যাবে বা যাবে না সেজন্য গ্রিন, রেড এবং ইয়োলো জোন করে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দর এবং সামরিক এলাকার মতো কেপিআইতে (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন) ড্রোন ওড়ানোর জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে শুধু বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিলেই হবে না সেই সাথে কেপিআই কর্তৃপক্ষেরও অনুমতি নেয়া লাগবে।