রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিডা আয়োজিত ব্যবসা সহজীকরণ সূচক বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস (ব্যবসা সহজ করা) সূচকে কোন দেশের অবস্থান কতটুকু-এ নিয়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আট ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম হলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য নানা ধরনের সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে আর বিডা এ লক্ষ্যেই কাজ করছে।’
বিডার নির্বাহী সদস্য মো. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক বিষয়ক এ কর্মশালায় ব্যবসা সহজীকরণের বিভিন্ন সূচকে এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত সংস্কার এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ সময় বিডার পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় তিন সূচকে বর্তমান অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করবে স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংক ও বিডা
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ব্যবসা সহজীকরণের যে ১০টি সূচক আছে তা নিয়ে বিডা কাজ করে যাচ্ছে। এর জন্য আমরা বিভিন্ন আইনের সংস্কারসহ নানা ধরনের সুপারিশ করছি এবং তা বাস্তবায়িতও হয়েছে। ব্যবসা সহজীকরণ সূচকগুলোতে উন্নতি করতে হলে দাতা গ্রহীতাসহ সকলকে সমঝোতার ভিত্তিতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
২০২১ সালের মধ্যেই ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশ ‘ডাবল ডিজিটে’ পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিডার অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিসে যুক্ত আরও ৬ সেবা
সভাপতির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে দুই অঙ্কের ঘরে, অর্থাৎ ১০০-এর নিচে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূচকে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা দ্রুত ও সহজ সেবার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এ জন্য আমরা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।’
কর্মশালায় বিডার মহা-পরিচালক মো. ওয়াহিলুদ ইসলাম স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।