সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তার (ইসি মাহবুব) এ কথাগুলো বলার আগে পদত্যাগ করেই বলা প্রয়োজন। তিনি তার যেসব ব্যর্থতার কথা বলেছেন এসব কথা পদে থেকে বললে তা আত্মপ্রবঞ্চনা হয়। এগুলো পদত্যাগ করে বললেই বরং সমীচীন হয়।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে ইসি মাহবুব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইনত স্বাধীন, কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সেই স্বাধীনতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাছে বন্দী। এ জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন যদি গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হয়, তাহলে গণতন্ত্রের পদযাত্রা অবারিত করতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হতে হবে।’
অবৈধভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জনগণের প্রতি বা গণতন্ত্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার আমাদের দাবিতেই বেশি হয়েছে। বাংলাদেশে আজ যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার দাবি ছিল। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াতে অনেক সংস্কার হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি যুগের পরিবর্তনে, সময়ের পরিবর্তনে যেকোনো সময় হতে পারে। এক সময় আমাদের দেশে হাত তুলে ভোট নেয়া হতো। পরে সেই ভোট ব্যালটের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। এরপর এখন ইভিএম মেশিনে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সুতরাং নির্বাচন গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে মাহবুব তালুকদার যে কথা বলেছেন তা স্বপদে থেকে বললে আত্মপ্রবঞ্চনা হয়।’