ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির অভাবে খরার মতো পরিস্থিতির কারণে সময়মতো পাট কাটা ও আমন চাষ ব্যাহত হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলার আমন ও পাট চাষিরা।
উর্বর মাটির কারণে এ জেলায় ধান, পাট, ভুট্টা, গম ও আখের প্রচুর চাষ হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালেও বৃষ্টি না হওয়ায় প্রাকৃতিক আঁশ পচানো ও প্রক্রিয়াজাত করতে সমস্যায় পড়েছেন পাট চাষিরা।
পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জাগ দিতে না পারায় পাট চাষিরা তাদের পাট কাটাচ্ছেন না। প্রতি বছর এই মৌসুমে তারা পাট কাটান এবং পচানোর জন্য পানির নিচে রাখেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তারা জানান, এখন পাট না কাটা হলে আমন চাষিরা একই জমিতে সময় মতো আমন ধান চাষ করতে পারবে না। এতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
জেলার আমন চাষিরা অনেকাংশেই বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ আমনের জমিতে সেচের ব্যবস্থা নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ১ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে যা গত বছর ছিল ১ হাজার ২২২ হেক্টর।
সাধারণত কৃষকরা ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই আমন ধান চাষ করলেও এ বছর জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও আমনের বীজতলা তৈরি করতে পারেননি।
সদর উপজেলার কৃষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে। আমন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি কিন্তু এখন বৃষ্টির কোনো লক্ষণ নেই।’
রহমত নামে এক পাট চাষি বলেন, সব খাল-বিল শুকিয়ে গেছে এবং পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় পাট কাটাতে ব্যর্থ হয়েছি।