ওই বিনিয়োগকারীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৩ ঢাকার দেয়া রায় অনুসারে ইউনিপেটুইউতে বিনিয়োগকারীর (আবেদনকারী) অর্থ বিতরণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং আবেদনকারীর তিন কোটি ৫ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে সুদসহ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগ, আইন সচিব ইউনিপেটুইউসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মিরপুর-১০ এর বাসিন্দা মো. মনজুর হোসেন আবেদনকারী হিসেবে এ রিট করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জিয়াউল হক ও আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন।
দুদক ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি ইউনিপেটুইউর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ইউনিপেটুইউর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ৬ জন কর্মকর্তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২৭০২ কোটি ৪১ লাখ ১১ হাজার ৭৮৪ টাকা ১৪ পয়সা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, তিনটি হিসাব নম্বরের বিপরীতে সর্বমোট ৪২০ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৩ টাকা জব্দ করা আছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের লাখ লাখ জনসাধারণের আমানতের একটি ক্ষুদ্র অংশ উক্ত অবরুদ্ধ টাকা। উক্ত টাকা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্তক্রমে তাদের তালিকা প্রস্তুত করে ন্যায় সঙ্গতভাবে তা ফেরত দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন জানান, এতদিনেও বিশেষ জজ আদালতের রায় অনুসারে বিনিয়োগ করা অর্থ বিতরণ না করার নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মনজুর হোসেন। আদালত চার সপ্তাহের জন্য উক্ত রুল জারি করেছে।