প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করেছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গৃহহীন পরিবারগুলোর হাতে ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের আওতায় ঘর বিতরণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত মর্যাদা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সরকারি কর্মকর্তা- বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ দেশের ৪৯৩টি উপজেলার উপকারভোগীদের হাতে ঘরের সনদ ও জমির দলিল তুলে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের 'আশ্রয়ণ-২' প্রকল্পের আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট ঘরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো- মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত জেলা এবং ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন।
৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে মোট এক লাখ ৯৬ হাজার ৮২৫ জন মানুষ নিজ জমিতে আধা-পাকা ঘর পেয়ে আশ্রয় পেয়েছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা প্রদানের উদ্যোগ নেন।
এরপর থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে পাঁচজন সদস্য হিসাবে)।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ১৬ হাজার ৭০৪টি পরিবারকে সরাসরি পুনর্বাসন করা হয়েছে।