জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে বাজেট উপস্থাপন শুরু করবেন তিনি।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ টানা ১০ অর্থবছর বাজেট পেশ করেছেন। গত বছরের ৭ জুন মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার সবশেষ বাজেট পেশ করেন।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন শেষে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট তুলে ধরবেন। যা সার্বিকভাবে দেশের ৪৮তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট হতে যাচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ১৭.৯২ শতাংশ বেশি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের দায়িত্ব পাচ্ছে। এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কর-বহির্ভূত খাত থেকে আহরণ করা হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। আর বিদেশি অনুদান হিসেবে আসবে ৪ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি ৬৯ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতার পেছনে।
উন্নয়ন বাজেট হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ২১.৩৮ শতাংশ বেশি।
বাজেটে থাকা ঘাটতি ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা পূরণে সরকার বিদেশি উৎস থেকে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি এবং দেশি উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নিতে যাচ্ছে।