বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়। তাই আমি সকলের কাছে বলতে চাই এসব অপপ্রচারে কান দেবেন না।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং বীরশ্রেষ্ঠদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে (বাজারে) পেঁয়াজ নেই, লবণ নেই। এটা নেই সেটা নেই। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমি জানি এটা (অপপ্রচার) করবে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাকে মোকাবিলা করেই আমাদের চলতে হবে। আমরা সেভাবেই চলছি। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ এখন একটি খাদ্য-উদ্বৃত্ত দেশ।’
মাছ ও সবজির উৎপাদনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার খাদ্য ও পুষ্টির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি বিজয়ী জাতি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। (মুক্তিযুদ্ধের গল্প ভাগ করুন) যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে যে আমরা কিভাবে একটি বিজয়ী জাতি হয়েছি।’
অনুষ্ঠানে সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবার, বীরত্বের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১০১ জন অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ জন- সেনাবাহিনীর আট, নৌবাহিনীর দুই এবং বিমানবাহিনীর তিন সদস্যকে ‘শান্তি পদক ২০১৮-১৯’ হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দীক এবং তিনটি বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান।