এনবিআর
জুলাই-আগস্টে রাজস্ব কমেছে ৪৮৭০ কোটি টাকা: এনবিআর
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা কম রাজস্ব সংগ্রহ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যে এই ঘাটতির বিষয়টি উঠে এসেছে।
এনবিআরের তথ্যমতে, জুলাই-আগস্ট মাসে ৫০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা। ঘাটতি সত্ত্বেও, এই দুই মাসে রাজস্ব সংগ্রহ ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সর্বোচ্চ রাজস্ব এসেছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে। তবে ভ্যাট ও আয়কর খাতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
জুলাই-আগস্টে ১৯ হাজার ৮৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আদায় হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
একই সময়ে জুলাই-আগস্টে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় কমেছে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এটির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৫৯ কোটি টাকা এবং সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ১০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার ঘাটতি সত্ত্বেও, কর আদায়ে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআর ২৩’ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ১.২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানি থেকে শুল্ক আদায় তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শুল্কের ১৬ হাজার ১৭৭ কোটি ৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরে আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ১৯২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শুল্ক থেকে ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব এসেছে।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে এনবিআর
কাস্টমসের ২৭০ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে এনবিআর
শুল্ক বিভাগের ২৭০ কর্মকর্তাকে বদলি করে বড় ধরনের রদবদল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ২৬৮ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সারাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে একযোগে বদলি করেছে। এছাড়া দুই যুগ্ম কমিশনারকেও বদলি করা হয়েছে।
রবিবার ও সোমবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মাসুদ রানার সই করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, রাজস্ব খাতে গতিশীলতা আনতে এনবিআর এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বদলির আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
বদলি হওয়া দুই যুগ্ম কমিশনার হলেন আবদুর রশিদ মিয়া ও মাহবুব হাসান। আবদুর রশিদ মিয়াকে বেনাপোল থেকে ঢাকায় এবং মাহবুব হাসানকে চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট, কুমিল্লা, যশোর ও বেনাপোলের বিভিন্ন কাস্টমস অফিসে ২৬৮ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিআইএনধারীদের জন্য ন্যূনতম ২০০০ টাকা করের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ১১ কর্মকর্তাকে বদলি
চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ১১ জন রাজস্ব কর্মকর্তাকে একযোগে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিনের সই করা এক আদেশে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, যশোর ও সিলেট কাস্টমসের বিভিন্ন দপ্তরে বদলি করা হয়।
আদেশে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ছয় রাজস্ব কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে বদলি করা হয়েছে।
এরমধ্যে রাজস্ব কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেনকে রাজশাহীতে, মো. নিজাম উদ্দীনকে রংপুরে, আবু সুফিয়ানকে খুলনায়, দেবোত্তম কুমার দেবনাথ ও মো. ছাদিকুল ইসলামকে যশোরে এবং মো. এনামুল হককে সিলেটে বদলি করা হয়েছে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও সুজিত কুমার বিশ্বাসকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে, অসিত কুমার আচার্য্যকে সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে, নাজমুল ইসলামকে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে, মো. শাহীন আখতারকে রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাস্টমসের অডিট কমিশনার এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এদিকে, ঢাকার কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের মো. এমরান হোসেনকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে এবং খুলনা কাস্টমস হাউসের সেন নারায়ণ চন্দ্র, নাজমুল আহসান ও মো. জয়নাল আবেদীনকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে, ঢাকা (পশ্চিম) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের মো. নুরুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে;
কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের মোসাম্মৎ তহুরুন্নেছাকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে এবং রাজশাহী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের বিপ্লব কুমার সরকারকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সৈয়দ আরিফুর রহমানকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এবং সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের মো. হাফিজুর রহমান ও মো. আবদুল কাদেরকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে বদলি করা হয়েছে।
খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্মরত মো. তরিকুল ইসলামকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে এবং যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্মরত মো. মোফাজ্জল হোসেনকে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমিতে বদলি করা হয়েছে।
বদলির আদেশে তাদের আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমসে কর্মবিরতি, শুল্কায়ন বন্ধ
চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২৩
এনবিআর ২৩’ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ১.২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯২ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে বড় সাফল্য অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২৩’ অর্থবছরে এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের সংগ্রহ ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে ১ দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে। ২২’ অর্থবছরে এই আয় ছিল ১ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অর্থনীতিতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বার্ষিক কর্মক্ষমতা প্রতিবেদনে এই অর্জনকে 'ব্যতিক্রমী' বলে অভিহিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা অর্থ বিভাগ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২২ অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকা বেশি ভ্যাট সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে এনবিআরের অর্জন উল্লেখযোগ্য।
জুন মাসে ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: টিআইএনধারীদের জন্য ন্যূনতম ২০০০ টাকা করের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সংগৃহীত ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী সিগারেট। যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অবস্থান। যা থেকে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য মইনুল খান ইউএনবিকে বলেন, অর্থবছরে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারছে না।
এছাড়া ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ‘আমি মনে করি ভ্যাটের ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি একটি বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
দানের বিপরীতে ধার্যকৃত কর দাবি করে এনবিআরের পাঠানো নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের ফলে ড. মোহাম্মদ ইউনণূসের কাছে এনবিআরের দাবি করা দানের বিপরীতে ধার্যকৃত কর দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে গত (২৩ মে) দানের বিপরীতে ধার্যকৃত প্রায় ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে এনবিআররের পাঠানো নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট শুনানি গ্রহণ শেষে ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ (বুধবার) রায় দেওয়া হয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায়। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় এনবিআর।
এছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবির এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস মামলা করেন।
ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না। ২০১৪ সালে তার মামলা খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন হাইকোর্টে। হাইকোর্ট ২০১৫ সালে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর গতকাল চূড়ান্ত শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: লালসা থেকে বেরিয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হও: ড. ইউনুস
দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা দুদক ও এনবিআরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে দেশে দেশে টাকা পাচার ও কর ফাঁকির যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে (এনবিআর) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’-শীর্ষ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, একইসঙ্গে রিট আবেদকারী ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ এবং ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের বিষয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সালাম মামুন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’- শিরোনামে ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, দেশে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা হাস্যেজ্জ্বল ছবি দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও; কিন্তু লন্ডনে স্ত্রীর জন্য চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসাও করছেন। কয়েকটি দেশে তৈরি করেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে অবৈধ চ্যানেলে নেওয়া হয়েছে বিপুল অংকের টাকা। বিদেশে টাকা পাচার করে বিত্ত-বৈভবে ফুলেফেঁপে উঠলেও যেই কোম্পানির হাত ধরে এত কিছু, সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রুগ্ন দশায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
গত ১৫ বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ বছর ধরে দেওয়া হয় না কোনো লভ্যাংশ। এ সময়ে মোট পণ্য বিক্রির ৪০ শতাংশ কম দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চিত্র। এমন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বায়োফার্মা লিমিটেড। ওষুধ শিল্পে একসময়ে নেতৃত্ব দেওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে।
ধারাবাহিক অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মূল কারিগর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ডা. লকিয়ত উল্লাহ। কাগজে-কলমে ডিএমডি হলেও তিনিই প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানিটি। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করা কয়েকজন চিকিৎসক কিনে নেন প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি নতুনভাবে যাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় তাদের বেশিরভাগই জামায়াতের নেতাকর্মী। পরে এটিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে যাদের নেওয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই উদ্যোক্তাদের ‘নিজের লোক’।
বায়োফার্মার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির বতর্মান ৯ পরিচালক ঘুরেফিরে আছেন পরিচালনা পরিষদে। সাবেক চেয়ারম্যান এন এ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বেশকিছু সরকারবিরোধী মামলা রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে পালিয়ে স্থায়ীভাবে আমেরিকা চলে যান। এরপরও রয়ে গেছেন উপদেষ্টা হিসেবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে আছেন শেয়ারহোল্ডার নাছিমা বেগম ঝুমুর প্রতিনিধি হিসেবে তার স্বামী ডা. শাহাবুদ্দিন আহমদ। ১৮ বছরের সাবেক এমডি ডা. আনোয়ারুল আজিম এখন ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। আর ডিএমডি ডা. লকিয়ত উল্লাহ শুরুতে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং)। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চবি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন ডা. মো. মিজানুর রহমান। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্য পরিচালকরা হলে- ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ, ডা. আলী আশরাফ খান, শেয়ারহোল্ডার নাজমা হকের প্রতিনিধি ও তার স্বামী ডা. ফজলুল হক মজুমদার এবং সাইফুল আমিন। তারা প্রত্যেকেই জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে রয়েছেন।
তাদের মধ্যে আলী আশরাফ নারায়ণগঞ্জ থেকে জামায়াতের হয়ে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন। জামায়াত সমর্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (আইবিডব্লিউএফ) মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন বায়োফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য এবং ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র সচিব) তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার (১০ মে) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আমদানিকৃত খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে আমদানি নীতি আদেশ-২০২১-২০২৪ সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণ বিষয়ক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য সচিব বলেন, চিনির জন্য শুল্কছাড় এখনো বলবৎ রয়েছে। এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি পাঠাবো।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে আরেক দফা বেড়েছে সেমাই-চিনি ও পোলাও চালের দাম
যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।
তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনির আমদানি কমেছে। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়।
এরপর ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
তবে তারা আমাদেরকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
সিনিয়র সচিব বলেন, যখনই কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না তখন আমরা এনবিআরকে শুল্কহার কমানোর জন্য অনুরোধ জানাই।
তারা কখনো কমায় আবার সম্ভব না হলে কমাতে পারেন না। ট্যারিফ নির্ধারণ আসলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাজ।
সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা ট্যারিফের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানান তপন কান্তি ঘোষ।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের ওপর শুল্করেয়াত গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করায় তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেলের শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও আমরা চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু এনবিআর কনটিনিউ করে নাই।
আগামী অর্থবছরে কমানো যায় কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ই-সিগারেট আমদানি প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে মতামত জানাবে সে আলোকে আমদানি নীতি প্রণয়ন করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই চূড়ান্ত বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চড়া দামে ঢাকার দোকান থেকে চিনি উধাও
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল উন্নতি হওয়ায় জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে তৃণমূলে প্রচারণা চালানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
‘আপনি যদি সেখানে (উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে) ভালোভাবে প্রচারণা চালান, তাহলে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে (কর দিতে) এগিয়ে আসবে। তারা (করদাতারা) এখন সেবা পাচ্ছেন। সুতরাং, পরিষেবাগুলি পেতে কর দিতে হবে,’ তিনি বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন ২০২৩ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই দিনব্যাপী প্রথম এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১৪ বছরে তৃণমূলসহ দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও এমন লোক আছে যাদের কর দেয়ার ক্ষমতা আছে।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্রেক্ষাপটে, তিনি দেশের সমস্ত সক্ষম ব্যক্তিদের কর দিতে বলেন। কারণ সরকার তাদের জন্য পরিষেবা উন্নত করতে করের অর্থ ব্যয় করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে করের হার না বাড়িয়ে সরকার কর নেট বাড়াতে চায়। ‘আমাদের করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে,’ তিনি বলেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশে আয়করদাতার সংখ্যা এখনও খুবই কম। প্রকৃতপক্ষে, এর কারণ হল মানুষ অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয় এবং এখানে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
‘কোনো জবরদস্তি করা উচিত নয়। জনগণকে যেন কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা না হয়। জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে,’ প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন।
কর ফাঁকি বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান।
তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি করের নেট প্রসারিত করতে হবে এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে বৃহত্তর সংখ্যক মানুষ কর প্রদান করে।’
দুই দিনের রাজস্ব সম্মেলনে ভ্যাট, শুল্ক, আয়কর এবং অনলাইন পরিষেবা সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াতে চায়।
সম্মেলনের সাইডলাইনে ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর নিয়ে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। কর সংক্রান্ত বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য তথ্য বুথও থাকবে।
সম্মেলন পরিদর্শন করে জনগণ ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং এনবিআর সদস্য আব্দুল মান্নান শিকদার ও প্রদ্যুত কুমার সরকার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পাতাল মেট্রোরেল বাংলাদেশের অগ্রগতির আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
নবনির্মিত রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও রবিবার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় নবনির্মিত রাজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন, যেটি এনবিআরের প্রধান কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি ১২ তলা ভবনের নাম ফলক উন্মোচন করেন এবং সকালে রাজস্ব ভবন পরিদর্শন করেন।
৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
এ বছরের ১ মার্চ থেকে এনবিআর সম্পূর্ণভাবে নতুন ভবনে অফিস শুরু করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও আপ্যায়ন খরচ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়া যাবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি বিবেচনায় সময়সীমা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
বুধবার সময়সীমা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি এই সংস্থাটি।
এর আগে, পৃথক করদাতাদের কাছ থেকে সাড়া কম পাওয়ার কারণে রাজস্ব বোর্ড রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় থাকলেও অধিকাংশই রিটার্ন জমা দেয় না: এনবিআর কর্মকর্তা
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাণিজ্য সংস্থার আবেদন বিবেচনা করে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার তারিখ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
বুধবার ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আনুষ্ঠানিকভাবে সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চার মাসে ৯০৯০১.৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে।
তিনি বলেন, অনেক নতুন করদাতা এ বছর স্বেচ্ছায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন এবং অনেক করদাতা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। এসব বিবেচনায় সময় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া সহজ করা হচ্ছে যাতে মানুষ ঝামেলামুক্ত পরিবেশে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করযোগ্য আয়ের সবাইকে রিটার্ন জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩৩০টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে এনবিআর
বড়ধরনের কর ফাঁকির জন্য লোকসান গুনছে এনবিআর