বৃষ্টি
দেশে বর্ষাকাল শেষ হলেও অক্টোবরে কেন বৃষ্টি?
বাংলাদেশে সাধারণত আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসকে বর্ষাকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি ক্যালেন্ডারে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসকে বৃষ্টিপাতের মৌসুম হিসেবে ধরা হলেও চলতি অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে।
অক্টোবরের এই বৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে এই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষরেখা (মনসুন এক্সিস) এই সময় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার কারণে এই বৃষ্টি হচ্ছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ২৬০ থেকে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ধরা হয়েছে ১৬৭ মিলিমিটার। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় সংস্থার এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১২ ঘণ্টায় ১০৭ মি.মি. বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি
বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
শহীদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সাধারণত জুন মাসে মৌসুমি বায়ুর অক্ষরেখা বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং অক্টোবরের মাঝামাঝিতে বিদায় নেয়। চলতি বছরের এই সময় অক্ষরেখাটি দেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে, যার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাধারণত অক্টোবরের ১৫ তারিখের মধ্যে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিলে দেশের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়।
বর্ষাকালের বৃষ্টিপাতের তুলনায় চলতি বছরে তা বেশি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শহীদুল আলম বলেন, গড় হিসেবে গত বছরের তুলনায় বিশেষ পার্থক্য দেখা যায়নি। পুরো বছরের তথ্য এখনো হাতে নেই। তবে মাসভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, জুনে বৃষ্টিপাত কম ছিল, জুলাইয়ে বেশি, আর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক ছিল।
৩১ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকালে রাস্তাঘাটে জমা হাঁটু-সমান পানি পেরিয়ে, মাথায় ছাতা নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে কর্মব্যস্ত মানুষদের। তবে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের সঙ্গে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—আজ ঢাকার বাতাসে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ২২। এই স্কোর ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়।
তাই বৃষ্টির কারণে আজ রাজধানীবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও, নিশ্বাস নিতে পারছেন তারা স্বাস্থ্যকর বাতাসে। টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রাও বেড়েছিল।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ১৭২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল ঢাকা। তবে বৃষ্টির প্রভাবে আজ স্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে তালিকার ১০৫তম স্থানে নেমে এসেছে নগরী।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোনো শহরের বাতাসই আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ নয়
সেদিক থেকে আজ বৃষ্টি ইতিবাচক হলেও, জলাবদ্ধতার কারণে ঢাকার মানুষদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৮। অন্যদিকে ১৬৩ ও ১৪০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৫০ দিন আগে
‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাসে বেড়েছে দূষণ
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের দূষণমান ‘মাঝারি’ থাকলেও প্রতিদিনই একটু একটু করে তার অবনতি হচ্ছে। আজও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১১৩, সংবেদনশীল মানুষের জন্য যা অস্বাস্থ্যকর। তবে সকালের হালকা বৃষ্টির পর সাড়ে ৯টার দিকে তা কমে ৯৯-তে উন্নীত হয়। এই স্কোর ‘মাঝারি’ হলেও ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হওয়ার একেবারেই কাছাকাছি।
৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। ৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই ছিল পাকিস্তানের করাচি।
তবে এই সময়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে ছিল দিল্লি ও লাহোর। ৮৪ ও ৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্দশ ও পঞ্চদশ স্থানে দেখা যায় শহর দুটিকে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর
অন্যদিকে, একই সময়ে ১৫৭ একিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা। ১৫২, ১৪৮ ও ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরের তিনটি স্থান দখল করে রেখেছিল যথাক্রমে বাহরাইনের মানামা, কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। আর গতকাল এই সময় ২৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে থাকা কাতারের রাজধানী দোহা আজ ১১৯ স্কোর নিয়ে ছিল তালিকার পঞ্চম স্থানে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৭৩ দিন আগে
চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সাগরে ৩ নম্বর সংকেত
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের সই করা এক বার্তা থেকে জানা যায়, দেশের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে সক্রিয় রয়েছে, যা অন্তত রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনাও রয়েছে।
কোনো নির্দিষ্টি এলাকায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণ হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করে আবহাওয়া অফিস।
৮১ দিন আগে
বায়ুদূষণে শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
বায়ুদূষণে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার প্রায়ই প্রথম দিকে থাকতে দেখা যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাকে। আজ এই তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে শহরটি। কম বৃষ্টিপাত, যানবাহন ও শিল্প কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া ও খোলা পরিবেশে বিভিন্ন জিনিসপত্র জ্বালানোর কারণে জার্কাতার বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল জাকার্তা। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আইকিউএয়ার বলছে, সাধারণত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাকার্তার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এ সময় শহরটির বায়ুদূষণের মান বাড়তে দেখা যায়।
একই সময়ে ১৫২ ও ১৪৩ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা ও কঙ্গোর কিনশাসা।
এদিকে, ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও গতকালের তুলনায় দূষণের মান কিছুটা কমেছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৭৫। আজ কিছুটা কমে সেটি হয়েছে ৬৪। এই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ২৯তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে মাদ্রিদ, ঢাকার আরও অবনতি
সকাল থেকেই রাজধানীতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরছিল। এর প্রভাবে গতকালের তুলনায় আজ বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা দিয়েছে। তবে এখনো তা স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারেনি।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৮৩ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘মাঝারি’
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৮৫ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আজ ভোরের বৃষ্টির প্রভাব
গতকাল দিনের বেশিরভাগটা রৌদ্রজ্জ্বল থাকলেও ভোরের দিকে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়, সকালেও যে ধারা অব্যাহত ছিল। আর বৃষ্টির প্রভাবে সকালে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সড়কে যানজট ও কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড় থাকলেও ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’ হয়ে উঠেছে। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের দূষণ-মান ছিল ৫০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোর ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। অথচ গতকাল এই সময়ে ১২২ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার অষ্টম স্থানে উঠে গিয়েছিল রাজধানী শহর।
এদিকে, আজও দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি। তবে গতকাল সকালের চেয়ে আজ শহরদুটির দূষণ অনেকটা কমেছে। এ ছাড়া গত দুদিনের মতো আজও বাতাসের মানেও তাদের কাছাকাছি থাকতে দেখা গেছে। যেখানে ১০২ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৯৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে লাহোর। গতকাল এই সময়ে লাহোরের ১৫৯ এবং দিল্লির বাতাসে দূষণের স্কোর ছিল ১৫২।
আরও পড়ুন: দিল্লি লাহোরের আরও অবনতি, ঢাকার বাতাসে ‘লক্ষণীয়’ দূষণ
একই সময়ে ১৫৮ স্কোর নিয়ে আজও তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। ১২৪ ও ১০৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দুই শহর— জাকার্তা ও মেদান।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৮৬ দিন আগে
বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি, দাবানলের ধোঁয়ায় আজও কানাডার বাতাসে দূষণ
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকালেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ছিল। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার বাতাসে, দূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৫৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৫৪ত স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, শহরটির বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
কারণ এই স্কোর ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৭৯। সে তুলনায় আজ অনেকটা উন্নতি হয়েছে। যদিও আজও শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, কানাডার প্রেইরি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়ার প্রভাবে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে। এরমধ্যে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে চলে এসেছে কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিল শহর। আজও কানাডার বিভিন্ন শহরে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের সতর্কতা জারি রয়েছে।
১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টরেন্টা এবং ১৫২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মন্ট্রিল।
এই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা এমন দূষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
একই সময়ে আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা, স্কোর ছিল ১৫৫।
আরও পড়ুন: দাবানলের ধোঁয়ায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসে দূষণ, ঢাকার কী অবস্থা
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৯৯ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে কেমন ছিল ঢাকার বাতাসের মান
আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেলেও সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসে বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি; সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে রয়েছে।
আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৫। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী বলা যায়, ‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাস ‘ভালো’ হয়ে ওঠার থেকে খুব বেশ দূরে নেই। কারণ এই সূচক ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই সপ্তাহে ঢাকার বায়ুদুষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গত শনিবার (২৬ জুলাই) ৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিতেই ছিল ঢাকার বাতাস। পরের দিন তা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়, রবিবারের একিউআই স্কোর ছিল ৫৮।
তবে সোমবার বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মানে বেশ অবনতি হয়। ওই দিন ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯২। যেখানে এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর মঙ্গলবার তা আবারও কিছুটা উন্নতি হয়ে স্কোর ওঠে ৮৬-তে। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার ২০তম স্থানে নেমেছিল ঢাকা।
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি
পরদিন বুধবার সকালে আরও কিছুটা উন্নতি হয়, সেদিন ঢাকার একিইআই স্কোর ছিল ৭৭। সেই ধারা গতকালও অব্যাহত ছিল। রাতভর ও সকালের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি হয়; একিউআই স্কোর উঠে আসে ৫৮-তে।
আজ আরও উন্নতি হয়েছে। ৫৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৬৩তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। সাধারণত নিচে নামা নেতিবাচক হলেও এই অবনমন স্বস্তির। কারণ দূষণ থেকে যতটাসম্ভব দূরে থাকা যায়, ততই ভালো।
এদিকে আজ বাতাসের শহর খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহর উঠে এসেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে, যার একিউআই স্কোর ১৫৬। ১৭৫ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
দূষণের স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১০২ দিন আগে
রাতভর বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি
রাতভর ও সকালের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। শহরটির বাতাসের বায়ুদূষণের মান অনেকটা কমেছে। একই সময়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার দিকে প্রথম দিকে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস আজ স্বাস্থ্যকর হয়েছে উঠেছে। উন্নতি দেখা দিয়েছে ভারতের দিল্লির বাতাসেও।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৮। যদিও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এটি ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। তবে এই স্কোর ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়।
তাই বলা চলে, বৃষ্টির প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মান স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিইআই স্কোর ছিল ৭৭। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২০তম স্থানে ছিল ঢাকা। তবে আজ শহরটি তালিকার ৫৫তম স্থানে চলে এসেছে।
এদিকে, গতকাল দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ দশে থাকলেও আজ লাহোর আর দিল্লির বাতাসের মানেও উন্নতি হয়েছে। গতকাল ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও আজ লাহোরের বাতাস হয়ে উঠেছে ‘ভালো’, স্কোর ছিল ৩৯। অন্যদিকে, ৬০ স্কোর নিয়ে তালিকার ৪৭তম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৫৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা। ১৫২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আরও পড়ুন: কিছুটা উন্নতি হলেও আজও ‘মাঝারি’ ঢাকার বাতাস
ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘পার্টিকেল যত ফাইনেস্ট (সূক্ষ্ম) হবে, তত বেশি সময় ধরে তা বাতাসে ভেসে বেড়াতে ও দ্রুত ভ্রমণ করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এ দূষণ বাংলাদেশে আসে। বর্ষাকালে কিছু জিনিস বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়। বাংলাদেশে যদি ১০০ শতাংশ বায়ুদূষণ থাকে, তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসে বাইরের দেশ থেকে।’
১০৩ দিন আগে