এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারি ভাষণ বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। রেসকোর্স ময়দানে এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন দিবসটির গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ যার মাধ্যমে একটা জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের র্কমর্কতা ও র্কমচারীদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
পরে বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব রাজধানীর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল সমাবেশের সামনে স্বাধীনতার নবযুগ সৃষ্টিকারী ভাষণ দেন। মুক্তিপ্রেমী লাখো জনতার সামনে ১৯ মিনিট ধরে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। সেই সাথে তিনি পাকিস্তানের শোষণকারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’