চাষি
পাবনায় প্রচণ্ড খরায় ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি, মাথায় হাত চাষিদের
চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ও খরার কারণে পাবনা জেলায় লিচু উৎপাদন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
দেশের অন্যতম লিচু উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা। কিন্তু চলতি বছরের তাপপ্রবাহে গাছ থেকে লিচুর গুটি ঝরে পড়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
চলতি মৌসুমের শুরুতে লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করলেও চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির কারণে ৫০ শতাংশ মুকুল ঝরে গেছে।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
অন্যদিকে গ্রীষ্মের শুরুতে প্রচণ্ড গরমের কারণে লিচুর গুটির একটি বড় অংশ এখন ঝরে পড়ছে।
গ্রীষ্মের দাবদাহ অব্যাহত থাকলে এ বছর লিচু চাষিদের বিপুল অংকের লোকসান গুনতে হবে।
এরই মধ্যে যেসব পাইকারি ব্যাপারি মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাগান কিনেছেন তাদের এখন মাথায় হাত। তাদের লাভ তো দূরের কথা লোকসানের আশঙ্কায় শঙ্কিত।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঈশ্বরদী উপজেলায় আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮ হাজার ৮০১ টন।
পাবনার বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে জানা গেছে, ফাল্গুনের শুরুতে প্রতিটি লিচু গাছে যথেষ্ট পরিমাণ মুকুল এসেছিল। এবার মুকুল দেখে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল। গাছে গাছে প্রচুর মুকুল দেখে ব্যাপারিরা আগাম বেশি দাম দিয়ে বাগান কিনে নেয়। কিন্ত চলমান খরায় এবং চৈত্রের শেষ দিকে কয়েক দফায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ মুকুল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এবার হতাশা দেখা দিয়েছে লিচু চাষিদের মাঝে।
সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আগাম বাগান কিনে রাখা ব্যাপারিরা। তাদের বিনিয়োগের অর্ধেক টাকাও ফেরত আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর গ্রামের লিচু চাষি মিরাজুল শেখ জানান, বৃষ্টিতে লিচুর মুকুলের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ গাছেই নষ্ট হয়ে গেছে। গ্রীষ্মের শুরুতে যখন মুকুল থেকে গুটিতে পরিণত হচ্ছিল, সে সময় মাত্রাতিরিক্ত খরার কারণে গুটির একটি বড় অংশ ঝরে পড়েছে। তার বাগানের প্রায় ৫০০ গাছের প্রতিটি গাছেই ৫০-৬০ শতাংশ মুকুল গুটিতে পরিণত হতে পারেনি। তার আগেই ঝরে গেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
ঈশ্বরদীর গরগরি বাগান ক্রেতা মনিরুল জানান, তিনি ২৫ লাখ টাকার বাগান কিনেছেন। গাছ ভর্তি মুকুল দেখে তিনি আশায় বুক বেঁধে বেশি দাম দিয়ে কেনেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি চরম হতাশ। তার ১০ লাখ টাকার লিচুও বিক্রি করতে পারবেন কি না এই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ নিয়মিত গাছে পানি স্প্রে ও সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কিন্তু বিশাল বিশাল বাগানে এটা বাস্তবায়ন করা মোটেও সম্ভব হচ্ছে না।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সাধারণত গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে সে পরিমাণ লিচুর ফলন হয় না। প্রাকৃতিক নিয়মে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফল উৎপাদন হয়। সে দিক থেকে খরায় কিছুটা ক্ষতি হলেও এখনো লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
ঈশ্বরদী উপজেলার লিচু চাষি ও ব্যবসায়ী শেখ মেহেদি হাসান বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষকদের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ নির্ভর করে লিচুর উৎপাদনের উপর। লিচুর বাম্পার উৎপাদন হলে এ অঞ্চলের কৃষকরা লাভবান হবে। ফলন বিপর্যয় হলে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, কৃষকদের দাবি সঠিক নয়। গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে, তা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফল হয়, বাকি মুকুল ঝরে যায়। এ বছর স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মুকুল এসেছে। যে পরিমাণ মুকুল এসেছে তার অর্ধেক ফলন হলেও লিচুর ভারে ডাল ভেঙে পড়ার কথা। তবে খরার কারণে লিচুর ক্ষতি হচ্ছে। দাবদাহ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে গাছগুলো শুষ্ক হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের প্রতিনিয়ত গাছের উপরের দিকে পানি স্প্রে করতে এবং গাছের গোঁড়ায় পরিমাণ মতো পানি দিতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
৬ মাস আগে
ফরিদপুরে ১৫১.৩৮ কোটি টাকার সরিষার ফলনের প্রত্যাশা চাষিদের
বতর্মানে সরিষার তেলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া আর স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষিকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া বেড়েছে আবাদ। এ কারণে গত বছরের তুলনায় কয়েক হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে ফরিদপুরের কৃষকেরা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় বাজারের ভোজ্য তেলের দর বৃদ্ধিতে এবার ফরিদপুরে বেড়েছে ফরিদপুরে সরিষার চাষ। রবি মৌসুমের ফসল হিসেবে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠেই এবার আবাদ বেড়েছে সরিষার।
সার, ওষুধ, পানি ও অল্প পরিচর্যায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় দিন দিন সরিষা আবাদে ঝুকছে চাষিরা। জেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, গোলডাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাঠে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে সরিষা ফুল।
সরেজমিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত বড় হয়ে উঠেছে। হলুদ ফুলে ফুলে ভড়ে উঠেছে মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুলে ভরা সরিষার গাছ।
আরও পড়ুন: খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
৯ মাস আগে
বাগেরহাটে ঘের থেকে মাছ চাষির লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে এক চাষির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার রাকালগাছি ইউনিয়নের সুনগর এলাকায় নিজ মাছের ঘের থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহত সালাম হাওলাদার (৫৭) ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকি গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি।
নিহতের স্বজনরা জানায়, সালাম হাওলাদার সুনগর এলাকার আবেদ হাওলাদারের জমি লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে খাবার শেষে ঘের পাহারার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সালাম হাওলাদার। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি না ফেরায় তার স্বজনরা ঘেরে যান। দরজা ভেঙে খাটের নিচে সালাম হাওলাদারের লাশ দেখতে পান তারা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো করেছে।
তিনি আরও জানান, এঘটায় থানায় অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
ফুলের ভালো দাম পেয়ে খুশি গদখালীর চাষিরা
মৌসুমের শুরুতেই ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীতে ফুলের আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি ফুল চাষিরা।
ফুল খেতগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়েছেন তারা। প্রতিটি ফুল শেড এক একটি স্টলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। গদখালীর পানিসারা হাড়িয়া ফুল মোড়ের খেতগুলো আরও দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে।
এদিকে এক সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে ফুলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরাসহ বিভিন্ন ফুল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যাপ্ত মুকুল আসলেও পরিচর্যা খরচ বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেন আম চাষিরা
ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, মূল্য চড়া হলেও চাহিদা থাকায় তারাও ভালো ব্যবসা করছেন।
স্থানীয় ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলে মৌসুমের সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশিত ফুল বিক্রি করে তারা বেশ লাভবান হবেন।
দেশে ফুলের উৎপাদনের মূল অঞ্চল যশোরের গদখালীসহ আশপাশের এলাকা। মূলত ডিসেম্বর মাসের বিজয় দিবস থেকে এখানকার ফুলের মৌসুম শুরু হয়।
এসব কারণে গত কয়েক মাস ধরে কৃষকদের পরিশ্রমে যশোরের গদখালীর মাঠে মাঠে ফুটেছে গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল।
বিজয় দিবসকে সামনে রেখে মৌসুমের প্রথম বাজারে ফুলের ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা।
বৃহস্পতিবার ভোরে গদখালীর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ৮ থেকে ১২ টাকা, গ্লাডিওলাস রঙ ভেদে ১২ থেকে ২৮ টাকা, জারবেরা ১০ থেকে ১৬ টাকা, রজনীগন্ধা ৫ টাকা, ১০০ চন্দ্রমল্লিকা ৫০০ টাকা, ১ হাজার হলুদ গাঁদা ৮০০ ও বাসন্তী কালারের গাঁদা ফুল ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষিদের দাবি হরতাল অবরোধে সমস্যা না হলে আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের বাজার নিয়ে আশাবাদী তারা।
গদখালীর ফুল চাষি শাহাজাহান আলী বলেন, করোনা, আম্পানসহ নানা কারণে গত কয়েক বছর ধরে ফুলের উৎপাদন ও দাম নিয়ে হতাশায় দিন কাটিয়েছেন। মাঝে মধ্যে লাভ হলেও তা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
এবছরও আমরা ভালো লাভের আশা করছিলাম। কিন্তু ফুল উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে এসে হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা কমে যায়। তবে শেষমেষ বিজয় দিবসের বাজারে এসে ফুলের ভালো দাম পেয়ে বেশ খুশি আমরা।
অপর ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, সার-কীটনাশক, সেচ, শ্রম খরচসহ আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই ফুল চাষ খুব দূরুহ হয়ে পড়েছে। তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে আমাদের শোচনীয় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। তবে আশা জাগিয়েছে বছরের প্রথম ফুলের বাজার পেয়ে। আশা করছি রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হয়ে ফুলের বাজার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, এবছর মৌসুমের প্রথম বাজারে ফুলের দাম চড়া হওয়ায় বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমরা অনেকটা অনিশ্চয়তায় ছিলাম বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ভালো দাম পাবো কি না। কিন্তু সব শঙ্কা কেটে মৌসুমের প্রথম বাজারে ফুলের ভালো দাম পাচ্ছেন যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা।
তিনি জানান, চাহিদা থাকায় আসন্ন বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ, পহেলা ফালগুনেও বাজার নিয়ে আশাবাদী। এভাবে দাম পেলে এ বছর লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হাসান পলাশ বলেন, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এবছর ফুল চাষের জন্য আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে।
ফুল চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পানির জন্য হাহাকার, গাইবান্ধায় পাটচাষিরা বিপাকে
চুয়াডাঙ্গায় আমের দাম নিয়ে হতাশ চাষি ও ব্যবসায়ীরা
১০ মাস আগে
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সরিষা ঘরে তোলা নিয়ে এখানকার চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
জানা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের অতিরিক্ত দাম থাকার কারণে জেলার চাষিরা এবার সরিষা আবাদের প্রতি ঝুঁকে পরে। যে কারণে গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজার ইয়াছমিন (৩২) জানান, এই ইউনিয়নের লক্ষিগঞ্জ গ্রামের মেরজন খালাসি (৪৮), শাহাদত খা (৫০), মোকতার মোল্লা (৪৫), হালিম মোল্লা (৬৩), বারেক কাজি (৬৪), মিজান কাজি (৪৫), কালাম কাজি (৫০), নুর ইসলাম ফকির (৭০), বাবুল মুন্সি (৫০) ও আনু হাওলাদার (৩৫) এর সরিষা আবাদ ভাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া এলাকায় চলতি মৌসুমে অসংখ্য কৃষক সরিষা আবাদ করেছে।
এদিকে সরিষা চাষি মেরজন খালাসি জানান, বর্তমান মাদারীপুর পুরান বাজারে প্রতিমণ সরিষা তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক বিঘা (৬৩ শতাংশ) জমিতে ১২/ ১৩ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এতে ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুরের চারটি উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
১ বছর আগে
ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
খুলনার তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তিন সহস্রাধিক ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন চাষিরা।
চাষ করা সবজির মধ্যে লাউ, শসা, করলা, চিচিঙ্গা, টমেটো, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, এমনকি তরমুজও রয়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের প্রথম বাজার ধরতে ব্যস্ত যশোরের সবজি চাষিরা
জানা গেছে, ঘেরের পানিতে মাছ চাষ আর পাড়ে সবজি চাষ করে এসব এলাকার কৃষকেরা এখন স্বাবলম্বী। যদিও চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে যেমন মৎস্য চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি ঘেরের বেড়িতে শাক সবজির চাষও ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে খুলনার চুইঝালের কদর, যাচ্ছে থাইল্যান্ডে
আজগড়া এলাকার আলী গাজী জানান, সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকেরা ভালোই আছেন। সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এসেছে।
আজগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কৃষ্ণ মেনন রায় বলেন, ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে শুধু ঘের আর ঘের। বিশেষ করে আমার ইউনিয়নের ১০ হাজার লোকের বসবাস। এর মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষই ঘেরে মাছ ও সবজি চাষ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা
এ ব্যাপারে তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘের পাড়ে উৎপাদিত লাউ, করলা ও টমেটো ইতোমধ্যে উপজলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। কৃষকেরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এসব নিম্নাঞ্চলের মানুষের আয়ের একটা বিশাল অংশই সবজি চাষ থেকে আসে। তাছাড়া এই এলাকার সবজি জেলা শহরের সবজির চাহিদাও মিটিয়ে থাকে।
২ বছর আগে
পানি সংকটে ক্ষেতেই শুকাচ্ছে পাট, বিপাকে চাষিরা
খুলনাঞ্চলে চাষিদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ, হাসি নেই মুখে। পানি সংকটের কারণে পাটের জাঁক নিয়ে চরম হতাশায় পড়েছেন তারা। উত্তপ্ত রোদে চাষিরা ক্ষেতেই শুকাচ্ছে কেটে রাখা সোনালী আঁশ পাট। এ অবস্থায় কৃত্রিমভাবে সেচের মাধ্যমে পুকুর জলাশয়, খাল-বিলে পানি ভর্তি করে পাট জাঁক দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
একাধিক চাষি বলছেন, পাটের কাঙ্ক্ষিত চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও মিলছেনা সুফল। খাল-বিল, হাওর-বাওর, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, নর্দমাতে পরিপূর্ণ পানি না থাকায় চাষের জমিতেই শুকাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন ও হাড়ভাঙা পরিশ্রম। যে কারণে লাভ দূরের কথা এখন আসল নিয়ে টানাটানি ওই সকল চাষিদের।
পাট চাষ করতে গিয়ে চাষিদের মুখে হাত, কারণ নেই বৃষ্টি। বিকল্প পথ হিসাবে পাটের জাঁক দেয়া জন্য কৃত্রিমভাবে সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুকুর, ডোবা, খাল-বিলে পানির ব্যবস্থা করেছেন।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সাধারণত ষড়ঋতুতে আষাঢ়-শ্রাবন মাসকে বর্ষা হিসাবে বলা হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়া অফিসের ভাষায় জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল। অন্য বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত কম। কারণ খুলনা অঞ্চলে এবার মৌসুমী বায়ু বেশি সক্রিয় হয়নি। যদি মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হতো তবে বৃষ্টিপাত বেশি হতো। এছাড়া এ অঞ্চলে এবার নিম্নচাপ ও লঘুচাপের প্রভাব কম। নিম্নচাপ বা লঘুচাপ হলেও বৃষ্টিপাত বেশি হতো।
আরও পড়ুন: পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল সূত্রে জানা যায়, খুলনা অঞ্চল অধিভুক্ত রয়েছে চারটি জেলা নিয়ে। যার মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা। জেলাগুলোর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে উপজেলাও। চারটি জেলার সর্বমোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৬৩৩ হেক্টর। যার মধ্যে খুলনায় জেলার মেট্রোসহ বাকি উপজেলা সমূহে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮১ হেক্টর, বাগেরহাটের জেলার উপজেলা সমূহে ১ লাখ ২২ হাজার ২৩১ হেক্টর জমি, সাতক্ষীরা জেলার উপজেলা সমূহে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭২ হেক্টর ও নড়াইল জেলার উপজেলা সমূহে ৭৮ হাজার ৫৪৯ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে।
চলতি অর্থ বছর (২০২২-২৩) খুলনাঞ্চলের ৪ জেলার মধ্যে খুলনায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা খুলনায় ১৬১৩ হেক্টর, বাগেরহাটে ১৮২৭ হেক্টর, সাতক্ষীরায় ১১৫৮৮ হেক্টর ও নড়াইলে ২২৩৩৫ হেক্টর, সর্বমোট জেলা সমূহে পাটে চাষ হয়েছে ৩৭৩৬৩ হেক্টর। বিপরীতে ওই জেলা সমূহে পাট আবাদের অগ্রগতি খুলনাতে ১৩১৬ হেক্টর, বাগেরহাটে ১৯৫২, সাতক্ষীরায় ১১৫৭৯ হেক্টর ও নড়াইলে ২৩৩৪০ হেক্টর জমির। ৪ জেলায় পাট আবাদের অগ্রগতি সর্বমোট ৩৮১৮৭ হেক্টর জমি, অর্জন ১০২ শতাংশ।
অপরদিকে, পাটের আবাদকৃত জমি খুলনায় ১৩১৬ হেক্টর, বাগেরহাটে ১৯৫২ হেক্টর, সাতক্ষীরায় ১১৫৭৯ হেক্টর ও নড়াইলে ২৩৩৪০ হেক্টর জমি। খুলনায় ৪ অঞ্চলের সর্বমোট পাট আবাদকৃত জমির ৩৮১৮৭ হেক্টর জমি। পক্ষান্তরে, ওই সকল জেলায় পাট কাটার (কর্তনের) অগ্রগতি খুলনা ৫২০ হেক্টর, বাগেরহাট ১০৯৩ হেক্টর, সাতক্ষীরা ৪৫৫৫ হেক্টর ও নড়াইলে ১৭০০০ হেক্টর। ৪ জেলায় সর্বমোট ২৩১৬৮ হেক্টর, কর্তনের অগ্রগতির অর্জন ৬১%।
খুলনার স্থানীয় অঞ্চলসহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি না থাকায় বেশির ভাগ জমিতে পাট কর্তন অবস্থান টানা উত্তপ্ত রোদে পড়ে আছে। নেই পানি, পানির জন্য চাষি হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়া চাষিদের ঘাম ঝরানো ফসল এখন অনিশ্চয়তার দিকে। পাটের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন বা ফলন সন্তোষজনক হলেও মিলছেনা সুফল। খাল-বিল, হাওয়-বাওর, পুকুর-ডোবা, জলাশয়, নর্দমাতে পরিপূর্ণ পানি থাকা না থাকায় চাষের জমিতেই শুকাচ্ছে পাট। এমন দৃশ্য উঠে এসেছে। তবে বড় ক্ষতি বা লোকসান হতে পরিত্রাণ পেতে চাষিরা কৃত্রিম উপায়ে পানি সরবরাহ করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় এবার পাট উৎপাদনকারী চাষিরা পাট জাঁক দেয়া নিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তবে কৃত্রিমভাবে সেচের মাধ্যমে পুকুর জলাশয়, খাল-বিলে পানি ভর্তি করে পাট জাক দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক কৃষকই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এখনো যথেষ্ট সময় রয়েছে বর্ষার, হতাশার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের পাট ও আমন চাষিরা
নারায়ণগঞ্জে পাটের গুদামে আগুন
২ বছর আগে
চোরের ঘুষিতে চাষির মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদরে চোরের ঘুষিতে ৬৫ বছরের এক চাষির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মনু পাঠান একই গ্রামের মৃত আলী পাঠানের ছেলে, পেশায় মাল্টা চাষি।
আরও পড়ুন: সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মনু পাঠান বাড়ির পাশের ১৫ কাঠার একটি জমিতে মাল্টার আবাদ করেন। মাল্টা খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় তিনি ওই বাগান প্রতি রাতে পাহারা দিতেন। রবিবার রাতে বাড়ির ছাদ থেকে মাল্টা বাগান দেখছিলেন তিনি। এমন সময় দুই যুবক বাগানে ঢুকে ফল ছিঁড়তে থাকে। এই সময় মনু পাঠান বাগানে গিয়ে এক যুবককে ধরে ফেলেন। ওই যুবক মনু পাঠানকে কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত তরুণের মৃত্যু
ওসি জানান, অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
২ বছর আগে
পাটের দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
পাটের রাজধানী ফদিরপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে সোনালী আশ খ্যাত পাট। সংসারের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে উৎপাদিত এই পণ্য বাজারে এনে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা।
জেলার সালথা, নগরকান্দা, বোয়ালমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি হাটেই পাট উঠতে শুরু করেছে। তবে এবার সময় মতো পাট জাগের পানি না পাওয়ায় অধিক মূল্য দিয়ে ডিজেল চালিত সেলো মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থল থেকে পানি তুলে জাগ দিতে হয়েছে। এতে চাষিদের খরচ বেড়েছে। অথচ পাটের এই ভরা মৌসুমে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছে না তারা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সাড়ে ১০ লাখ বেল পাট উৎপাদন, দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
এদিকে, পাটের বাজার হিসেবে জেলায় প্রসিদ্ধ হাট কানাইপুর। সপ্তাহে শুক্র ও মঙ্গলবার এখানে বাজার বসে। তাই প্রান্তিক চাষিরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসে এখানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই বাজারে পাট উৎপাদন মৌসুমে প্রতি হাটে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার মণ পাট কেনা বেচা হয়। বর্তমানে কানাইপুর হাটে পাটের দর রয়েছে ২২শ থেকে ২৮শ টাকা। তবে দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা।
২ বছর আগে
অল্প বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের পাট ও আমন চাষিরা
ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির অভাবে খরার মতো পরিস্থিতির কারণে সময়মতো পাট কাটা ও আমন চাষ ব্যাহত হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জেলার আমন ও পাট চাষিরা।
উর্বর মাটির কারণে এ জেলায় ধান, পাট, ভুট্টা, গম ও আখের প্রচুর চাষ হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালেও বৃষ্টি না হওয়ায় প্রাকৃতিক আঁশ পচানো ও প্রক্রিয়াজাত করতে সমস্যায় পড়েছেন পাট চাষিরা।
পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জাগ দিতে না পারায় পাট চাষিরা তাদের পাট কাটাচ্ছেন না। প্রতি বছর এই মৌসুমে তারা পাট কাটান এবং পচানোর জন্য পানির নিচে রাখেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তারা জানান, এখন পাট না কাটা হলে আমন চাষিরা একই জমিতে সময় মতো আমন ধান চাষ করতে পারবে না। এতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: হাটের জন্য প্রস্তুত ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বারাকাত’
জেলার আমন চাষিরা অনেকাংশেই বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ আমনের জমিতে সেচের ব্যবস্থা নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট ১ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে যা গত বছর ছিল ১ হাজার ২২২ হেক্টর।
সাধারণত কৃষকরা ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই আমন ধান চাষ করলেও এ বছর জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও আমনের বীজতলা তৈরি করতে পারেননি।
সদর উপজেলার কৃষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে। আমন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেছি কিন্তু এখন বৃষ্টির কোনো লক্ষণ নেই।’
রহমত নামে এক পাট চাষি বলেন, সব খাল-বিল শুকিয়ে গেছে এবং পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় পাট কাটাতে ব্যর্থ হয়েছি।
২ বছর আগে