অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আয়োজিত বাজেটোত্তর নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩০ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
অর্থমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ ও সংসদ সদস্যরা।
এছাড়াও নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
৫ মাস আগে
মূল্যস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক নীতি নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক নীতি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে শ্লথ করতে পারে, এ কথা অনস্বীকার্য।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘যদিও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা দরকার, তবে এটি অনস্বীকার্য যে দীর্ঘমেয়াদে এই পদ্ধতি প্রবৃদ্ধিকে ধীর করতে পারে।’
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অব্যাহত উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করুন’: বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির আপাত পরস্পরবিরোধী লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য, অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সরকার উপায় ও সামর্থ্যের ব্যবধান কমিয়ে দ্রুত উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসতে পারবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিতেও আমরা যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছি।’
তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতি; পলিসি রেট (রেপো) উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং ব্যাংকের সুদের হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে এবং রেমিট্যান্স ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে ডলারের বিনিময় হারে ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতে সহায়ক নীতি গ্রহণ করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাস, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিরুৎসাহিত করা এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ।’
সরকারের গৃহীত এসব নীতিমালার ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ওপেক তহবিলের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
‘এসব উদ্যোগের ফলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি বলেন, সরকারি ব্যয় মেটাতে সরকার সম্পদ সংগ্রহে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় নীতিমালা নির্ধারণের আগে আমরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রস্তাবগুলো বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছি।’
মাহমুদ আলী বলেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সরকার কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে কর ফাঁকি হ্রাসসহ কর আদায় বাড়াতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে।
‘রাজস্ব আহরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সমাধানের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণোত্তর বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার জাতীয় কাস্টমস নীতিমালা সংস্কার করছে।
‘রপ্তানিবিরোধী পক্ষপাত কমাতে সহায়তা করার জন্য আমদানি শুল্কের উপর নির্ভরতা হ্রাস করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত শত ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে দেশের সব মানুষকে নিয়ে একের পর এক জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে শামিল হব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’
আরও পড়ুন: বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারি মালিকানাধীন ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পাওনা ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন থেকে (বিএডিসি) বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চিনিকল (৭ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা), সার, কেমিক্যাল ও ওষুধ শিল্প (৭ হাজার ২৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা), অন্যান্য নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন-পাবলিক (৬ হাজার ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (৫ হাজার ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন (৪ হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা), খাদ্য মন্ত্রণালয় (৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ পাটকল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (৬০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা), বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (৫৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা), বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (৫৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (২৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা), ইক্যুইটি এন্টারপ্রেনারশিপ ফান্ড (২৬৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা), অন্যান্য আর্থিক মধ্যস্থতাকারী সরকারি (১৬৫ কোটি টাকা) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫ মাস আগে
বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসের আগে সরকার বাজেট নিয়ে সব ধরনের বাস্তবসম্মত সমালোচনা ও পরামর্শ বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা সব মতামত বিবেচনায় নিচ্ছি। বাজেটে যেগুলো বাস্তবসম্মত ও সমাধানযোগ্য সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ বাজেট এখনো পাস হয়নি।’
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল বিবৃতি দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে। তিনি বলেন, 'আমি তাদের বলব, আমাদের অর্থনীতি ও বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কী বলছে তা দেখুন।’
তিনি বলেন, 'বাজেট নিয়ে আরও কিছু বলার আছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে এটা ভালো। আমার টাকা দরকার, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। তা না হলে আপনারা (সমালোচকরা) আমাকে টাকা দিন।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোই উপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ বাজুস নেতারা
অর্থমন্ত্রী সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ বলেন সরকার দেউলিয়া, কিন্তু দেউলিয়া মানে কী? ‘আমরা দেউলিয়া নই। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনারা সব বোঝেন?'
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখুন এবং এটি বোঝার চেষ্টা করুন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক-নির্দেশনা নেই: নাগরিক প্ল্যাটফর্ম
৬ মাস আগে
‘মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করুন’: বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে দেশবাসীকে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সবকিছু করছে এবং বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখে জাতীয় বাজেটের আকার কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ, ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশে। কিন্তু সরকার দুই বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরবর্তী দশকে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে।’
আপাতত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা আরও কী করতে পারি তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ছাড়া বাকিরা সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন। গভর্নর অংশ নিলে সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন বর্জন করবেন বলে জানান। এরপর তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
সরকার খেলাধুলার মানোন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবকে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী।
তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে আগামী বাজেটে ২০টি প্রকল্প প্রস্তাব করছি।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রীড়া সুবিধা নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য মোট ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো 'উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ'।
এছাড়া খেলোয়াড়দের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বিভাগে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এ লক্ষ্যে ওই প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার ক্রীড়া সামগ্রী এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থাগুলোকে নিয়মিত ক্রীড়া সামগ্রী এবং আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭-৮ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) মতে, ২০২০ সালে কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর গড় অনুপাতের (১৯.১%) চেয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাজেট ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিতে চায় সরকার
বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, আয়কর একটি দেশের অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ চালিকাশক্তি এবং দেশে সমাজ ও অর্থনীতির সমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, করের বোঝা সমানভাবে সবার ওপর বণ্টনের জন্য প্রত্যক্ষ কর সাধারণত একটি ক্রমবর্ধমান নীতিতে আরোপ করা হয়, যেখানে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি হারে আয়কর দেয়।
আয়ের পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আয়কর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত মোট রাজস্বের প্রায় ৩৫ শতাংশই আসে আয়কর থেকে। দেশে আয়কর সংগ্রহের গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে ধীরগতি সত্ত্বেও এই প্রবণতা বাড়ছে।
মাহমুদ আলী বলেন, ‘কল্যাণমুখী ও জনবান্ধব আয়কর সংস্কার এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি, রাজস্ব বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সম্পদের পুনর্বণ্টন ও বৈষম্য হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, দেশীয় শিল্প সংরক্ষণ ও প্রসার, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে নীতি ও কর সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
‘দেশে একটি শক্তিশালী কর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর আদায়ের ক্ষেত্রে করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই নীতির মূলকথা হলো অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করে করের বোঝা ধীরে ধীরে হ্রাস করা এবং কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করা; সেইসঙ্গে করদাতাদের আরও ভালোভাবে নীতিগুলো মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব আয়কর নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের অবদান ৪২ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার প্রচেষ্টা চলছে।’
‘এরই ধারাবাহিকতায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, ট্যাক্স-নেট সম্প্রসারণ, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও চলমান’, বলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
ফায়ার সার্ভিসের নতুন হটলাইন নম্বর ১০২ চালু
৬ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি চারটি মূল স্তম্ভ- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বৃক্ষরোপনের জায়গা নির্ধারণে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী মাহমুদ আলী মনে করেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ'র অধীনে দেশের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে সাড়ে ১২ ডলারে পৌঁছাবে, জনসংখ্যার ৩ শতাংশের কম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করবে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল হবে।
মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বাজেট ঘাটতিও জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বিনিয়োগ জিডিপির ৪০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্যও রয়েছে।
মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, 'স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য হবে এবং স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও টেকসই নগরায়নসহ প্রয়োজনীয় সেবাগুলো সরাসরি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাগজবিহীন এবং নগদবিহীন সমাজ গঠনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা ন্যায়বিচার ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। বাংলাদেশের মানুষ বুদ্ধিমান, সৃজনশীল ও পরিশ্রমী।’
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে অর্থমন্ত্রী আস্থা ব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে বৈষম্যহীন, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা সতর্কতার সঙ্গে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন শুরু করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৩টা ৪ মিনিট থেকে বাজেট পেশ করা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
এটি বর্তমান অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের ষষ্ঠ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
অর্থমন্ত্রীকে পুরো বাজেটটি পড়তে হচ্ছে না। স্লাইডের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের সামনে বাজেটের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
এর আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইতোমধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে এডিপি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এটি মোট বাজেট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সংসদে ৭.৯৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৮ লাখ কোটি টাকা
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের জন্য ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছে, যার ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট এডিপি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
এডিপিতে ১ হাজার ১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সমীক্ষা প্রকল্প, ৮৭টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের ৮০টি প্রকল্প রয়েছে।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এডিপিতে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৮ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ১৫%) বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেটে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করতে চান অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
আসন্ন বাজেটে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করতে চান অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট পেশ করবেন তিনি।
কিন্তু রাজস্ব আদায় কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে না হওয়ায় বাজেট ঘাটতি পূরণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী ইউএনবিকে জানান, বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেটে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করার চেষ্টা করবেন তিনি।
এই আশ্বাসের পরও বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সরকারি ঋণ ও ডলার সংকটের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংকসহ অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে বাজেটে: অর্থমন্ত্রী
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ১০ মাসের মধ্যে শেষ হয়েছে। গত এক দশকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সূদসহ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও বাড়বে হবে।
ঘাটতি বাজেটের অর্থায়নের জন্য সরকারকে এখন আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। এ ছাড়া ডলার সংকট ও ডলারের উচ্চমূল্য ঋণ পরিশোধে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এটি চ্যালেঞ্জিং ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, কেন না বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে সরকারি খাতের ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার এবং বাকিটা বেসরকারি খাতের। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদি এবং বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদি।
এ বিষয়ে আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, এখন থেকে বৈদেশিক ঋণে প্রকল্প গ্রহণে আরও সতর্ক হতে হবে। এসব ঋণের শর্তাবলী, মেয়াদ ও সুদের হার দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্লেষণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে আনার পাশাপাশি বিলাসবহুল প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ কমাতে হবে।
এছাড়া চলমান ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগ এবং পণ্য ও সেবা বিক্রয় থেকে মুনাফা তুলতে সমস্যায় পড়ছে। এদের আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের জন্য এক ধরনের বড় দায়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত এক-দুই বছর ধরে দেশি-বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
তাই কোন খাতে কী পরিমাণ ঋণ আছে, ঋণের উৎস কী, ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা কী- এসব বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটি দেশের ঋণ পরিস্থিতি, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা, দেশটিতে বিনিয়োগ থেকে মুনাফা নিতে পারে কিনা তা দেখে বিনিয়োগ করে। বর্তমানে বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানি মুনাফা তুলে নিতে ডলার-সংকটসহ নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানান আহসান এইচ মনসুর।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কী প্রত্যাশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান ইউএনবিকে বলেন, সরকারের দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বিষয়টি সাধারণত বেশি আলোচিত হয়।
কিন্তু বাজেটের অর্থায়নের জন্য সরকার ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয়। এই ঋণের পরিমাণও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণ এর আগে কখনো এত দ্রুত বাড়েনি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. সেলিম।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ৭৮ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এরপর প্রতি বছরই ঋণের পরিমাণ শুধু বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত (মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত) ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুনে বাজেটের অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে আরও ৬২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া নন-ব্যাংকিং খাত অর্থাৎ মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে এ বছর ২৩ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত বন্ড থেকে ১১ হাজার ২০৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।
মূলত অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় না হওয়ায় বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
আরও পড়ুন: শিশুবান্ধব বাজেট দেখতে চায় ইউনিসেফ: স্ট্যানলি গ্যুয়েভা
৬ মাস আগে