‘আমরা সব সময় বলি ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। আমরা সবাই এক সাথে উৎসবগুলো পালন করি। বাংলাদেশে এটি বড় অর্জন যে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে চলতে শিখেছি,’ বলেন তিনি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান- ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন।
‘তাই, আমরা সব সময় চাই যে সব ধর্মের মানুষ এ স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে তাদের সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। এবং আমরা তেমন পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘আমরা অন্তত বলতে পারি যে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন এমন সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়,’ জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১০ বছর ধরে হিন্দুরা চমৎকারভাবে তাদের পূজা-পার্বণ উদযাপন করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের মানুষ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ পালন করে এবং সরকার পহেলা বৈশাখের ভাতাও দেয়।
এ দেশে মানুষ পরস্পরের ধর্মকে সম্মান করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির মতো সামাজিক ব্যাধি দমন করতে চায়, যাতে এগুলো পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংস করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ।