প্রথাগত চিড়িয়াখানার ধারণাকে ভেঙে নতুন উপায়ে পশুপাখি প্রদর্শনের পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পুরো চিড়িয়াখানার দেয়ালে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন পশুপাখির প্রতিচিত্র।
মূল চিড়িয়াখানা সাজানোর পাশাপাশি পাশের বিশাল একটি পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে পাখির অভয়ারণ্য। সেই সাথে সেখানে ছেড়ে দেয়া হবে হিংস্র নয়, এমন ছোট ছোট কিছু প্রাণী।
১৯৮৯ সালে ৫ একর জায়গায় গড়ে তোলা এ চিড়িয়াখানার বিশাল একটি অংশই পাহাড়ি এলাকা।
দেশীয় প্রজাতির পাশাপাশি লাভ বার্ড, লাফিং ডাভ, ফিজেন্ট, রিং নেড প্যারট, কোকাটেইল এবং ম্যাকাও’র মতো বিদেশ পাখির ঠাঁই মিলেছে এ চিড়িয়াখানায়।
জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বছরে প্রায় ১১ লাখ দর্শনার্থী আসেন।
পাহাড়ে পাখির অভয়ারণ্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়টি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় এটি অরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ধসের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন ধারণায় কাজ শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই একরের পুরো পাহাড়ে ফলের গাছ লাগিয়ে পাখিদের অভয়ারণ্য করা হবে। সে সাথে দর্শনার্থীদের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে অন্যান্য প্রাণীরাও।
পাহাড় ধস ঠেকাতে পুরো চিড়িয়াখানা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে রিটানিং ওয়াল। আর চিড়িয়াখানাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় এবং ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সেই দেয়ালগুলোতে পশুপাখির প্রতিচিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির ৬৩০ রকমের পশুপাখি রয়েছে। এর মধ্যে দুর্লভ সাদা বাঘের বাচ্চা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে দর্শনার্থী আকর্ষণ করার মতো সিংহ, জেব্রা, ভাল্লুক, কুমির এবং হরিণ।