জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আবারও এক মাস বাড়িয়েছে। এর ফলে ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) জারি করা এক বিশেষ আদেশে কর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এনবিআরের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে আয়কর আইন ২০২৩-এর ধারা ৩৩৪-এর ক্ষমতা অনুযায়ী সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, করদাতাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।
চলতি করবর্ষের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ও মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন তারা। তবে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে এ বিধান শিথিল রাখা হয়েছে। তারা চাইলে ই-রিটার্নও দাখিল করতে পারবেন।
করদাতার পক্ষে তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিও এ বছর অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশির ক্ষেত্রে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তার পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি তথ্য দিয়ে বিদেশে বসেই ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে কোনো নথি বা দলিলাদি আপলোড ছাড়াই অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেবার যে কোনো মাধ্যম বা মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করে সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয় ই-রিটার্ন দাখিলের স্বীকারপত্র পাচ্ছেন করদাতারা।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা প্রদানের জন্য ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরটি চালু রয়েছে। তাছাড়া সারা দেশের সব কর অঞ্চলে স্থাপিত ই-রিটার্ন হেল্প-ডেস্ক থেকেও সহায়তা মিলছে।
চলতি করবর্ষে শনিবার পর্যন্ত ২৮ লাখ ৮৫ হাজার করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন।
গত বছর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আয়কর আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ দিতে হবে।