বুধবার এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা শিক্ষার্থীদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুই-এক মাস পিছিয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমান এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। এবার করোনার কারণে এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া গেলেও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব পরীক্ষাগুলো আটকে রয়েছে সে সব পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি মাসখানেক পরেই পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিতে পারবো। এসব পরীক্ষার পরীক্ষার্থী কম। পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারা দেশে একেক কেন্দ্রে ভাগ ভাগ করে আমরা পরীক্ষাগুলো নিতে পারবো।’
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পলিটেনিক্যালের বিভিন্ন পর্যায়ের এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষা কিছু বাকি ছিলো। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ে নিতে পারবো। চূড়ান্ত পর্যায়ে অটো পাস দেয়া সম্ভব না।’
আর পড়ুন: স্কুলের সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এইচএসসিতে অটোপাস দেয়ায় অনেকে লিখেছেন, অটোপাস দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অনেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। তাই পরীক্ষাগুলো ছাড়া আপনাদের অটোপাস দেয়া হয়, কর্মজীবনে বাধা সৃষ্টি হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু পরীক্ষার্থী কম সেহতেু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা নিতে পারবো। আপনারা যাতে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যাতে মাসখানেক সময় পান সে ব্যবস্থা নিয়েই সূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির সনদ বোর্ড যেভাবে দেয়, সেভাবেই দিবে। করোনার কারণে বাতিল করা জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সনদ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোই দিবে।’
উল্লেখ্য, কারিগরি শিক্ষার কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও করোনার কারণে বাকি পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। অন্যদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ৪-৫টি বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও চারটি বিষয়ে পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়নি।