ঢাকা, ১৫ নভেম্বর (ইউএনবি)-চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা দূষিত করলে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ তোলা হয়েছে। সোমবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে এ সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সামরিক সরকার কর্তৃক জারি করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ-১৯৭৬ বিলুপ্ত করার লক্ষ্যেও এ বিল উত্থাপন করা হয়।
বিল অনুযায়ী, পানি, ভূমি ও সমুদ্র উপকূল দূষিত করে পরিবেশের ক্ষতি করা হলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, যদি এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করা হয় যার শাস্তি পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা নেই তাহলে তার শাস্তি হবে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
বিলটিতে সংযোজিত নতুন বিধান অনুযায়ী, বন্দরের টোল, ফি ও অন্যান্য চার্জ ফাঁকি দিলে এক মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
বন্দরের ভাড়া ও টোলের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি চার্ট তৈরি করবে এবং সরকার থেকে অনুমতি নেবে। তবে পাঁচ হাজার টাকার কম হলে অনুমতি নেয়া লাগবে না। প্রস্তাবিত আইনে বন্দরের উন্নয়নের জন্য আলাদা তহবিল রাখা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যান ও সাত জন সদস্য নিয়ে একটি বোর্ড গঠিত হবে। বিদ্যমান আইনে বোর্ডে চার জন সদস্য রাখা হয়েছে। প্রতি দুই মাসে বোর্ডকে কমপক্ষে একটি সভা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে পেটেন্ট বিল পেশ
ডিজেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিরোধী নেতাদের অসন্তোষ
একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শুরু