আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক জরুরি আলাপকালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোন দুর্যোগের প্রস্তুতিতে শুধু উপকূলীয় এলাকার জন্যই ৫,৫৫৭ কিলোমিটার বাঁধের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু সুপার সাইক্লোন আম্পানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অন্তত ৮-১০ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিভিন্ন জেলার বেড়িবাঁধ ও তীররক্ষা বাঁধকে কোথাও ভেঙে ফেলেছে বা কোথাও উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি।’
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামত কাজ দ্রুত শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন ‘সারা দেশে প্রায় ১৭ হাজার কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। দুর্যোগ প্রাকৃতিক তাই ঠেকানো যায় না। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় জানমালের যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে। আক্রান্ত সব জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে আছেন। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহায়তায় বালুভর্তি জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন।’
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, বাপাউবো মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, যুগ্ম প্রধান (পরিকল্পনা) মন্টু কুমার বিশ্বাস প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষের নদী ভাঙনের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মোট ৩,১০০ কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে।