উচ্চ শিক্ষা
উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত শিক্ষা ও উচ্চমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে পারেন একমাত্র একজন আদর্শ শিক্ষক। আদর্শ শিক্ষকই পারেন একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ ও দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতেও দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা দক্ষ না হলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে শনিবার (২৯ জুন) সকালে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
ময়মনসিংহের তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধাপক ড. গোলাম রাব্বানী।
কৃষিবিদদের ভূমিকা সম্পর্কে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনন্য গবেষণার মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে গেলেও কৃষিবিদদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্য ও মৎস্য সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
সচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এক যুগে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি সাধন করছে। তাই উচ্চশিক্ষা পরিবারের সকলের দায়িত্ব এই অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রম তুলে ধরেন বাকৃবি, জাককানইবি ও বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
৫ মাস আগে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উচ্চ শিক্ষাকে কর্মমুখী করতে ও শিক্ষার্থীদের কর্ম সংশ্লিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।
আরও পড়ুন: ২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, এডিবির সবচেয়ে বড় সহযোগী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
এই প্রতিনিধি দলে আরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন- এডিবির বাংলাদেশ মিশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টরএডিয়েনন গিনটিং, এডিবি অফিসের পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্সের সিনিয়র ডাইরেক্টর নিয়াজি, এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন ডিপার্টম্যান্টের ডাইরেক্টর আসিফ সারদ চিমা, এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডাইরেক্টর জিয়াংবো নিং, এডিবির কান্ট্রি অপারেশন হেড না উন কিম, এডিবির এক্সটার্নাল রিলেশনের টিম লিডার গোবিন্দ বার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে ইউএস শিক্ষা মেলায় হাজারো তরুণ-তরুণীর ভিড়
উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে হাজারো তরুণ-তরুণীর ভিড় করেছিল বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু বে ভিউর মেজবান হলে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে এখানে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইউনিভার্সিটি ফেয়ার’। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশন প্রোগ্রামের অংশীদারিত্বে শিক্ষা মেলাটির আয়োজনে ছিল ‘এডুকেশন ইউএস প্ল্যাটফর্ম’।
এই মেলায় আগ্রহ নিয়ে শিক্ষার্থীরা এসেছিলেন চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান খাগড়াছড়ির শিক্ষার্থীরা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যাবতীয় তথ্য সাজিয়ে মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনন্য সুযোগ তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীরা একাডেমিক প্রোগ্রাম, ক্যাম্পাস জীবন, আর্থিক সহায়তার সুযোগ, আবেদন পদ্ধতি এবং আবেদন ফি মওকুফ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য জানতে পারেন।
শিক্ষা মেলায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার স্বপ্ন চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষার্থীর। এ কারণে চট্টগ্রাম ছাড়াও এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে এসেছেন। এই মেলায় যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিমের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন ৩ হাজার ৩১৪ জন। সেখান থেকে বেড়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৯৭ জনে।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার জন্য আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে উচ্ছ্বসিত: রাষ্ট্রদূত হাস
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিগত শিক্ষাবর্ষে ১৪তম ছিল। এখন এক ধাপ এগিয়ে ১৩তম হয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে আরও ছাত্রছাত্রী যুক্তরাস্ট্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলুক।
চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলগুলোতে গিয়ে ভর্তির নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। কীভাবে আবেদন করতে হবে, আবেদনের যোগ্যতা কী, স্নাতকে ফলাফল কী লাগবে, গবেষণা প্রবন্ধ লাগবে কি না, এসব প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা।
মেলায় আসা শিক্ষার্থী নাফিস আকবর বলেন, ইন্টারনেটে অনেক তথ্যই গোছানোভাবে পাওয়া যায় না। কিন্তু মেলায় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থী আয়শা বিনতে রাজ্জাক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জিআরই পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছেন। সুযোগ পেলে তিনি সেখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে চান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী রিদোয়ান আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে চান।
তিনি বলেন, ‘অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি বিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। সেখানে আইন নিয়ে পড়তে চাই। ইন্টারনেটে ঘেঁটে নানা তথ্য জোগাড় করেছি। তবে মেলায় এসে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর সহজে পাওয়া গেছে। কীভাবে, কখন আবেদন করতে হবে, আবেদনের শর্ত কী কী, কত টাকা খরচ হবে-এসব তথ্য জানতে পেরেছি।’
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার বনানীস্থ শেরাটনে অনুষ্ঠিত হবে মেলাটি। তবে ঢাকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আলাদাভাবে মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে বলে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
১ বছর আগে
আইডিপি এডুকেশনের উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক মিট-আপ ৫ আগস্ট
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক মিট-আপের আয়োজন করেছে আইডিপি এডুকেশন বাংলাদেশ। রাজধানীর রেনেসান্স ঢাকা গুলশান হোটেলে আগামী ৫ আগস্ট এই মিট আপ হবে।
সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আর এই মিট-আপে যুক্তরাজ্যের রাসেল গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেবে।
এই মিট-আপে ছাত্র ছাত্রীরা অন-স্পট অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে অন-স্পট অফার ইন প্রিন্সিপালও পেতে পারেন। এর সঙ্গে থাকবে বৃত্তির সুবিধাও।
আইডিপি বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। যারা আইইএলটিএস পরীক্ষার যৌথ মালিক। একই সঙ্গে কোনোরকম সার্ভিস ফি ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে।
আইডিপি এডুকেশন মূলত অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি। যারা বিগত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড নিয়ে কাজ করছে।
আসন্ন মিট-আপে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে https://bangladesh.idp.com/gvAAq9 ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। অথবা অফিস চলাকালীন সরাসরি কল করুন- ০৯৬৬৬৭৮২৭৮২নম্বরে।
এ ছাড়া সরাসরি ভিজিট করতে পারেন সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গুলশান, ধানমন্ডি, চট্টগ্রাম ও সিলেট অফিসে।
১ বছর আগে
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছেন তার থেকে কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী চাঁদপুর সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় যারা পাস করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হন। কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে আবার কেউ আইনে চলে যান। আবার অনেকে আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্য।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, আমাদের সারাদেশে দুই হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে। সেখানেও অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। আবার অনেকে কারিগরি শিক্ষার জন্যও যান। সব মিলিয়ে আমাদের আসন সংখ্যা যে পরিমাণ রয়েছে তা পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি।
ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হতে কোনো অসুবিধা হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যা কিছুই করছি, সবই নতুন প্রজন্মের জন্য। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তার কন্যা আমাদের দেখাচ্ছেন, সেই বাংলাদেশ গড়বার মূল কারিগর হবেন আমাদের নতুন প্রজন্ম।
এছাড়া আমাদের কাজ হচ্ছে সকল জঞ্জাল সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি মসৃন পথ তৈরি করে দেয়া।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আশায় নিরাশা এনে দিয়েছে লকডাউন!
গত মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশে করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকায় সরকার সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে। কিন্তু পরবর্তীতে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিলে এবং ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। যদিও এখনও দেশে শিথিলভাবে লকডাউন চলছে।
কিন্তু এই লকডাউনের ফলে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী হাজার হাজার শিক্ষার্থী, যারা ইতিমধ্যেই ভর্তি এবং স্কলারশিপের সুযোগ পেয়েছিল, তারা শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে।
৫ এপ্রিল থেকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস পূর্বের সকল ভিসা ইন্টারভিউ বাতিল করে এবং নতুন ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া বন্ধ করে দেয়। করোনা লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা যতদিন চলবে, ততদিন এমন অচলাবস্থাই চলবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। এতে অনেক শিক্ষার্থীই তাদের ফান্ডিং এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সকল আশঙ্কা করছে।
দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি এবং ভারতে করোনার অস্বাভাবিকতার কারণে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দিন-দিন বেড়েই চলেছে।
বিশ্বে উচ্চশিক্ষায় সেরা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ, ফেলোশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে। দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই নিজেদের আমেরিকার পড়ার জন্য প্রমাণ করেছে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে আগ্রহী। কিন্তু ২০২০ সালের মতোই একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভিসা প্রত্যাশীদের।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী সম্মানজনক স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকাতে গবেষণার মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য যায়। সারাবিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই বিদেশে পড়বার সুযোগ করে নেয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এতে করে দেশেরও সুনাম বৃদ্ধি পায়।
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত তিনটি সেশনে ভর্তি হতে পারে, যেমন স্প্রিং (জানুয়ারি), সামার (মে) এবং ফল (জুলাই-আগস্ট)। সাধারণত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফল সেমিস্টারে ভর্তি হতে পছন্দ করেন। কিন্তু ২০২০ সালের ফল সেমিস্টারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা করোনার প্রকোপের কারণে এখনও সেশন শুরু করতে পারেনি।
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও শিক্ষার্থী যদি ভর্তি হবার পর সঠিক সময়ে ক্লাস শুরু হবার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে তার ভর্তি এবং স্কলারশিপ বাতিল হয়। কিন্তু কিছু করোনার কারণে কিছু শিক্ষার্থী তাদের ভর্তির মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছে। তাই ২০২১ সালের সামার এবং ফল সেশনে ভিসার চাহিদা অন্যসময়ের তুলনায় বেশি।
আরও পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
কিন্তু ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের কারণে আমেরিকান দূতাবাস সকল প্রকার ভিসা ইন্টার্ভিউ বাতিল করে দেয়। তবে সামার সেশনের জন্য আগামী ১১ মে জরুরি ভিসাস ইন্টার্ভিউ এর ব্যবস্থা করেছে দূতাবাস। যদিও ফল সেমিস্টারের ভর্তিচ্ছুদেরও এখন ভিসা পাওয়া প্রয়োজন।
লকডাউনের মধ্যেই সরকার জরুরি সেবা, শিল্প-কারখানা, বিপণীবিতন এবং আন্তঃশহর পরিবহন সেবা চালু করলেও, মার্কিন দূতাবাস নতুন করে কোনও ভিসা আবেদন গ্রহণ করছে না। দূতাবাস বলছে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু হবে সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাবার পর। যদিও প্রতিবেশী দেশ চিন এবং শ্রীলঙ্কা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে, কিন্তু মার্কিন দূতাবাস এব্যাপারে তেমন কোনও বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
যেহেতু ভর্তি পেছানোর আর তেমন সুযোগ নেই এবং পরপর দুই বছর একই সমস্যার সম্মখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, তাই স্কলারশিপের সুযোগ অনেকটা হাতছড়া হবার অবস্থাই হয়েছে। অনেক আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ অফার করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না।
কেস স্টাডি:
চুয়েট থেকে পাস করা যুক্তরাষ্ট্রে পিএইডি ডিগ্রি করার সুযোগ পাওয়া জ্যোতিরময়ী সাহা বলেন, “আমি ফান্ডিং এর মাধ্যমে ফল ২০২০ সেশনে ভর্তির সযোগ পাই। কিন্তু দুইবার আমাকে ভর্তি প্রক্রিয়া পেছাতে হয়েছে। ফান্ড ছাড়া আমার পক্ষে এই ডিগ্রি নেয়া সম্ভব না। যদি এবারও না হয়, তবে আমার পক্ষে আর ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে না।”
আরও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ফাতিমা মুক্তি জানান, তিনি সাউথ ক্যারোলিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল ফেলোশিপসহ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়েছেন। তার ভর্তি হবার কথা ছিল ফল ২০২০ সেশনে। কিন্তু পুরো গবেষক দলের মধ্যে একমাত্র তিনিই এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন কোর্স করাসহ আবেদনের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান চলমান এই পরিস্থিতির কারণে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার এই খরচ বহনের অবস্থাতেও নেই।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনা প্রকোপ রোধে লকডাউন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার যদি শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়া লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখে, তাহলে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
এই অচলাবস্থা দূর করার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে। তাদেরকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলেও, এখনও অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি দেয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
৩ বছর আগে