এনবিআর
ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বিগত করবর্ষের ন্যায় এবারও যথারীতি অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের সুবিধা থাকছে। দেশের যেসকল নাগরিকের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) নম্বর আছে, তারা এই সুযোগটি নিতে পারবেন। সুতরাং নথিকরণ, ভিড় এবং সময় ক্ষেপণের বিড়ম্বনা এড়িয়ে এবারও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। সদ্য টিনপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন যাবত আয়কর প্রদানকারী সব পেশার মানুষকে একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্মের আওতাভুক্ত করেছে এই ইলেক্ট্রনিক পরিষেবা। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইলের ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবার বিগত বছরের হিসেব নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। চলুন, এই পরিষেবাটি ব্যবহারের পূর্বশর্ত এবং পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য কি কি প্রয়োজন
এনবিআর (ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভেনিউ)-এর ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য দরকার হবে একটি বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ই-টিন নম্বর। এখানে মূলত মোবাইল নাম্বারটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য মোবাইল থেকে *১৬০০১# নাম্বারে ডায়াল করতে হবে। এরপরের কাজ হলো এনআইডির সর্বশেষ চারটি সংখ্যা উল্লেখ করে সেন্ড করা। এর কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে উল্লেখিত এনআইডি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নাম্বারগুলোর তালিকা পাঠানো হবে। এই নাম্বারগুলো প্রত্যেকটি বায়োমেট্রিক করা। অন্যথায় এই তালিকা সম্বলিত ম্যাসেজটি আসবে না।
আরো পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
ই-রিটার্নের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আলাদা করে কোনো কাগজপত্র দিতে হয় না। কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি নির্ভুলভাবে দিতে হয়। তবে তথ্যের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া কর অফিস থেকে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি তথ্য-প্রমাণ যেন দেখানো যায় তার জন্যও কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা বাঞ্ছনীয়।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতি
.
ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে নিবন্ধন
প্রথমেই সরাসরি চলে যেতে হবে এনবিআর-এর ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে (https://etaxnbr.gov.bd/)। এখানে প্রদত্ত পরিষেবাগুলো থেকে ‘ই-রিটার্ন’ অপশনে গেলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে, যেখানে সাইটটিতে নিবন্ধন করা আছে কিনা- তা জানতে চাওয়া হবে।
এখানে ‘আই অ্যাম নট ইয়েট রেজিস্টার্ড’ বাটনে ক্লিক করা হলে নিবন্ধন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই সাইনআপ পেজে ১২ সংখ্যার টিন নাম্বার,বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে ‘ভেরিফাই’তে ক্লিক করতে হবে।
এরপর উল্লেখিত ফোন নাম্বারে ম্যাসেজের মাধ্যমে ছয় অংকের একটি ওটিপি কোড আসবে। এটি সাইনআপ পেজের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে পরপর দুইবার একটি নতুন পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আলফানিউমেরিক তথা অঙ্ক,অক্ষর ও বিভিন্ন চিহ্ন সম্বলিত হতে হবে। সহজ বা ছোট পাসওয়ার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিধায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সামনের দিকে অগ্রসর হবে না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গেই ই-রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এখানে মনে রাখতে হবে যে,ই-টিন যেহেতু এনআইডি দিয়ে করা হয় তাই এই সিস্টেমে দেওয়া নাম এবং মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক করা ব্যক্তির নাম একই হতে হবে। অর্থাৎ একজ ন ব্যক্তি তার নিজের বায়োমেট্রিক ভেরিফাই করা ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা থেকে অন্যজনের রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না।
নিবন্ধনের পর এবার সেই টিন নাম্বার,পাসওয়ার্ড ও নতুন ক্যাপচা পূরণ করে সাইন ইন করলে ই-রিটার্ন ড্যাশবোর্ডটি দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিটার্ন জমার ক্যাটাগরি নির্বাচন
ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনু বারে ‘সাবমিশন’ মেনুতে রয়েছে দুই ধরনের রিটার্ন পেজ। একটি সিঙ্গেল পেজ ও অপরটি রেগুলার রিটার্ন পেজ।
সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন
প্রধানত ৭টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এক পেজ-এ রিটার্ন জমা দেওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো:
• বার্ষিক করযোগ্য আয় অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা
• সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার কম
• গণকর্মচারী নন
• মোটরগাড়ির মালিকানা নেই
• সিটি করপোরেশনে কোনো বাড়ির মালিকানা নেই
• বিদেশে কোনো পরিসম্পদ নেই
• কোনো কোম্পানির শেয়ার নেই
এই মাধ্যমে এক পেজের মধ্যেই রিটার্নের যাবতীয় তথ্যাদির খসড়া করা যায়। এর মধ্যে থাকে আয়ের উৎস,মোট আয়,জীবনযাপন ব্যয়,সামগ্রিক পরিসম্পদ,আরোপযোগ্য কর,কর রেয়াত,উৎসে কর্তিত কর, প্রদেয় কর এবং রিটার্নের সঙ্গে দেওয়া কর।
সব তথ্য প্রদান শেষে পেজটি ড্রাফট হিসেবে রাখা যায়,আবার ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইন জমা সম্পন্ন করা যায়।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
রেগুলার ই- রিটার্ন
উপরোক্ত ৭ শর্তের বাইরে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এই বিস্তারিত রিটার্ন পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কর যাচাই, আয়-ব্যয়,বিনিয়োগ,সম্পদ,ঋণ এবং কর রেয়াতের মতো সনাতন পদ্ধতির বিষয়গুলো বিস্তারিত তথ্যের জন্য পৃথক স্ক্রিনে দেখানো হবে।
কর যাচাইয়ের তথ্য
এ অংশে প্রথমেই রিটার্ন স্কিম ঘরে সেল্ফ,এসেস্মেন্ট বর্ষ ও ইনকাম বর্ষের ঘরে সাল ও তারিখ পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। আয় করমুক্ত হলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ উল্লেখ করে দিতে হবে।
ডানপাশের হেডস অব ইনকামের নিচে যে অপশনগুলো রিটার্নদাতার জন্য প্রযোজ্য শুধুমাত্র সেগুলোতেই তিনি টিক দেবেন। এই হেডগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তির আয়ের উৎস বা খাত নির্ধারিত হয় এবং সে অনুসারে পরের স্ক্রিণগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।
পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য একদম নিচের দিকে রয়েছে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ বাটন।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অতিরিক্ত তথ্য
পূর্বের স্ক্রিণে প্রদত্ত তথ্যে জের ধরে এখানে যাচাইকরণের জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। যেমন- কাজের স্থান,মুক্তিযোদ্ধা বা প্রতিবন্ধী কিংবা অন্য প্রতিবন্ধীর আইনি অভিভাবক কিনা, বিনিয়োগের জন্য কর রেয়াত,কোনো কোম্পানির শেয়ার আছে কিনা,মোটরগাড়ি বা সিটি করপোরেশনে নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি।
আইটি১০বি
এই সেকশনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আইটি১০বি। যাবতীয় সম্পদের পরিমাণ যদি ৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই হেডটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। প্রদত্ত পরিমাণ সম্পদ না থাকলে আর এই অপশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ দিয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর একে একে এসেস্মেন্ট,ইনকাম,এক্সপেনডিচার,এসেট্স অ্যান্ড লায়াবিলিটিস এবং ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট ট্যাবগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পেজগুলো আসবে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
আয়ের বিস্তারিত বিবরণ
এখানে রয়েছে বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতি এবং বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্যসহ অন্যান্য আয়ের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব যুক্ত হবে। এই তথ্যগুলো নেট আয়ের হিসাবে যুক্ত হবে।
ব্যয়ের খাত
এই বিভাগটিতে সারা কর বছরে মোট আয়ের বিপরীতে প্রতিটি ব্যয়কে একত্রিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি ও ইউটিলিটিসহ বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, বাচ্চাদের স্কুল খরচ এবং অন্যান্য বিবিধ ব্যয়।
সম্পদ, ঋণ ও বিনিয়োগ খাত
এখানে যুক্ত হবে বিমা, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং স্টক বা শেয়ারসহ যাবতীয় বিনিয়োগগুলো। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অপশনের সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে রয়েছে স্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য প্রদানের জায়গা।
কর ও পরিশোধ
সামগ্রিক রিটার্নে কোনো করযোগ্য আয় বা বকেয়া অথবা অগ্রিম কর থাকলে তার স্বয়ংক্রিয় হিসাব হবে এই অংশে। উৎসে কর্তনকৃত কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করা হলে তা নেট হিসেবে বাদ যাবে। আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া বা ধার্য না হলে প্রদেয় করের পরিমাণ শূন্য হবে আর এভাবে প্রদান করা রিটার্ন ‘শূন্য রিটার্ন’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যাবতীয় ডেটা সরবরাহের পর ট্যাক্স পেমেন্ট স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে কর হিসাবের একটি সারাংশ দেখানো হবে। অতঃপর কোনো করযোগ্য পরিমাণ উল্লেখ থাকলে এবার তা পরিশোধের পালা।
এর জন্য ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করলে অর্থপ্রদানের জন্য কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং-এই তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে। এগুলোর যেকোনোটি নির্বাচন করে অনায়াসে নেট করটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা যাবে।
ই-রিটার্ন সনদ সংগ্রহ
রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কর প্রদানের রশিদ ও রিটার্ন সনদসহ প্রত্যেকটি ট্যাক্স রেকর্ড সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো যেকোনো সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে এখান থেকে ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে কাজে লাগানো যাবে।
এতক্ষণ ধরে যে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সবগুলো সহ পুরো রিটার্নটি অ্যাকাউন্টে নিরাপদে সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে যায়। এতে করে পরের বছরে নতুন করে পুরোনো হিসাব নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
শেষাংশ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের এই পদ্ধতি পুরোনো নথিকরণ এবং জটিল হিসেব-নিকেশের বিড়ম্বনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তবে ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে তথ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রিটার্নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি কাগজপত্র যোগাড় করে রাখা উচিত। ই-রিটার্নের সঙ্গে কোনো কাগজ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তথ্য পূরণে ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেগুলো সঙ্গে রাখা জরুরি। অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তা যেকোনো সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রদান করা প্রতিটি তথ্য এই অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত থাকে ফলে পরের বছরে জমা দেওয়ার সময় রিটার্নের তথ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা যায়।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
৩ সপ্তাহ আগে
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট খারিজ
ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যপদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমানের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেসড রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মতিউরের আইনজীবী এস এম শামীম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ আদালতের
এর আগে রবিবার মতিউর রহমান বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তার পক্ষে এস এম শামীম হোসাইন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২৪ জুন মতিউর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত তার প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউরকে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড থেকে অপসারণ
৩ সপ্তাহ আগে
হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
করদাতাদের হয়রানি কমাতে এবং জাতীয় কোষাগারে রাজস্ব আদায় বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে কর্পোরেট ট্যাক্স ফাইলিং, আয়কর আইনজীবীদের জন্য একটি অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা এবং সকল করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি বিশেষভাবে প্রস্তুত অ্যাপ।
বর্তমানে আয়কর আইনজীবীরা ম্যানুয়ালি তাদের গ্রাহকদের আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। কিন্তু করদাতাদের হয়রানি কমাতে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে গুরুত্ব দিয়েছে এনবিআর। কিন্তু এই পরিবর্তন আয়কর আইনজীবীদের জন্য সমস্যা তৈরি করে।
স্বতন্ত্র আয়করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য এনবিআর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একটি হিসাব খুলতে হবে।
এ জন্য সেই ব্যক্তির(করদাতার) বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের একটি সিমকার্ড লাগবে। তবে এটি ট্যাক্স আইনজীবীদের তাদের ক্লায়েন্টদের পক্ষে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং বিষয়টি সমাধানে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
তিনি বলেন, 'কর আইনজীবী ও করদাতাদের সমস্যা সমাধানে আমরা খুবই আন্তরিক।’
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষ এমন একটি ব্যবস্থা তৈরির জন্য কাজ করছে যেখানে আয়কর আইনজীবীরা তাদের নিজস্ব আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আয়কর আইনজীবীরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন।’
ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং বেসরকারি খাতের আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সরকারি চাকরিজীবীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা জারি করেছে এনবিআর।
সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানি যথাক্রমে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
এ পদ্ধতি থেকে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, রশিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা পেতে পারেন। এ ছাড়া যে কেউ বিগত বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।
ই-রিটার্নে দাখিলের করতে সফল নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নিবন্ধিত একটি বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন।
করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে বর্তমানে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সময় বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করপোরেট করদাতারা যাতে সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সেজন্য তার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'কিছুটা সময় লাগবে, এ বছর যদি আমরা সেটা করতে না পারি, তাহলে আমরা শতভাগ নিশ্চিত যে আগামী বছরের মধ্যে এটা হয়ে যাবে, যেখানে করপোরেট করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০তম দিন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
আগামী বছর থেকে আয়কর রিটার্নের জন্য একটি অ্যাপ চালুর পরিকল্পনাও করছে এনবিআর। আব্দুর রহমান খান বলেন, 'বিশেষভাবে প্রস্তুত অ্যাপের মাধ্যমে করদাতারা এ কাজ করতে পারবেন।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চলমান অনলাইন পদ্ধতিতে এসব বিষয় চালু করার পর এনবিআর সব করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের উদ্যোগ নেবে। ‘কিছু ব্যতিক্রমও থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে ৬০টি শুল্ক লাইন যৌক্তিক করবে এনবিআর
৩ সপ্তাহ আগে
৪৩ পরিষেবায় ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক
করজাল (ট্যাক্স নেট) সম্প্রসারণের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়াতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পিএসআর দাখিল (আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ) নিশ্চিত করার ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সেখানে এ বিষয়ে আরও সক্রিয় হতে কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এনবিআরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও সরকারি তহবিল সংগ্রহের জন্য ৪৩টি সেবার জন্য এখন আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বৈঠকের তথ্য অনুযায়ী, এনবিআর চেয়ারম্যান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট সেবায় পিএসআর দাখিল নিশ্চিত করতে বলেন।
আরও পড়ুন: সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সংযুক্তি প্রক্রিয়ায় এনবিআরের ৬ কর্মকর্তাকে নিযুক্ত
সম্প্রতি আব্দুর রহমান খান রিপোর্টারদের ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, যদি মাঠ প্রশাসন এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, তবে তা রাজস্ব বোর্ডের জন্য ট্যাক্স নেট সম্প্রসারণ এবং ট্যাক্স সংগ্রহ বাড়াতে কাজে লাগবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএসহ অন্যদের অধীন যেকোনো ভবন নির্মাণের জন্য পিএসআর দাখিল বাধ্যতামূলক।
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ম ঠিকমতো মানছে কি না, তা দেখার জন্য আমরা সেখানে পরিদর্শক পাঠাতে পারি।’
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মানলে এনবিআর তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে বলে উল্লেখ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা তাদের বোঝানোর জন্য আমাদের দল সেখানে পাঠাব এবং শেষ পর্যন্ত আমরা সংশ্লিষ্ট আইনগুলো বাস্তবায়ন করব। এটি বাধ্যতামূলক করা হবে এবং তা মানলে আর্থিক জরিমানা হবে।’
তালিকাভুক্ত প্রতিটি সেবায় পিএসআর দাখিল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে, টিআইএনধারী ও আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, দেশের ট্যাক্স নেটের পরিসর খুবই ছোট হওয়ায় অল্প পরিমাণ কর আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা যদি পিএসআর দাখিল নিশ্চিত করতে পারি তবে এটি নিয়মিত করদাতাদের উপরও চাপ সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,ট্যাক্স নেট সম্প্রসারণের মাধ্যমে নিয়মিত করদাতাদের সুবিধা দেওয়া তার প্রতিষ্ঠানটির জন্য সহজ হবে।
বর্তমানে দেশে কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭.৩ শতাংশ, যেখানে ভারতে এটি ১২ শতাংশ, নেপালে ১৭.৫ শতাংশ, ভুটানে ১২.৩ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৭.৫ শতাংশ।
দেশে করদাতা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে মাত্র ৫.২ শতাংশ মানুষ, যেখানে ভারতে এই হার ২৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বর্তমানে ই-টিআইএন নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৪১ লাখ কর রিটার্ন পেয়েছে এনবিআর। এর মধ্যে ব্যক্তিগত করদাতার সংখ্যাই বেশি। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদায় করা মোট রাজস্বের প্রায় ৩৩ শতাংশ আসে আয়করের মাধ্যমে। আয়কর আদায়ে গড় প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
পিএসআর প্রয়োজন এমন পরিষেবাগুলো হলো:
১. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণের জন্য আবেদন করা।
২. কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হওয়া।
৩. আমদানি নিবন্ধন সনদ বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি বা অব্যাহত রাখা।
৪. সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়নের ক্ষেত্রে।
৫. যেকোনো সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে।
৬. সাধারণ বিমার সার্ভেয়ার হিসেবে লাইসেন্স বা তালিকাভুক্তি প্রাপ্তি বা নবায়নের ক্ষেত্রে।
৭. কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা বা জেলা সদর বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পৌরসভার অভ্যন্তরে অবস্থিত জমি, ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট, যেখানে দলিল মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি হয়, সেক্ষেত্রে বাসিন্দা কর্তৃক হস্তান্তর, বায়নানামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অথবা জমি, ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয়ের রেজিস্ট্রি গ্রহণের ক্ষেত্রে।
8. একটি ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্ত বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
৯. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি বা সার্ভেয়ার বা অনুরূপ অন্য কোনো পেশায় পেশাগত সংস্থার সদস্যপদ অর্জন বা অব্যাহত রাখা।
১০. মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের এলআইআই) এর অধীনে নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখা।
১১. কোনো বাণিজ্য বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ লাভ বা অব্যাহত রাখা৷
১২. ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র সনদ, বিএসটিআই লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র প্রাপ্তি বা নবায়ন।
১৩. কোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ গ্রহণ বা অব্যাহত রাখা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় গ্যাসের আবাসিক সংযোগ গ্রহণ বা অব্যাহত রাখা৷
১৪. লঞ্চ, স্টিমার, ফিশিং ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, ডাম্ব বার্জ ইত্যাদিসহ যেকোনো নৌযানের জরিপ সনদ সংগ্রহ বা অব্যাহত রাখা, ভাড়ার জন্য চলাচল
১৫. পরিস্থিতি অনুযায়ী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জেলা বা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইট উৎপাদনের অনুমতি বা অনুমতির নবায়ন
১৬. যেকোনো সিটি করপোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত, আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের ইংরেজি ভার্সন অনুযায়ী শিক্ষা প্রদানকারী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিশুর বা নির্ভরশীল ব্যক্তির ভর্তি অনুমতি অর্জন
১৭. সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ বা অব্যাহত রাখা
১৮. কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তি বা চালু রাখা৷
১৯. অস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি বা অব্যাহত রাখা৷
২০. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র (এলসি) প্রণয়ন৷
২১. ৫ লাখ টাকার বেশি পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা।
২২. ১০ লাখ টাকার বেশি ক্রেডিট ব্যালেন্সসহ যেকোনো প্রকার ব্যাংক হিসাব খোলা ও চালু রাখা।
২৩. ৫ লাখ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্র (সঞ্চয়পত্র) ক্রয়।
২৪. উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদের যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ
২৫. যেকোনো যৌথ অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে মোটরযান, স্থান, আবাসন, বা অন্যান্য কোনো সম্পদ প্রদান।
২৬. ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে অথবা উৎপাদন কার্যক্রমে কোনো তত্ত্বাবধায়ক অবস্থানে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে "বেতন" হিসেবে যেকোনো পরিশোধিত আয়ের গ্রহণ।
২৭. সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তি
২৮. মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর বা মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্ট রিচার্জের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো কমিশন, ফি বা অন্য কোনো চার্জ গ্রহণ।
২৯. কোনো কোম্পানির কাছ থেকে কোনো পরামর্শ বা পরামর্শ সেবা, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ বা নিরাপত্তা সেবা প্রদান বাবদ কোনো প্রকার অর্থ গ্রহণ করা
৩০. মাসিক ১৬,০০০ টাকার অধিক পরিশোধের অর্থ এমপিওভুক্ত সরকারের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে এমন বিষয়৷
৩১. বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট নিবন্ধন বা নবায়ন৷
৩২. দুই ও তিন চাকার যানবাহন ব্যতীত যেকোনো প্রকার মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন৷
৩৩. এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির লাইসেন্সধারী ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাকে বৈদেশিক অনুদান প্রদান।
৩৪. যেকোনো ডিজিটাল প্লাটফর্ম কর্তৃক বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে যেকোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়।
৩৫. কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এবং সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ এর অধীন নিবন্ধিত ক্লাবের সদস্যপদের জন্য আবেদন করা।
৩৬. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে কোনো বাসিন্দা কর্তৃক দরপত্র দলিল দাখিল।
৩৭. কোনো কোম্পানি বা ফার্ম হতে যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা গ্রহণ।
৩৮. বাংলাদেশে আমদানি বা রপ্তানির জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল৷
৩৯. কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) বা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাভের উদ্দেশ্যে ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা দাখিল।
৪০. দলিল লেখক, ডাকটিকিট ও কোর্ট ফি বিক্রেতাদের নিবন্ধন৷
৪১. সমবায়, ট্রাস্ট, এনজিও ইত্যাদির ব্যাংক হিসাব খোলা৷
৪২. সিটি করপোরেশন এলাকায় বাসা ভাড়া ও ইজারা প্রদান৷
৪৩. নির্দিষ্ট সংস্থাগুলোর জন্য পণ্য সরবরাহ এবং সেবা প্রদান।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
১ মাস আগে
অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
স্বেচ্ছায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে প্রায় ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে।
নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল ও ঝামেলামুক্ত সেবার জন্য সব করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধের সুবিধার্থে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করেছে।
স্বতন্ত্র করদাতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে সহজেই এবং দ্রুত অনলাইনে তাদের রিটার্ন প্রস্তুত এবং দাখিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড), মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা, রসিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের সুবিধা পেতে পারেন।
যে কেউ পূর্ববর্তী বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্নটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা করার জন্য একটি কল সেন্টার চালু করেছে।
করদাতারা অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১ ৭১ নম্বরে কল করে ই-রিটার্ন সংক্রান্ত প্রশ্নের তাৎক্ষণিক টেলিফোন সমাধান নিতে পারবেন।
ইতোমধ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের দুইজন আইটি দক্ষ প্রতিনিধির টিওটি প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারবেন, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা হচ্ছে।
এছাড়াও অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবপেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজে www.facebook.com/nbr.bangladesh পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই ই-রিটার্ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া করদাতাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য করদাতার নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন হয়।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা জানা যায়।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা বিশেষ আদেশে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সকল সরকারি কর্মচারী, সকল তফসিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এই পেজের (www.etaxnbr.gov.bd) মাধ্যমে। তাদের জন্য (ই-রিটার্ন) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ই-রিটার্ন ব্যবস্থাকে করদাতাবান্ধব করে তুলতে নিবন্ধন ব্যবস্থার হালনাগাদ করাসহ www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
১ মাস আগে
শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বিদ্যমান আইনে এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি, ১০ কোটি টাকার বেশি, ২০ কোটি টাকার বেশি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রদেয় করের ওপর যথাক্রমে ১০, ২০, ৩০ এবং ৩৫ শতাংশ হারে সারসার্জ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন করদাতার ৫০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদ থাকলে, শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকার অতিরিক্ত আয়ের ওপর তাকে ১৫ শতাংশ কর এবং প্রদেয় কর ১৫ শতাংশের ওপর ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫.২৫ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২০.২৫ শতাংশ কর ও সারচার্জ দিতে হবে। তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে কম হারে (১০%/২০%/৩০%) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আয়কর ও সারচার্জের মোট হার নিট সম্পদের ভিত্তিতে ২০.২৫ শতাংশ থেকে আরও কম হবে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাসহ অন্য সব করদাতার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে (করবর্ষ-২০২৫-২০২৬), স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.২৫ শতাংশ করায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে বিক্রি করে মূলধনি আয়ের ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ।
এছাড়া সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ার বাজার হতে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইন অনুসারে আয়কর ও সারসার্জ বাবদ মোট ৪০.৫০ শতাংশ কর প্রদেয় হয়।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
১ মাস আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কর অব্যাহতি: দেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা
শুধু ১০টি প্রকল্প নয়, এখন আরও অনেক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এই ধরনের বেসরকারি বিনিয়োগে কর মওকুফ পুনর্বহালের জন্য এনবিআরের বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর এমন চিন্তাভাবনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান ১০টি প্রস্তাবিত কেন্দ্র ছাড়াও সৌর প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে এটি নিশ্চিত।
এর আগে বেসরকারি খাতে ১০টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগের উপর কর অবকাশ পুনর্বহালের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চেয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রস্তাবিত প্রতিটি কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হওয়ার কথা ছিল ৫০ মেগাওয়াট সেই হিসাবে মোট উৎপাদন ক্ষমতা হওয়ার কথা ছিল ৫০০ মেগাওয়াট।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'অবশেষে আমরা এ বিষয়ে এনবিআরের প্রজ্ঞাপন পেয়েছি এবং এখন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১০টির বেশি হবে।’
তবে এ ধরনের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট সংখ্যা কত হবে তা এখনো চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি ইউএনবিকে জানান।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ৩০-৪০টির মধ্যে হতে পারে।
গত ২৭ অক্টোবর জারি করা এনবিআরের পরিপত্র অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের ওপর ১০ বছরের কর অব্যাহতি পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতির আওতায় ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে, তারা ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ পাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত ও ব্যয়বহুল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে হাসিনা সরকার: উপদেষ্টা ফাওজুল
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘এসব কোম্পানি প্রথম ৫ বছরের জন্য শতভাগ, পরবর্তী ৩ বছরের জন্য ৫০ শতাংশ এবং বাকি ২ বছরের জন্য ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি পাবে।’
এতে আরও বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করতেই ১০ বছর মেয়াদে এই কর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৬ জুনে জারি করা একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ছাড়গুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, যেসব সংস্থা ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ এর মধ্যে তাদের বাণিজ্যিক অপারেশন তারিখ (সিওডি) অর্জন করবে, তারা কর ছাড় পাবে।
আগের গেজেটের শর্ত অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাদে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কর ছাড় পাওয়ার যোগ্য।
এনবিআরের আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলো ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শতভাগ আয়কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করবে; যা বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত আয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশি কর্মীরা বাংলাদেশে আসার পর তিন বছরের জন্য আয়কর ছাড় পাবেন।
পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আরও ছাড়ের মধ্যে রয়েছে সিওডি থেকে শুরু করে অপারেশনের প্রথম পাঁচ বছরের জন্য ১০০ শতাংশ, পরবর্তী তিন বছরের জন্য ৫০ শতাংশ এবং পরবর্তী দুই বছরের জন্য ২৫ শতাংশ আয়কর মওকুফ।
সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ স্থগিত করে এবং এই আইনের অধীনে অনুমোদিত ৩৪টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে।
এসব প্রকল্প মূলত কোনো দরপত্র প্রক্রিয়া ছাড়াই এবং অযাচিতভাবে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছিল।
এরপর বিদ্যুৎ বিভাগ ১০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অনেক সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী কর অব্যাহতি সুবিধা না পেয়ে দরপত্রে অংশ নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) প্রকল্পগুলোর দরপত্র দিতে পারেনি। এরপরই বিদ্যুৎ বিভাগ এনবিআরকে চিঠি দিয়ে কর অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের অনুরোধ জানায়।
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কর অবকাশ পুনর্বহালের পর তারা এখন আশা করছেন বেসরকারি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নিলামে আরও বেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রয়েছে - মোট সৌর প্রকল্পগুলো গড়ে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০টি পর্যন্ত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সক্ষমতা থেকে শুরু করে স্থান নির্ধারণ পর্যন্ত সবকিছু এ সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে।’
বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তর
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি চাহিদা পূরণের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) মতে, এটি অর্জনে আনুমানিক ১.৫ থেকে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।
স্বল্প কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে অগ্রগতির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমানভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতার দিকে মনোনিবেশ করছে।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট, জলবিদ্যুৎ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট এবং সৌরশক্তি থেকে ১ হাজার ৮০ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
পাওয়ার সেলের নথি অনুযায়ী, মোট ৩ হাজার ৯৬৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াটের প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪৩.৫ মেগাওয়াট প্রকল্প নির্মাণাধীন, ৬০৯ মেগাওয়াট লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ), ২২৮ মেগাওয়াট দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ২,১৮৩ মেগাওয়াট পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠন
১ মাস আগে
আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করতে পারে এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সংস্কার আনার প্রস্তাবের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
এনবিআরের সাবেক দুজন চেয়ারম্যান ও এনবিআরের সাবেক তিন সদস্যের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সাবেক দুই চেয়ারম্যান হলেন- মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ও ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক তিন সদস্য হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, ফরিদ উদ্দিন ও আমিনুর রহমান।
এই কমিটি রাজস্ব নীতি সংস্কার, রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা মূল্যায়ন ও আধুনিকায়ন; শুদ্ধাচার ও সুশাসনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়ন; নাগরিক যোগাযোগ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ততা কার্যক্রম এবং রাজস্ব সংস্কার সংশ্লিষ্ট যেকোনো নীতিগত পরামর্শ ও সুপারিশ দেবে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সচিব আমিনুল ৩ দিনের রিমান্ডে
এনবিআরের সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।
কিন্তু কমিটির কাজের কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কাদের কাছে প্রস্তাব জমা দেবে এবং প্রস্তাবে আইনি কাঠামো নিয়েও বিস্তারিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
কমিটির নেতৃত্বে কে থাকছেন সেটিও জানানো হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এই কমিটির এক সদস্য অভিযোগ করেন, কোনো নেতৃত্ব ছাড়া কমিটি চলবে কীভাবে?
সদস্য সচিব বৈঠক করতে বা অন্যান্য বিষয়ে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এই সদস্য আরও বলেন, বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনতে সরকার যে অন্যান্য কমিটি গঠন করেছে তাদের নিজ নিজ অফিস ও কর্মচারী রয়েছে।
তার প্রশ্ন, ‘আমরা বৈঠক বা আমাদের নিয়মিত কাজকর্ম করতে কোথায় বসব?’
কমিটির মেয়াদ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই কমিটি চিরকাল ধরে তো চলতে পারে না। অন্য প্রতিটি কমিটিতে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কমিটির সদস্যরা যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তাই এই মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকা উচিত।
এই পরামর্শক কমিটির বিষয়ে সরকার খুব শিগগিরই একটি ব্যাখ্যা দেবে বলে কমিটির সদস্য আশা প্রকাশ করেন।
৫ আগস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের সংস্কারে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি এনবিআরে দেওয়া বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এনবিআরের কর্মকর্তাদের করদাতাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কর আদায় না করে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
কোনো ধরনের কারসাজি না করে রাজস্ব কোষাগারে কর জমা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজস্ব মামলার জট কমাতে জোরদার উদ্যোগ এনবিআরের
২ মাস আগে
দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনির আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমলো ৫০ শতাংশ
দেশের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে পরিশোধিত ও কাঁচা চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ভোক্তাদের জন্য চিনির দাম আরও সহনীয় করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় এনবিআর।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, সম্প্রতি চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় কারণ দায়ী। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাংলাদেশি মুদ্রার উল্লেখযোগ্য অবমূল্যায়নের কারণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বেবি ফুডের মতো পণ্যও সাধারণ মানুষের কাছে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও চলমান বন্যা পরিস্থিতি অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সচিব আমিনুল ৩ দিনের রিমান্ডে
রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর ফলে অপরিশোধিত চিনির শুল্ক এখন প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৪ টাকা ২৬ পয়সা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম একই পরিমাণে কমবে বলে আশা করছে এনবিআর।
শুল্ক কমানো হলে অবৈধ চ্যানেলে চিনি চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ আমদানি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছে এনবিআর।
বাংলাদেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২ থেকে ২২ লাখ টন, যেখানে দেশের চাহিদার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চিনি দিয়ে পূরণ করা হয়।
বর্তমানে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও দেশবন্ধু সুগার মিলস- এই পাঁচটি বেসরকারি চিনিকল দেশের বার্ষিক পরিশোধিত চিনির চাহিদার ৯৮ শতাংশের বেশি আমদানি করে। আর অপরিশোধিত চিনি বেশিরভাগই ব্রাজিল থেকে আসে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব মামলার জট কমাতে জোরদার উদ্যোগ এনবিআরের
২ মাস আগে
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সচিব আমিনুল ৩ দিনের রিমান্ডে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সোমবার (৭ অক্টোবর) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে সাবের হোসেন চৌধুরী
অপর পক্ষে আসামির আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে রবিবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে নজিবুর রহমানকে ও বনানী থেকে আমিনুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল। এই মহাসমাবেশকে পন্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম মারা যান।
এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতা ডাবলু ও যুবলীগ নেতা রুবেল ৫ ও ৩ দিনের রিমান্ডে
২ মাস আগে