অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা গত ২০১৮ ও ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি থেকে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি মাজেদা সুলতানাকে ময়মনসিংহে এবং তাকে সহায়তাকারী উচ্চমান হিসাবরক্ষক সহকারী ফকরুল আলমকে গোপালগঞ্জ বদলি করা হয়।
এর আগে, ঢাকা বিভাগ প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি মাজেদাকে দুই বছরের উপবৃত্তির টাকার হিসাব প্রদানের নির্দেশ দেন।
ওই আদেশ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা তড়িঘড়ি করে উচ্চমান হিসাবরক্ষক সহকারী ফকরুল আলমকে দিয়ে একটি ভূয়া রিপোর্ট তৈরি করে গত ১৯ জুলাই তদন্ত কমিটির প্রধান উপপরিচালক ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া কাছে প্রদান করে।
পরবর্তীতে ওই রিপোর্ট সূত্রধরে তদন্ত কমিটি সোনালী ব্যাংকে গিয়ে নথিপত্র দেখে জানতে পারে শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে এবং কেরানীগঞ্জের কোন কোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করেছে তা খতিয়ে দেখে অনেক অসংগতি পায়।
তদন্ত কমিটি প্রধান ঢাকা বিভাগ শিক্ষা উপপরিচালক ইফতেখার ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কেরানীগঞ্জের ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই বছরের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরনের সঠিক কোনো তথ্য দেখাতে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা ব্যর্থ হওয়ায় ও মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেয়ায় তারা গত ২২ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাজেদার ও হিসাবরক্ষক ফকরুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা অত্মসাৎ প্রমানিত হওয়ায় গত ২৪ জুলাই প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো জাকির হোসেনের এক আদেশের বলে কেরানীগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানাকে ময়মনসিংহে ও উচ্চমান হিসাবরক্ষক ফকরুল আলমকে গোপালগঞ্জে বদলি করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ পাওয়ার পর পর অভিযুক্তদের বদলির আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।