বুধবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা এবার হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব নয়। আর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন বলে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে।’
‘ইতোমধ্যে ভর্তির সময় চলে এসেছে। তবে চলতি বছর আগের নিয়মে ভর্তি সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশেষজ্ঞ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে তিনটি বিকল্প থেকে একটি বেছে নেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সব স্তরে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে আগের মতো ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া (এলাকা কোটা) পরিবর্তন করে ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। আর আগে ক্লাস্টার ভিত্তিক একটি স্কুলে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও এবার পাঁচটি করে পছন্দের স্কুল নির্বাচন করা যাবে।
তিনি জানান, এ বছর স্কুলে ভর্তির জন্য তিনটি বিকল্প পদ্ধতি চিন্তা করা হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথমটি আগের মতো শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা। দ্বিতীয়টি ছিল অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা এবং তৃতীয়টি ভর্তি বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।