টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের এটা দ্বিতীয় বাজেট। আর বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি দ্বিতীয় বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি গতানুগতিক ধারার কোনো বাজেট নয়। করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা থাকছে।
করোনার কারণে এবারের অধিবেশনে মিডিয়া কাভারেজের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। তাদের জন্য বাজেটের নথি সংসদ ভবনের বাইরে পশ্চিম পাশের মিডিয়া সেন্টার থেকে বিকাল সোয়া ৩টায় বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘বাজেট ডকুমেন্টস’ শিরোনামের প্যাকেটে বাজেট বক্তৃতা, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, সম্পূরক আর্থিক বিবৃতি ও মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি জাতীয় সংসদ থেকে সরবরাহ করা হবে।
বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd থেকে বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবে এবং দেশ বা বিদেশ থেকে উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ প্রেরণ করা যাবে। প্রাপ্ত সব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনা করা হবে এবং জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদনের সময়ে ও পরে তা কার্যকর করা হবে।
ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, এনবিআর, পরিকল্পনা কমিশন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, তথ্য অধিদপ্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটেও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।
বাজেট উপস্থাপনের পর দিন শুক্রবার বেলা ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এতে অংশগ্রহণ করা যাবে।