প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের উপকণ্ঠে খুরুশকুলে বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ২০টি পাঁচতলা ভবনের উদ্বোধন করেন।
এর মাধ্যমে কক্সবাজার সৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে বাকখালী নদীর তীরে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৩২টি ফ্ল্যাটের আধুনিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ ২০টি পাঁচতলা ভবনে ৬০০ পরিবার নতুন ফ্ল্যাট পেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু সুবিধাভোগীকে ৪৫৬ বর্গফুট ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
সব ভবনে সোলার প্যানেল, নিরাপদ পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ও সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবস্থা রয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২৫৩ দশমিক ৫৯ একর জমির ওপর নির্মিত খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি পাঁচতলা ভবনে মোট ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার পুনর্বাসিত হবে।
১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ (প্রোভাইডিং হোম) প্রকল্প চালু হয়। সে হিসেবে খুরুশকুল প্রকল্পটি দেশের বৃহত্তম পুনর্বাসন প্রকল্প যেখানে চারটি অঞ্চল থাকবে- আবাসন, পর্যটন ব্যবস্থা, শুটকি পল্লী বা ‘শুটকি মহল’ এবং সবুজ বনায়ন।
এর সুবিধাভোগীরা অধিকাংশই ১৯৯১ এর বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার। পরে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরের পাশের এলাকায় সরকারি খাস জমিতে আশ্রয় নেয়।
নতুন ভবনের নিচ তলগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে বন্যার পানি ও জলোচ্ছ্বাসে কোনো ক্ষতি না হয়। নলকূপ ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।