বিডা
বিদেশি বিনিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থাকছে না: নাহিয়ান রহমান
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ব্যবসা উন্নয়ন (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) প্রধান নাহিয়ান রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এসে যে পাঁচটি সমস্যার কথা বলেন, তার একটি হচ্ছে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঝামেলা। সরকার সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এছাড়া সিদ্ধান্তগুলো অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত ও সহজ হওয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও থাকছে না।
বিনিয়োগ সম্মেলনের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে এনবিআরের হয়রানি নিয়ে কথা ওঠে। সে বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিয়ান বলেন, ‘বিডা থেকে যখন দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলি, তখন তাদের মূল পাঁচটি সমস্যার একটি ছিল এনবিআরসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে জিনিসপত্র বের করতে যে অনেক সময় লাগে বা ঝামেলায় পড়তে হয়, সেটি।’
‘কীভাবে আমরা এই জিনিসটা আরও সহজ করতে পারি, সেটি এখন আমাদের অগ্রাধিকার এজেন্ডা। আর আমরা এখন গ্রিন চ্যানেল বা অথরাইজড ইকনোমিক অপারেটর চালু করেছি; আমাদের সিঙ্গেল উইন্ডো চালু হয়েছে। সুতরাং এনবিআরের পক্ষ থেকে এই জিনিসগুলো কীভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে।’
সম্মেলনে এদিন তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল অধিবেশনে মূল বক্তব্য রাখেন ইয়ংওয়ান করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিহাক সাং।
বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনামে শ্রমিকের ক্ষেত্রে ত্রিশ শতাংশ বেশি খরচ হওয়ার পরও সেখানে তাদের লাভ বেশি হচ্ছে। তাদের মতে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের উৎপাদনক্ষমতা কম। এটি নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন—প্রশ্নে নাহিয়ান বলেন, ‘কিহাক সাংয়ের অভিযোগটিকে আমরা ভ্যালিড (বৈধ) বলে মনে করি। কিন্তু ভিয়েতনামে যে পণ্য তিনি বানান, সেগুলো মোর ভ্যালু অ্যাডেড গার্মেন্টস ও সিনথেটিক গার্মেন্টস। এজন্য সেখানে খরচ বেশি পড়লেও লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন।’
‘আমাদের এখানে তাদের ব্যবসায়ের পুরোনো দিনের কিছু সমস্যা ছিল। সে কারণে সেই সমস্যার সমাধানের আগে নতুন করে সিনথেটিক বা হাইভ্যালু গার্মেন্টসে বিনিয়োগ করতে পারতেন না। কিন্তু কেইপিজেডে নতুন করে একটি সিনথেটিক লাইন খুলেছেন। ওখানে এখন তারা হাইভ্যালু গার্মেন্টস উৎপাদন করছেন। যেটি অবশ্যই লাভজনক হবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল চীনের হান্ডার সঙ্গে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। সেখানে তাদের বড় একটি বিনিয়োগ ছিল এই সিনথেটিক গার্মেন্টেসের ওপর। আমরা যদি এভাবে আরও দুয়েকটি হাইভ্যালু অ্যাংকর ইনভেস্টমেন্ট পাই, তখন ভ্যালু অ্যাডেড গার্মেন্টসে আরও বেশি বিনিয়োগ পাওয়া শুরু করব।’
বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার বিনিয়োগকারীরা এসে দেখেছেন যে, এ বিষয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে ৭০ জনের মতো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকায় তাদের অনুমোদন পেতে কষ্ট হতো, এখন হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন—২৫ থেকে ২৬ জন উপদেষ্টা আছেন। এখন সিদ্ধান্তগুলোও অনেক বেশি সেন্ট্রালাইড (কেন্দ্রীভূত) ও সহজ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নিজেরাও তা বলেছেন। তবে আমাদের আরও অনেকদূর যেতে হবে।’
এই সম্মেলনে কতগুলো দেশ থেকে কী পরিমাণ বিনিয়োগ পেলাম—প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গতকাল আমরা যে কয়েকটি হাইভ্যালু সমঝোতায় সই করেছি, তার মধ্যে হান্ডার ১৫০ মিলিয়ন ডলার, যেটা এই সম্মেলনেই সই হয়েছে। তার আগে গতকাল সকালে জানলাম, ১১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পেয়েছে স্টার্টআপ কোম্পানি শপআপ। কোনো কিছু আসলে একদিনে হয় না, অনেক দিনের কাজের ফল এগুলো।’
কী পরিমাণ বিদেশি এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন—প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের বিভিন্ন অংশে আমরা ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০’র মতো বিদেশি অংশগ্রহণকারী পেয়েছি। তবে একই কোম্পানি থেকেও দুজন করে এসেছেন।’
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনে বেসরকারি খাতকেও মোবিলাইজ করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে নাহিয়ান রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দিক থেকেও অনেক তৎপরতা ছিল। আমরা কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে সবকিছু না করে সবাইকে নিয়ে কীভাবে বিনিয়োগের পাইপলাইনটিকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেটিই ছিল আজকের অন্যতম লক্ষ্য।’
এ সময়ে বিডার নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব ও প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
২২ দিন আগে
এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে এক্সিলেন্স ইন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিকাশসহ আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে এ সম্মেলনে। এরমধ্যে ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে ফেব্রিক লাগবে লিমিটেড, বিদেশি বিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে ওয়ালটন ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পেলেন ইয়াংওয়ানের চেয়ারম্যান
বিদেশি বিনিয়োগ এনে দেশের অর্থনীতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্ভাবন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নিরন্তর কাজ করে যাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ বিকাশকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসি, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, চায়নার আলীবাবা গ্রুপের অ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল ও জাপানের সফটব্যাংক ভিশন ফান্ডের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ।
২৩ দিন আগে
জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৯ হাজার ৬২৬ দশমিক ৪২৫ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
গত ১৯ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বিডা।
একই সময়ে বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠানসহ ২২৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। এরমধ্যে ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় ও ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
নিবন্ধিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯১ দশমিক ৯৯২ মিলিয়ন টাকা এবং বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৯৩৪ দশমিক ৪৩৩মিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও বিডার সেবাচুক্তি স্বাক্ষর
২০২২ সালের একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিনিয়োগের মোট প্রস্তাব ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার ১০৩ দশমিক ৩৯২ মিলিয়ন টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছর একই সময়ে বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৭৬ দশমিক ৯৬৭ মিলিয়ন টাকা।
উল্লেখ্য যে, গত তিন মাসে সেবা খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগের বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমিকভাবে রাসায়নিক শিল্প খাত, খাদ্য এবং এ সংক্রান্ত শিল্প খাত, প্রকৌশল শিল্প খাত এবং বস্ত্র শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই তিন মাসে বিডা'য় (স্থানীয় ও বৈদেশিক) নিবন্ধিত সর্বমোট ২২৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে মোট ৫৭ হাজার ৯৩৭টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
৫৫৬ দিন আগে
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত।
সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ভারত চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিনিয়োগের বিভিন্ন খাত, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং বিডা’র সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বিডা’র মহাপরিচালক জনাব শাহ মোহম্মদ মাহাবুব।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত একযুগে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, দারুণ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা গন্তব্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও আমরা ইতোমধ্য ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৭টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ নানাবিধ বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
যার ফলে বাংলাদেশ এক দশক পরেই একটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়।
এসময়ে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন জি খইতান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনীয়গকারীগণ সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি অভিক রয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো যাচাইয়ের জন্য আমরা চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।
এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত যাচাই করব। আমাদের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনয়োগ করতে আগ্রহী।
এ সময়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
৭৭৩ দিন আগে
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা নিন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য তার সরকারের দেয়া সবধরনের সুযোগের সর্বোচ্চ সুবিধা লুফে নিতে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিনিয়োগকারীরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ কাঙ্খিত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।’
রবিবার রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য আমরা সম্ভাবনাময় ১১টি খাত চিহ্নিত করেছি। এগুলো হচ্ছে অবকাঠামো, পুঁজিবাজার, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিকস উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাট-বস্ত্র এবং ব্লু-ইকোনমি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ জনগণের রায় পেয়ে সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আকর্ষণীয় প্রণোদনার মাধ্যমে উদার বিনিয়োগ নীতি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের মধ্যে ভৌগলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থার ফলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ৬০ শতাংশেরও বেশি পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে আসছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় শিল্প নীতির পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ পাশ করেছে, প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী শিল্পের বৃদ্ধির জন্য বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণের কথা বিবেচনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছে এবং পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
১২৫১ দিন আগে
২০ নয়, এক জায়গায় সব সুবিধা পাবে এলপিজি ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অপারেটররা লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওয়ান স্টপ সার্ভিসের অন্তুর্ভুক্ত হতে চলেছেন। এর ফলে এলপিজি অপারেটরদের এখন থেকে আর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ২০টি প্রতিষ্ঠানে দৌঁড়াতে হবে না। এর ফলে তাদের পরিচলানা খরচও কমে যাবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সূত্র মতে, এলপিজি সেক্টরের প্রসার ও নৈতিকতা বজায় রাখতে খুব দ্রুতই অপারেটরদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস বা এক জায়গায় সব সেবার ব্যবস্থা করা হবে।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মতো ওয়ান স্টপ সার্ভিস ব্যবস্থার মাধ্যমে সকল সুবিধা এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’
আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে এলপিজি অপারেটরদের বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সহ বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক এবং লাইসেন্সিং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।
এ ব্যাপারে বসুন্ধরা এলপিজির বিপণন প্রধান জাকারিয়া জালাল বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি অপারেটরদের জেলা হতে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত প্রায় ২১টি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হতে হয়।
এই শিল্পের সাথে জড়িত এবং ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, জ্বালানিক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকার কারণে ব্যবসায়ী ও ভোক্ত পর্যায়ে দিন-দিন দাম বেড়েই চলেছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর এসকল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দেয়া ফি এর অতিরিক্ত খরচের সবশেষে ভোক্তার ওপরই চাঁপানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ এলপিজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজম জে চৌধুরী এক সেমিনারে বলেন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবছর সরাকরি ও বেসরকারি ১৩টি সংস্থাকে লাইসেন্স নবায়ন ও বহাল রাখার জন্য ১ কোটি ৩৫ লাখ টাক ফি প্রদান করতে হয়।
আরও পড়ুন: প্রথমবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করল সরকার
সম্প্রতি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এক শুনানিতে, ছয়টি বৃহৎ এলপিজি কোম্পানি একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং কনভার্শন মালিক সমিতির সদস্য হাসিন পার্ভেজও অন্তত ২২টি প্রতিষ্ঠানে ফি জমা দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণ এবং হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা হল, এখানে লাইসেন্সিং ব্যবস্থার কোনও নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা নেই। এর দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে পাঠানো হয় লাইসেন্স পাওয়ার জন্য।’
একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে, বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘আমরাও জ্বালানি খাতে একটি মাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিক্যের কারণে যেমন ব্যবসায়িকর খরচ বৃদ্ধি পায়, তেমনি ভোক্তাকে অধিক মূল্য পরিশোধ করতে হয়।’
বিইআরসি’র সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, জ্বালানি খাতে শুধু একটি এবং প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা উচিত। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলো সাথে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করবে।
১৪৬৫ দিন আগে
উন্নত দেশ গড়তে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজিনেস’ সূচক উন্নয়নের বিকল্প নেই: বিডা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজিনেস’ সূচক উন্নয়নের বিকল্প নেই।
১৫৫৬ দিন আগে
বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করবে স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংক ও বিডা
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্যে অধিক হারে বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করবে স্ট্যান্ডার চার্টার্ড ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১৫৭৮ দিন আগে
বিডার অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিসে যুক্ত আরও ৬ সেবা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে আরও ছয় সেবা।
১৫৮৩ দিন আগে
যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যাবে না: অর্থমন্ত্রী
দেশের যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যাবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
১৭২৩ দিন আগে