বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
টিআইবির জরিপ অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার (৭২.৫ শতাংশ) পরে দুনীতিতে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর (৬৭.৩ শতাংশ) দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) (৬৫.৪ শতাংশ) তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তবে, সেবা পেতে বিআরটিএ-কে ৬৩.১ শতাংশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে ৬০.৭ শতাংশ এবং পাসপোর্ট বিভাগে ৫৯.৩ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়।
জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১৭ সালে পরিচালিত এ জরিপ অনুযায়ী সেবা পেতে দেশের ৬৬.৫ শতাংশ পরিবারকে দুর্নীতির মুখোমুখি হতে হয় এবং ৪৯.৮ শতাংশ পরিবারকে সরাসরি ঘুষ দিতে হয়।
বছরে গড়ে প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ হাজার ৯৩০ টাকা ঘুষ দিতে হয় জানিয়ে ড. জামান জরিপের বরাদ দিয়ে আরো বলেন, সব চেয়ে ঘুষ প্রবণ তিনটি খাতের মধ্যে রয়েছে- গ্যাসের জন্য ৩৩ হাজার ৮০৫টাকা, বিচারিক সেবায় ১৬ হাজার ৩১৪ এবং ইনসুরেন্স খাতে ১৪ হাজার ৮৬৫ টাকা ঘুষ দিতে হয়।
জরিপে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল উপস্থিত ছিলেন।