তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার নেই তেমন কোনো সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জা। থাকছে না কুমারী পূজা ও বিজয়া দশমীতে বিজয়ার শোভাযাত্রা। অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং ভোগআরতিও আয়োজিত হবে সীমিত পরিসরে।
করোনার কারণে দুর্গাপূজায় উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ থাকায় এবারের দুর্গোৎসবকে কেবল দুর্গাপূজা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন। যার অর্থ হচ্ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। তবে দেবী স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন গজে চড়ে। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবী শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।
এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্চা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক; ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন আরো সুসংহত হোক-এ কামনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।’
তবে প্রধানমন্ত্রী মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপনের অনুরোধ জানান।