জামিন আবেদন
১০ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা শুনানি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এসব মামলায় তার জমিন আবেদন নিষ্পত্তি না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন শুনানি ৩ জানুয়ারি: হাইকোর্ট
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিটে বলা হয়, ১০টির মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন। এ রিট দায়েরের পর একটি মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিটের পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, সিএমএম আদালতে বিচারাধীন ১০টি মামলায় মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর আদালত গ্রহণ করেননি।
এমতাবস্থায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুলের শুনানি রবিবার
১০ মাস আগে
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদদীন মেজবাহ।
তিনি বলেন, সিএমএম আদালতের জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আমরা জামিনের আবেদন দাখিল করেছি।
আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়েছে। তবে জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা আসেন। তারা লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট-পাটকেল ও ককটেলসহ নানা রকম অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধিক বাস-পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ইট-পাটকেল এবং ককটেলসহ (বিস্ফোরক) বেআইনি সমাবেশ ঘটায়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারণের ও যানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে। যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
১১ মাস আগে
দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৪ জুন) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘এ দুই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত জামিন দিতে চাননি। তখন তার আইনজীবী আবেদন দু’টি ফেরতের আবেদন জানান। তখন আদালত আবেদন দু’টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানা ২০২১ সালের এপ্রিলে দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
১ বছর আগে
অর্থ পাচার মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস’র জামিন মঞ্জুর
অবৈধ উপায়ে অর্জিত আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এএইচএম ফুয়াদের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তবে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, জামিন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
২০২০ সালের ২৬ জুন ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় বহিষ্কৃত ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস চাকরিচ্যুত
এ মামলায় ২০২১ সালের ৩ মার্চ এএইচএম ফুয়াদ, বরকত, রুবেল, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হোসেন লেভী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে ফারহান, যুবলীগ নেতা ফাহান বিন ওয়াজেদ ফাইনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রাজাকার খোকন ও বাচ্চুর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত বরকত জেলার ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন।
এদিকে তার ভাই রবিউল কখনও সাংবাদিক না হয়েও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ দখল করেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হাসান ও যুবলীগ নেতা এএইচএম ফুয়াদের আশ্রয়ে ও সুপারিশে দুই ভাই টেন্ডারবাজি, কমিশন, মাদক ব্যবসা ও পরিবহন খাত থেকে চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফের এপিএস গ্রেপ্তার
মামলায় উল্লেখ আছে, এই সম্পদের মধ্যে দুই হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
চার্জশিটে নাম থাকা ১০ জনসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ফুয়াদ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে এর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১
১ বছর আগে
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে চার ট্রাস্টিকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে তারা হলেন- রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ। শাহবাগ থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগাম জামিন নিতে হাজির হলে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও আইনজীবী মিজান সাঈদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চার আসামি আগাম জামিন নিতে এসেছিল হাইকোর্টে। তাদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান। জামিন আবেদনকারী চারজন ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
২ বছর আগে
জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে দুর্নীতির মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিশেষ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ রাজা জানান, তিনি বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের আগে আত্মসমর্পণ করেন এবং মামলায় জামিন চান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যান এবং ৫ মে দেশে ফেরেন।
আরও পড়ুন: আইন মেনে দেশে ফিরেছেন হাজী সেলিম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ট্রায়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে হাইকোর্ট।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংসদ আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে এবং তার জামিন আদেশ বাতিল করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এই রায়ের পর সংবিধানের ৬৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাজী সেলিম এমপি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একই মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য।
সেলিমের জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করেছেন হাইকোর্ট। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।
২০০৭ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান সেলিম।
২০১১ সালে আদালত তার সাজা বাতিল করে, তবে দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে আবেদনের পুনঃশুনানি করতে বলেন।
২০২০ সালে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য তার ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করার পর সেলিমের অনিয়ম আবারও আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
২ বছর আগে
দুদকের মামলায় খুলনায় সাবেক ওসি সস্ত্রীক কারাগারে
অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক এবং তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনিরুজ্জামান (যুগ্ম মহানগর-২) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক খুলনার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান জানান, জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সাবেক ওসি ও তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তারা। উচ্চ আদালত তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পাননি দুদকের সাবেক পরিচালক বাছির
তিনি আরও বলেন, মামলায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়লেও তদন্তে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের আরও প্রায় ৫১ কোটি টাকার অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পাওয়া গেছে। যা মামলার এজাহারে সম্পৃক্ত হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক খুলনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর ছিলেন।
জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (১) ও ৪ (২) ধারায় সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুইটি মামলা হয়। এর মধ্যে আয় বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদক ৮/২১ নম্বর মামলা এবং ওই সম্পদ স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে হস্তান্তরের অভিযোগে সুলতানা রাজিয়া পারুল এবং শেখ আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদক ৯/২১ নম্বর মামলা দায়ের হয়।
দুদকের উপসহকারি পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দু’টি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
২ বছর আগে
পরীমণির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর
বনানী থানার দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন করা হয়েছে। রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে পরীমণির পক্ষে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান এ জামিন আবেদন করেন। বিচারক আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে জামিন পায়নি। এবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেছি। ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানি হবে।
তিনি জানান, অনেকদিন ধরে পরীমণি কারাগারে আছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। তার পেশাগত কাজ আটকে আছে। শুটিং বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, সবকিছু বিবেচনায় রেখে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
এর আগে শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে পরীমণিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এসময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীমণিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
পরীমণির পক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। ১০ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ।
এরও আগে মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়।
৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে পরীমণি
পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
৩ বছর আগে
বিএনপির চার নেতা কারাগারে
সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক দুটি মামলায় জেলা বিএনপির চার নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগাঁর ১ নং আমলী আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাজুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মোফাখারুল ইসলাম (তারা), জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম গোল্ডেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান মাস্টার বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ নওগাঁ সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক দুই মামলায় এই চার বিএনপি নেতাসহ অজ্ঞাত আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবি জানাল বিএনপি
৩ বছর আগে
কার্টুনিস্ট কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ বুধবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাবন্দী কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের করা জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী বুধবার দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া একই মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা এফিডেডভিট আকারে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
৩ বছর আগে