বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত শিক্ষা ও উচ্চমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে পারেন একমাত্র একজন আদর্শ শিক্ষক। আদর্শ শিক্ষকই পারেন একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ ও দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতেও দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা দক্ষ না হলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে শনিবার (২৯ জুন) সকালে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
ময়মনসিংহের তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধাপক ড. গোলাম রাব্বানী।
কৃষিবিদদের ভূমিকা সম্পর্কে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনন্য গবেষণার মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে গেলেও কৃষিবিদদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্য ও মৎস্য সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
সচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এক যুগে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি সাধন করছে। তাই উচ্চশিক্ষা পরিবারের সকলের দায়িত্ব এই অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রম তুলে ধরেন বাকৃবি, জাককানইবি ও বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের