টাকা আত্মসাৎ
গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার (৮ জুলাই) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস
ব্যারিস্টার মামুন বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের মামলায় অযৌক্তিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ওই অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়েছে।’
শিগগিরই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।
এ মামলায় আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করবে যুক্তরাষ্ট্র
৫ মাস আগে
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ
কুমিল্লা পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় কুষ্টিয়ায় কোর্ট পরিদর্শকের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মো. আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মো. রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়-দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে। এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো। পুরো টাকা হারালে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেত।
পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়। এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
১ বছর আগে
সমিতির গ্রাহকদের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ম্যানেজার আটক
খুলনায় রিয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা আদায়ের জন্য সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভনকে শুক্রবার রাতভর অবরুদ্ধ রাখার পর শনিবার পুলিশে সোপর্দ করেন গ্রাহকেরা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, খুলনা মহানগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় বস্তিবাসীর কাছে ২০১২ সাল থেকে ডিপিএস, এফডিআর, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মেয়াদে ওই সমিতি টাকা নিতো। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত দিতো তারা। কিন্তু করোনা মহামারির পর থেকে তারা গ্রাহকদের আর কোনো টাকা ফেরত দেয়নি।
তারা জানান, শুধু ঘাট এলাকা নয়; খালিশপুর, দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় সব মিলিয়ে তাদের গ্রাহক সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। দুবছর ধরে তারা কেউ সমিতির কাছ থেকে টাকা পান না। সম্প্রতি সমিতির লোকজন সবাই গা-ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
তারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বসে সমিতির ম্যানেজার ইসতিয়াক রাব্বি শোভন খাবার খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ৪ নম্বর ঘাট বস্তির শতাধিক লোক গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে তাকে ৭ নম্বর ঘাট জেটি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে আটকে রাখে।
তবে ম্যানেজার শোভনের দাবি, সমিতির মালিক শিবলু নামে এক ব্যক্তি। তিনি কিছুদিন আগে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তিনি তাদের ম্যানেজার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কী করে টাকা ফেরত দেবো! শ্রমিকরা আমাকে অযথা আটকে রেখে মারধর করেছে।’
গ্রাহক ইতি আক্তার বলেন, আমি দৈনিক ৩০ টাকা করে তাদের কাছে জমা রাখতাম। বছর শেষে তারা সুদসহ মূল টাকা ফেরত দিতো। কিন্তু গত দুবছর আমার টাকা ফেরত পাইনি। তিনি বলেন, আমাদের ৪ নম্বর ঘাট বস্তিতে শত শত মানুষ তাদের বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছে।
অপর গ্রাহক রওশানারা বলেন, আমাদের পরিবারের চারজন তাদের কাছে টাকা জমা রাখতো। তবে গত দুবছর তারা কোনো টাকা দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) প্যানেল মেয়র মো.আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, তার ওয়ার্ডেরও অনেক লোক টাকা জমা রেখে এখন আর ফেরতে পাচ্ছে না। শুক্রবার রাতের ঘটনা তিনি জানেন। শোভনকে থানায় হস্তান্তর এবং ওই সমিতির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি জানান, গ্রাহকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই সমিতিটি প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান জানান, এখনও কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় দম্পতি কারাগারে
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে শাহারবানু সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান খুলে গ্রাহকের তিন কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার এক দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লুৎফুল হায়দার আসামিদের আদালতে হাজির করলে বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আহমেদ এই আদেশ দেন।
আসামি এস এম শরিফুল ইসলাম বনি (৫৪) দৌলতপুর দেয়ানা উত্তরপাড়ার মৃত এস এম ইউসুফ আলীর ছেলে ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার (৪৯) আজাহার উদ্দিন আহমেদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নগরীর দৌলতপুর মহসিনে এলাকায় শাহারবানু সমাজ কল্যান সংস্থা নামের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানের এস এম শরিফুল ইসলাম বনির কাছে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এক কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা করেন দৌলতপুর দেয়ানা দক্ষিণ পাড়ার আবু বকর শেখের ছেলে এস এম আজাহারুল ইসলাম। এছাড়া টুটুল বন্দের কাছ থেকে ৩০ লাখ, মেহেরুন নেছার কাছ থেকে ৭০ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ বেশ কয়েক জনের কাছে থেকে মোট তিন কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ টাকা জমির প্লট ও সমিতির লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলে আত্মসাৎ করেন বনি। এ সময় আসামিরা বসত বাড়ি বিক্রি করে অন্যের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টও বানিয়েছেন। এ ঘটনায় আজাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এস এম শরিফুল ইসলাম বনি ও তার স্ত্রী সালমা আক্তারকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, আসামিরা একটি নামধারী প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন জনকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভুক্তভোগী ১০ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
২ বছর আগে
সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ: খুলনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
খুলনায় সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতে দুদকের করা মামলায় মেসার্স স্টার সি ফুডের এমডি মো. সালাউদ্দিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন, সোনালী ব্যাংকের গোডাউন কিপার মো. আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোটিং স্টাফ মো. আব্দুর রহিম বাবু।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সোনালী ব্যাংক থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্লেজ গোডাউন বাবদ ঋণ নিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। গোডাউনে থাকা মাছ বিদেশে বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে ওই মাছ খোলা বাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা শাওন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে আসামি মো. সালাউদ্দিন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেয়।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকে দিন দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি
৩ বছর আগে
খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সালাউদ্দিন, ব্যাংকের গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদারসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা।
দুদকের উপপরিচালক মো. শাওন মিয়ার করা এই মামলা সোমবার খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেয়। এই ঋণের বিপরীতে গোডাউনে রক্ষিত রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ জামানত ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার ও সাপোর্টিং স্টাফ আ. রহিম বাবু গোডাউন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. সালাউদ্দিন ব্যাংকের গোডাউন কিপারের যোগসাজশে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। গভীর রাতে গোডাউন খুলে চিংড়ি মাছ পাচারকালে ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম মো. আবু হোসেন শেখ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের সহায়তায় গোপন মাছ বিক্রির প্রমাণ পান। তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় ব্যাংকের সিবিএর নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজিএমকে লাঞ্ছিত করেন এবং পুলিশের কাছে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে পুলিশ পক্ষপাতমূলকভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়।
দুদকের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে , মো. আ. রহিম বাবু ব্যাংকের সিবিএ নেতা হওয়ায় তখনকার ডিজিএমকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার হুমকি দেন। এমতাবস্থায় ডিজিএম সিবিএ নেতাদের চাপে কোনো ব্যবস্থা নিতে এবং তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি।
ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অভিযোগ, দুদক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. আ. রহিম বাবু শ্রমিক লীগনেতা ও সোনালি ব্যাংক সিবিএর সাবেক সভাপতি। দলীয় কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবসরে গেলেও নতুন নির্বাচন না হওয়ায় তিনিই এখনো সিবিএ নেতা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: যশোরে দুদকের মামলায় রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার বর্তমান ডিজিএম শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, গোডাউন কিপার আ. মান্নান হাওলাদার সাময়িক বরখাস্ত আছেন। মামলার কপি পাওয়া গেলে অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, স্টার সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সড়ক নির্মাণের ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ: সুনামগঞ্জে ইউপি সদস্য কারাগারে
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে সড়ক নির্মাণের দুই লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগকারীর ওপর হামলার মামলায় ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৪ বছর আগে
চেক জালিয়াতি: মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২.৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ
চেক জালিয়াতির মাধ্যমে মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অন্তত ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
৪ বছর আগে
চট্টগ্রামে টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবসায়ী কারাগারে
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকার আইটি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ওয়ার্ল্ডের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করায় কম্পিউটার ডিবিআইটি ভিলেজ ও ফাহাদ ইলেকট্রনিক্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম উদ্দিন খানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
৪ বছর আগে
সাতক্ষীরায় ২.১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
সাতক্ষীরা জেলার ট্রাস্ট ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার সহ-ব্যবস্থাপক মোস্তফা মাহমুদকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
৪ বছর আগে