অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে মেলার উদ্বোধন করেন। এতে সাবেক অর্থ সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আয়কর রিটার্ন জমা দেন।
মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে জেলা পর্যায়ে মেলা হবে ৩-৪ দিন।
করদাতা ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ করদাতাদের পুরস্কৃত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের কর দিতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার কর আদায় করে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আমাদের অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে।’
‘আমরা কর দেয়ার মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে পারি। কারণ আমাদের ধন-সম্পদের ওপর সুবিধাবঞ্চিতদের হক রয়েছে। তাদের হক আদায়ে ধর্মের নির্দেশ আছে,’ বলেন তিনি।
এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল নির্মাণ ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়াসহ উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের বিপুল অর্থ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
‘আমি ১৯৭০ সাল থেকে কর দিচ্ছি। তখন আমি ৫৬০ রুপি জমা দিয়েছিলাম। বিগত বছরগুলোতে আমি মোট ৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা দিয়েছি। আজ জমা দিলাম ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা,’ বলেন তিনি।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, তারা আশা করছেন যে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দেবেন।
‘আজ এখানে অনেক ব্যক্তি ও কোম্পানি কর দিয়েছে। তাদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী ও তার পরিবার মোট প্রায় ৭ কোটি ৬০ লাখ, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ২৫ কোটি, ইসলামী ব্যাংক ১০০ কোটি ও গ্রামীণ ফোন ১৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।