অবৈধ উপায়ে অর্জিত আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এএইচএম ফুয়াদের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তবে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
২০২০ সালের ২৬ জুন ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় বহিষ্কৃত ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস চাকরিচ্যুত
এ মামলায় ২০২১ সালের ৩ মার্চ এএইচএম ফুয়াদ, বরকত, রুবেল, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হোসেন লেভী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে ফারহান, যুবলীগ নেতা ফাহান বিন ওয়াজেদ ফাইনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রাজাকার খোকন ও বাচ্চুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত বরকত জেলার ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন।
এদিকে তার ভাই রবিউল কখনও সাংবাদিক না হয়েও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ দখল করেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হাসান ও যুবলীগ নেতা এএইচএম ফুয়াদের আশ্রয়ে ও সুপারিশে দুই ভাই টেন্ডারবাজি, কমিশন, মাদক ব্যবসা ও পরিবহন খাত থেকে চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
মামলায় উল্লেখ আছে, এই সম্পদের মধ্যে দুই হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
চার্জশিটে নাম থাকা ১০ জনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ফুয়াদ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে এর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১