রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ভোটারদের কম অংশগ্রহণের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। একটি হলো এ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সাংসদ হবেন তাদের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’
সিইসি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ভোট হয়। এ খণ্ড নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে। এতে দুই বা আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হন। সে জন্য হয়তো প্রার্থী বা ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই।
‘পাশাপাশি করোনার বিষয়টি তো রয়েছে। এ জন্য মানুষ আতঙ্কিত। মানুষ যেতে চায় না, এ রকম একটা অবস্থা তো আছেই,’ বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘দুটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁ বা ঢাকায় কোথাও কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি (অনিয়মের কারণে)।’
কোভিড-১৯-এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা সার্বিক সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। মাস্ক পরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা ছিল। সেখানে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা ছিল।’
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম ব্যবহার করতে কমিশন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে এবং এখন ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কোনো অনীহা নেই।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ছাড়া কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে কমিশন কোনো তথ্য পায়নি।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিরতি ছাড়াই বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএমে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে ভোটগ্রহণ হয়।