প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান শুক্রবার ইউএনবিকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে আগামী ১ জুলাই থেকে বিতরণ করা শুরু হবে।’
ই-পাসপোর্টে থাকে ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ, যাতে সংরক্ষিত বায়োমেট্রিক তথ্য বিশ্লেষণ করে পাসপোর্ট বহনকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গত বছরের ১৯ জুলাই এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও জার্মানি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ‘ই-পাসপোর্ট চালু এবং স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ পদ্ধতি ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চলবে।
ডিআইপি সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তহবিলের ব্যবস্থা না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়।
রাজধানীর উত্তরার একটি কারখানায় ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হবে। যদিও সরকার প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট জার্মানিতে প্রিন্ট করার পরিকল্পনা করেছিল।
প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। অপরদিকে অন্যান্য আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বিদ্যমান এমআরপি দেয়া অব্যাহত থাকবে। এমআরপি পাসপোর্টগুলো মেয়াদ পর্যন্ত বৈধ থাকবে।
অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে দেশব্যাপী প্রতিটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে ই-গেট বসানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।