‘এই ভাষণে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও উল্লেখ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন,অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না’, বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের সকল প্রস্তুতির উল্লেখ ছিল এই ভাষণে। এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন বাজী রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের কিছুকাল পরে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা নিহত হওয়ার কারণে তিনি জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করে যেতে পারেননি।
জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
‘২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করতে পারলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে’, বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
আলোচনা সভার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।