স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ৩ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাকক্ষে ওয়ার্ল্ড হেলথ সার্ভে প্লাস বাংলাদেশ-২০২৩ এর এসডিজি'র লক্ষ্যমাত্রা-৩ (স্বাস্থ্য ও কল্যাণ) অর্জনের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে ৯ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও হেল্পএজ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এই জরিপ পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-৩ সমগ্র বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রতিফলন। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জন করতে হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এই স্বাস্থ্য জরিপের মাধ্যমে আমরা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জন করতে পারি তার চিত্র উঠে আসবে। তাই সারা দেশে ঘরে ঘরে গিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিজের দায়িত্ব দেখান।
তিনি তথ্য সংগ্রহে যে কোনো সহায়তার জন্য এই তথ্য সংগ্রহকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ঢাকায় এসডিজি সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন আজ
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে এই জরিপ পরিচালনার জন্য তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও হেল্পএজ ইন্টারন্যাশনাল এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হেড কোয়ার্টারের প্রতিনিধি নির্মলা নাইডু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট জেমস জোস, মিয়ানমারের হেল্পএজ ইন্টারন্যাশনালের হেলথ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পপি ওয়ালটন, হেল্পএজ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ওয়ার্ল্ড হেলথ সার্ভে প্লাসের কনসালটেন্ট ড. মোহাম্মদ হায়াতুন নবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২১ আগস্ট সকাল থেকে শুরু হওয়া ৯ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে মোট ৮৮ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন, যারা বাংলাদেশের ৮ বিভাগের ৬ হাজার পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
আরও পড়ুন: সংশোধিত তামাক আইন পাস হলে মৃত্যু কমবে, এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে
এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাতের আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী