এনবিআর
এক বছর আগে রাজস্ব হার প্রকাশ করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এক বছর আগেই কর পরিকল্পনা প্রকাশ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) জারি করবে না এনবিআর। কারণ এতে বছরের মাঝামাঝিতে এসে রাজস্ব হারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমরা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছি। এখন লোকজন হয়তো বলা শুরু করবে যে আমরা তো খুব ঝামেলায় আছি।
তিনি আরও জানান, আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না। আমরা চিন্তা করেছি, বিদ্যমান কর অব্যাহতিও কমাব, উঠিয়ে দেব এবং যারা কম হারে দেয়, তাদের বাড়িয়ে দেব। নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ।
আরও পড়ুন: বিস্কুটে ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনল এনবিআর
আগামী বাজেট কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে আবদুর রহমান খান বলেন, প্রকৃত অর্থে আগামী বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। কিছুদিন ধরে এনবিআর যে কাজগুলো করেছে, এর মাধ্যমে বিষয়টি আপনারা টেরও পেয়েছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এ বছর দুবার সয়াবিন তেলের শুল্ক কমানো হয়েছে; দুবার চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। এ ছাড়া খেজুর, ডাল, ডিম, চাল, পেঁয়াজ প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছি। তার সুফলও পাওয়া গেছে।
‘এতে (শুল্কছাড়ের ফলে) আমরা কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তবে আমরা সেগুলো চিন্তা করিনি। আমরা জনস্বার্থ চিন্তা করেছি,’ বলেন তিনি।
২৫ দিন আগে
তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ৫ শতাংশ কমাল এনবিআর
তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এই ফলগুলো হলো তাজা বা শুকনো কমলা, তাজা বা শুকনো সাইট্রাস ফল, তাজা বা শুকনো আঙ্গুর, তাজা বা শুকনো লেবু, তাজা বা শুকনো অন্যান্য সাইট্রাস ফল, তাজা বা শুকনো আঙ্গুর, তাজা আপেল এবং নাশপাতি।
এনবিআর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বিস্কুটে ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনল এনবিআর
৩৫ দিন আগে
বিস্কুটে ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনল এনবিআর
হাতে ও মেশিনে তৈরি বিস্কুটে চাপিয়ে দেওয়া মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এখন থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এর জায়গায় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে এসব পণ্যে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেশিনে প্রস্তুত বিস্কুট ও প্রতি কেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে হাতে তৈরি বিস্কুট ও প্রতি কেজি ৩০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে কেকের ক্ষেত্রে ভ্যাট কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
অর্থবছরের মাঝপথে এসে গত জানুয়ারিতে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার। ওই তালিকায় বেকারিপণ্য, বিস্কুট ও কেকও ছিল। সেসব পণ্যে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।
বিস্কুটের মতো পণ্যে ভ্যাট বসানোয় সমালোচনার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের তরফে দাবি আসে ভ্যাট কমানোর। দুই দফায় ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সঙ্গে বসে নিজেদের দাবি তুলে ধরলে তখন বিস্কুটের ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট কমানোর আশ্বাস দেয় এনবিআর।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে নতুন করে আরোপ করা ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ওপর করের বোঝা চাপানো হলে দেশের শ্রমজীবী, প্রান্তিক কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শুল্ক-কর বেশি হলে দেশে আর ৫ টাকা ও ১০ টাকা দামের পণ্য তৈরি করা সম্ভব হবে না। তারা জানান, এ খাতে ৮০ শতাংশ পণ্যের দাম ২০ টাকার কম, যা নিম্ন আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীরা বেশি কেনেন।
৫৬ দিন আগে
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ১৬ দিন বাড়ল
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ‘২০২৩ এর ধারা ৩৩৪ এর দফা (খ) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জনস্বার্থে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোম্পানি ব্যতিত সব করদাতার ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য নির্ধারিত করদিবস ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করি।’
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
দুই দফা সময় বাড়ানোর পর আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ও ১৭ নভেম্বর পৃথক দুটি আদেশে দুই দফা এক মাস করে সময় বাড়ায় এনবিআর।
বর্তমানে এক কোটির বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ লাখের বেশি টিআইএনধারী রিটার্ন দেন।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন কারণে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ের পর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানোর অভ্যাস থেকে বের হতে পারছে না এনবিআর। এবারও ব্যতিক্রম নয়।
আরও পড়ুন: জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাইল এনবিআর
৭৭ দিন আগে
কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো এ ধরনের কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমাদের কর্মকর্তারা যদি তাদের আগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
‘অতীতের মতো কোনো ধরনের গড়িমসি বা আপোষের মনোভাব আমরা বরদাশত করব না। এমন কিছু দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ পেলে তা নিয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে না।’
আরও পড়ুন: হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
এ সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে কর অব্যাহতির প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহতি ছাড়া ব্যবসা বাড়বে না। তাদের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি না থাকার পরও উন্নত দেশগুলো কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করুন। তারপর যদি সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় তবে সেই ব্যবসায় যান, নাহলে বাদ দিন।’
ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো মূল্যে কর অব্যাহতি আদায় করতেই হবে—এমন মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের সুশাসন। আমরা আমাদের সব ব্যবসার জন্য বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করতে পারি না।’
খাতগুলো উন্মুক্ত করে এসব খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ানো যায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসা খাতেই দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। এই খেলোয়াড়রা অন্যদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পারি।’
৮০ দিন আগে
জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাইল এনবিআর
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি মূসক তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকল্প পরিকল্পনার দ্বিতীয় সচিব শাহাদাত জামিলের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতিকে পাঠানো হয়েছে।
সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে গত ৭ জানুয়ারি বাজুসের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ইএফডি স্থাপন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাজুস নেতারা জুয়েলারি খাতে নানা সমস্যা তুলে ধরেন। এরমধ্যে জুয়েলারি খাতে এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত হয়নি বলে জানান তারা।
বাজুস নেতারা বলেন, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত করে, সব প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপন করে, এই খাতে অন্যান্য সমস্যার যুক্তিসংগত, ন্যায়ভিত্তিক সমাধান করা গেলে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং এই খাত উজ্জীবিত হবে।
সেই সূত্র ধরে এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সব সমস্যার আইনসংগত সমাধানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
আগামী ২৩ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় অংশীজনদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক ভার্চুয়্যাল সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভার পর জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি, ইএফডি স্থাপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে যাবে। এজন্য ঢাকা (পূর্ব/পশ্চিম/উত্তর/দক্ষিণ/চট্টগ্রাম) কমিশনারেটের আওতাধীন বিভিন্ন মার্কেট, এলাকায় অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রয়োজন।
ঢাকার বাইরের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানেরও তালিকা চেয়েছে এনবিআর। সব তালিকা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব না হলে আংশিকভাবে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
৮৬ দিন আগে
রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
রেস্তোরাঁ খাতে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের মূল্যসংযোজন কর বিভাগের প্রথম সচিব মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিকে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় এনবিআর।
এর আগে ভ্যাট কমানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি পাঠায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। চিঠির জবাবে এনবিআর জানিয়েছেন, মালিক সমিতির উল্লেখিত দিকগুলো গুরুত্বসহকারের বিবেচনা করে ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করা হবে।
চলতি মাসের ৯ জানুয়ারি রেস্তোরাঁসহ শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। অধ্যাদেশ জারি করে রেস্তোরাঁ খাতে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুঠোফোন-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও
সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ যোগ করা হলে রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর ভোক্তাদের মোট ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। গুলশান-বনানীর মানুষ এই ভ্যাট দিতে পারলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব না উল্লেখ করে ভ্যাট কমানোর দাবি তোলে সংগঠনটি।
৯১ দিন আগে
মুঠোফোন-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও
মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে এনবিআর ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার(১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ এসডি ও ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়বে। একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।
আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ পড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ, যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের শর্ত নয়, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবার উপর কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক, গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। এতে নতুন করে কর আদায় করার যে সিদ্ধান্ত, তা হোঁচট খাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মেট্রো রেলের ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ
৯৫ দিন আগে
ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বিগত করবর্ষের ন্যায় এবারও যথারীতি অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের সুবিধা থাকছে। দেশের যেসকল নাগরিকের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) নম্বর আছে, তারা এই সুযোগটি নিতে পারবেন। সুতরাং নথিকরণ, ভিড় এবং সময় ক্ষেপণের বিড়ম্বনা এড়িয়ে এবারও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। সদ্য টিনপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন যাবত আয়কর প্রদানকারী সব পেশার মানুষকে একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্মের আওতাভুক্ত করেছে এই ইলেক্ট্রনিক পরিষেবা। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইলের ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবার বিগত বছরের হিসেব নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। চলুন, এই পরিষেবাটি ব্যবহারের পূর্বশর্ত এবং পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য কি কি প্রয়োজন
এনবিআর (ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভেনিউ)-এর ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য দরকার হবে একটি বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ই-টিন নম্বর। এখানে মূলত মোবাইল নাম্বারটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য মোবাইল থেকে *১৬০০১# নাম্বারে ডায়াল করতে হবে। এরপরের কাজ হলো এনআইডির সর্বশেষ চারটি সংখ্যা উল্লেখ করে সেন্ড করা। এর কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে উল্লেখিত এনআইডি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নাম্বারগুলোর তালিকা পাঠানো হবে। এই নাম্বারগুলো প্রত্যেকটি বায়োমেট্রিক করা। অন্যথায় এই তালিকা সম্বলিত ম্যাসেজটি আসবে না।
আরো পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
ই-রিটার্নের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আলাদা করে কোনো কাগজপত্র দিতে হয় না। কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি নির্ভুলভাবে দিতে হয়। তবে তথ্যের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া কর অফিস থেকে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি তথ্য-প্রমাণ যেন দেখানো যায় তার জন্যও কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা বাঞ্ছনীয়।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতি
.
ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে নিবন্ধন
প্রথমেই সরাসরি চলে যেতে হবে এনবিআর-এর ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে (https://etaxnbr.gov.bd/)। এখানে প্রদত্ত পরিষেবাগুলো থেকে ‘ই-রিটার্ন’ অপশনে গেলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে, যেখানে সাইটটিতে নিবন্ধন করা আছে কিনা- তা জানতে চাওয়া হবে।
এখানে ‘আই অ্যাম নট ইয়েট রেজিস্টার্ড’ বাটনে ক্লিক করা হলে নিবন্ধন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই সাইনআপ পেজে ১২ সংখ্যার টিন নাম্বার,বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে ‘ভেরিফাই’তে ক্লিক করতে হবে।
এরপর উল্লেখিত ফোন নাম্বারে ম্যাসেজের মাধ্যমে ছয় অংকের একটি ওটিপি কোড আসবে। এটি সাইনআপ পেজের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে পরপর দুইবার একটি নতুন পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আলফানিউমেরিক তথা অঙ্ক,অক্ষর ও বিভিন্ন চিহ্ন সম্বলিত হতে হবে। সহজ বা ছোট পাসওয়ার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিধায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সামনের দিকে অগ্রসর হবে না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গেই ই-রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এখানে মনে রাখতে হবে যে,ই-টিন যেহেতু এনআইডি দিয়ে করা হয় তাই এই সিস্টেমে দেওয়া নাম এবং মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক করা ব্যক্তির নাম একই হতে হবে। অর্থাৎ একজ ন ব্যক্তি তার নিজের বায়োমেট্রিক ভেরিফাই করা ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা থেকে অন্যজনের রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না।
নিবন্ধনের পর এবার সেই টিন নাম্বার,পাসওয়ার্ড ও নতুন ক্যাপচা পূরণ করে সাইন ইন করলে ই-রিটার্ন ড্যাশবোর্ডটি দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিটার্ন জমার ক্যাটাগরি নির্বাচন
ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনু বারে ‘সাবমিশন’ মেনুতে রয়েছে দুই ধরনের রিটার্ন পেজ। একটি সিঙ্গেল পেজ ও অপরটি রেগুলার রিটার্ন পেজ।
সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন
প্রধানত ৭টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এক পেজ-এ রিটার্ন জমা দেওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো:
• বার্ষিক করযোগ্য আয় অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা
• সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার কম
• গণকর্মচারী নন
• মোটরগাড়ির মালিকানা নেই
• সিটি করপোরেশনে কোনো বাড়ির মালিকানা নেই
• বিদেশে কোনো পরিসম্পদ নেই
• কোনো কোম্পানির শেয়ার নেই
এই মাধ্যমে এক পেজের মধ্যেই রিটার্নের যাবতীয় তথ্যাদির খসড়া করা যায়। এর মধ্যে থাকে আয়ের উৎস,মোট আয়,জীবনযাপন ব্যয়,সামগ্রিক পরিসম্পদ,আরোপযোগ্য কর,কর রেয়াত,উৎসে কর্তিত কর, প্রদেয় কর এবং রিটার্নের সঙ্গে দেওয়া কর।
সব তথ্য প্রদান শেষে পেজটি ড্রাফট হিসেবে রাখা যায়,আবার ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইন জমা সম্পন্ন করা যায়।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
রেগুলার ই- রিটার্ন
উপরোক্ত ৭ শর্তের বাইরে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এই বিস্তারিত রিটার্ন পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কর যাচাই, আয়-ব্যয়,বিনিয়োগ,সম্পদ,ঋণ এবং কর রেয়াতের মতো সনাতন পদ্ধতির বিষয়গুলো বিস্তারিত তথ্যের জন্য পৃথক স্ক্রিনে দেখানো হবে।
কর যাচাইয়ের তথ্য
এ অংশে প্রথমেই রিটার্ন স্কিম ঘরে সেল্ফ,এসেস্মেন্ট বর্ষ ও ইনকাম বর্ষের ঘরে সাল ও তারিখ পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। আয় করমুক্ত হলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ উল্লেখ করে দিতে হবে।
ডানপাশের হেডস অব ইনকামের নিচে যে অপশনগুলো রিটার্নদাতার জন্য প্রযোজ্য শুধুমাত্র সেগুলোতেই তিনি টিক দেবেন। এই হেডগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তির আয়ের উৎস বা খাত নির্ধারিত হয় এবং সে অনুসারে পরের স্ক্রিণগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।
পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য একদম নিচের দিকে রয়েছে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ বাটন।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অতিরিক্ত তথ্য
পূর্বের স্ক্রিণে প্রদত্ত তথ্যে জের ধরে এখানে যাচাইকরণের জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। যেমন- কাজের স্থান,মুক্তিযোদ্ধা বা প্রতিবন্ধী কিংবা অন্য প্রতিবন্ধীর আইনি অভিভাবক কিনা, বিনিয়োগের জন্য কর রেয়াত,কোনো কোম্পানির শেয়ার আছে কিনা,মোটরগাড়ি বা সিটি করপোরেশনে নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি।
আইটি১০বি
এই সেকশনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আইটি১০বি। যাবতীয় সম্পদের পরিমাণ যদি ৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই হেডটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। প্রদত্ত পরিমাণ সম্পদ না থাকলে আর এই অপশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ দিয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর একে একে এসেস্মেন্ট,ইনকাম,এক্সপেনডিচার,এসেট্স অ্যান্ড লায়াবিলিটিস এবং ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট ট্যাবগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পেজগুলো আসবে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
আয়ের বিস্তারিত বিবরণ
এখানে রয়েছে বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতি এবং বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্যসহ অন্যান্য আয়ের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব যুক্ত হবে। এই তথ্যগুলো নেট আয়ের হিসাবে যুক্ত হবে।
ব্যয়ের খাত
এই বিভাগটিতে সারা কর বছরে মোট আয়ের বিপরীতে প্রতিটি ব্যয়কে একত্রিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি ও ইউটিলিটিসহ বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, বাচ্চাদের স্কুল খরচ এবং অন্যান্য বিবিধ ব্যয়।
সম্পদ, ঋণ ও বিনিয়োগ খাত
এখানে যুক্ত হবে বিমা, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং স্টক বা শেয়ারসহ যাবতীয় বিনিয়োগগুলো। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অপশনের সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে রয়েছে স্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য প্রদানের জায়গা।
কর ও পরিশোধ
সামগ্রিক রিটার্নে কোনো করযোগ্য আয় বা বকেয়া অথবা অগ্রিম কর থাকলে তার স্বয়ংক্রিয় হিসাব হবে এই অংশে। উৎসে কর্তনকৃত কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করা হলে তা নেট হিসেবে বাদ যাবে। আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া বা ধার্য না হলে প্রদেয় করের পরিমাণ শূন্য হবে আর এভাবে প্রদান করা রিটার্ন ‘শূন্য রিটার্ন’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যাবতীয় ডেটা সরবরাহের পর ট্যাক্স পেমেন্ট স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে কর হিসাবের একটি সারাংশ দেখানো হবে। অতঃপর কোনো করযোগ্য পরিমাণ উল্লেখ থাকলে এবার তা পরিশোধের পালা।
এর জন্য ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করলে অর্থপ্রদানের জন্য কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং-এই তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে। এগুলোর যেকোনোটি নির্বাচন করে অনায়াসে নেট করটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা যাবে।
ই-রিটার্ন সনদ সংগ্রহ
রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কর প্রদানের রশিদ ও রিটার্ন সনদসহ প্রত্যেকটি ট্যাক্স রেকর্ড সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো যেকোনো সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে এখান থেকে ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে কাজে লাগানো যাবে।
এতক্ষণ ধরে যে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সবগুলো সহ পুরো রিটার্নটি অ্যাকাউন্টে নিরাপদে সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে যায়। এতে করে পরের বছরে নতুন করে পুরোনো হিসাব নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
শেষাংশ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের এই পদ্ধতি পুরোনো নথিকরণ এবং জটিল হিসেব-নিকেশের বিড়ম্বনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তবে ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে তথ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রিটার্নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি কাগজপত্র যোগাড় করে রাখা উচিত। ই-রিটার্নের সঙ্গে কোনো কাগজ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তথ্য পূরণে ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেগুলো সঙ্গে রাখা জরুরি। অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তা যেকোনো সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রদান করা প্রতিটি তথ্য এই অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত থাকে ফলে পরের বছরে জমা দেওয়ার সময় রিটার্নের তথ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা যায়।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
১৪১ দিন আগে
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ
ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যপদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেসড রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মতিউরের আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ আদালতের
এর আগে রবিবার মতিউর রহমান বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তার পক্ষে এস এম শামীম হোসাইন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২৪ জুন মতিউর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত তার প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউরকে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড থেকে অপসারণ
১৪৩ দিন আগে