নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
ডিপিপি পরিবর্তন করা সঠিক নয়: নৌপ্রতিমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিবর্তন সঠিক নয় উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রকল্পের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরে ডিপিপি পরিবর্তন করা সঠিক নয়।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী খননের ড্রেজ ম্যাটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা। বিচার বিশ্লেষণ করে ডিপিপি ফর্ম করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধি হবে।
সভায় ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯ হাজার ৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৩টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ১টি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ১টি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ১টি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের ১টি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর ১টি প্রকল্প। এছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারের অগ্রগতি জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের আমরা বাংলাদেশে ফেরত আনতে বদ্ধপরিকর।’
এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, এখন পর্যন্ত থাকা খবর অনুযায়ী নাবিকরা সুস্থ এবং ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
খালিদ মাহমুদ বলেন, 'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা এই বিষয়ে অবহিত করেছি। জাহাজটাকে উদ্ধার করার জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা প্রথম যে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা হচ্ছে, জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন, সেই ২৩ জন নাবিকের জীবন নিরাপদ রাখা, জীবন রক্ষা করে তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসাটা হচ্ছে আমাদের প্রথম কাজ।'
তিনি আরও বলেন, 'ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং, মেরিটাইম যতগুলো উইং আছে তারা কাজ করছে। সমন্বিতভাবে আমরা এটি নিয়ে আসতে পারব।’
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
জাহাজ উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক উইংগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, জাহাজটি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে, তাই সময়টা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কিছু সংগঠন আছে। জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের কোনো কার্যক্রম নেই। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ আছে। অলিভিয়া বন্দরে আমাদের জাহাজ আটকে পড়ার পর আমরা কিছু কিছু জায়গায় সহযোগিতা নিয়েছি বলে সেখানে সফলতা পেয়েছি। যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের বাংলাদেশের ফেরত আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।'
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ
সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজ জিম্মি করেছে বলা হলেও তারা সোমালিয়ার কি না এটি এখনও ‘আইডেন্টিফাইড’ না বলে জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
‘মুক্তিপণ না দিলে জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে জলদস্যুরা’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের সংবাদ এখন পর্যন্ত আসেনি।’
নাবিকদের পরিবার উদ্বিগ্ন সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, তাদের কীভাবে দিন কাটছে সেটি আমরা অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
উল্লেখ্য, কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন।
বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের কাছে নোঙ্গর করা ফেরি রজনীগন্ধাকে বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাকে জানানো হয়েছে- ফেরিটি ঘাট থেকে খুব কাছাকাছি নোঙ্গর করা ছিল। বাল্কহেড সেটিকে ধাক্কা দিয়েছে। এখানে দুর্বলতা কিংবা অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না সেটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া ছাড়া বলা যাবে না’
আরও পড়ুন: মেরিন সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ইউটিলিটি ফেরি, ছোট। হতে পারে যেহেতু অল্প সংখ্যক গাড়ি সেখানে ছিল। ফেরিতে যখন যানবাহন ওঠে, তখন ব্যালান্স করে রাখা হয়। রাত একটা-দেড়টার সময় সেটিকে ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল কি না, সেটা একটি ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘তারা মূলত কুয়াশার কারণে নোঙ্গর করেছিল। তারা বলেছে, রাত দেড়টার সময় যখন রওনা দিয়েছে, তখন কুয়াশা ছিল না। যখন পাটুরিয়ার একদম কাছাকাছি চলে আসে তখন কুয়াশা দেখা দেয়। ওখানে কর্মকর্তা যারা আছেন তারা বলেছেন, ঘাট থেকে জায়গাটা কাছে, দেখা যাচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সচিব ঘটনাস্থলে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে থেকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার দরকার সেগুলো তিনি নেবেন।’ৎ
আরও পড়ুন: সমুদ্রগামী জাহাজে নাবিকদের বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরের ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল, মোংলা বন্দরে আপগ্রেডেশন, পায়রা বন্দরের পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়া, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে চারটি জাহাজ সংগ্রহ, স্থলবন্দরগুলোর উন্নয়নসহ মেরিটাইম সেক্টরে অনেক উন্নয়ন হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী তিন বছরের মধ্যে অনন্য উচ্চতায় চলে যাবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সরকারের আগামী দিনের `শোকেস` মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ফেরিতে পচনশীল ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে ৭ দিন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২০ জুন) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করেন। মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত ১১টি দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সই হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শুদ্ধাচার পুরস্কার পায়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা এপিএতে সই করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর ফোন করা প্রমাণ করে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের কোন অবস্থানে আছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নৌপথ নিরাপদ রাখতে আরও ডিজিপিএস স্টেশন স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ নৌ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অধিনস্ত দপ্তর ও সংস্থার উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু চুক্তি সই নয়, সেগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়ে তুলতে যুক্তরাজ্যের আগ্রহ
দেশে সার, বীজ ও জ্বালানির কোনো সংকট নেই: প্রতিমন্ত্রী
দেশে সার, বীজ ও জ্বালানির কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, কোনো ব্যবসায়ী যদি এইসব জনগুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তবে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। একটি কুচক্রী মহল বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বাজনিয়ায় 'এম আই ফিলিং স্টেশনের' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করার জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিশ্বমানের নেতৃত্ব অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
যমুনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এজিএম মো. জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ছান্দা পাল, সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আফছার আলী, এম আই গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান খান, পরিচালক ইসাহাক আলী প্রমুখ।
চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাওয়া ঘাটে ফেরি আছে থাকবে, চাহিদা অনুযায়ী চলবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর চালুর কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল দপ্তর/সংস্থার ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিপোতে বিস্ফোরক ছিল না, আগুন নাশকতা কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। তারমানে এই নয় আমাদের অন্যান্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। সোমবারও আমাদের শিমুলিয়া, মাঝিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করেছে। আমাদের যেভাবে চাহিদা থাকবে সেভাবে ব্যবহার করবো।
আমরা ফেরি বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে। আমরা সময় নিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পজিটিভ নেগেটিভ অনেক অনুভূতি আছে।
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,‘নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে চাই।’
সোমবার বরিশালে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন উপলক্ষে সুধি সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা মানুষকে দখল ও দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা করতে পেরেছি। নদীর দখল ও দূষণকে চিহ্নিত করে নদীর জায়গা নদীর কাছে ফিরিয়ে দিব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল এখন সে জায়গায় নেই। এখানকার নদীনালা খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। বরিশালে অত্যাধুনিক নদী বন্দর স্থাপনসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ নৌযানের মাধ্যমে নৌঝুঁকি ধীরে ধীরে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসব। নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ এখন কথা বলে- এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সফলতা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য সাতটি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যকম চলমান রয়েছে। দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে ; তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৩ বছরের শাসন আমলে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, বিএনপির কষ্ট হচ্ছে কেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ হবে। তাদের কাজ আতঙ্ক সৃষ্টি করা। তারা বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো.ওয়াহিদুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মো.এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো.মারুফ হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.শহীদুল ইসলাম।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মেরিন ক্যাডেটরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম। ক্যাডেটরা দেশমাতৃকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
রবিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ক্যাম্পাসে ৫৬ ব্যাচের ক্যাডেটদের 'মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড' অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেটে চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সেগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুনীল অর্থনীতির সোপান-সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নারীদের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণসহ নারী ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের ১২ জন বিএসসির ছয়টি জাহাজে কাজ করে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী দু'জন শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটকে 'রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক' ও 'বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদক' তুলে দেন।
রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট নাদিম আহমেদ ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন পদকপ্রাপ্ত হলেন ক্যাডেট রাফিদ বিন আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌপ্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উক্ত প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মেরিন একাডেমি থেকে চার হাজার ৭৩১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। এই বছর ৩৫৯ জন গ্র্যাজুয়েশন পেতে যাচ্ছে। একাডেমির ৫৭তম ব্যাচে ২৮০ জন ক্যাডেট বর্তমানে একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত রয়েছে।
লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঝালকাঠিতে এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্ববয়ক ডা. সামন্তলাল সেন, পরিচালক ডা. আবুল কালাম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
জানা গেছে, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ জন এবং বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিমন্ত্রী সেদিন সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রা পথে বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ঝালকাঠি হাসপাতালে দগ্ধদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। বিকালে তিনি ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ লঞ্চটি পরিদর্শন করেন। ওই দিন রাতে ঢাকায় পৌঁছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথা নেই’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসায় আছে কিনা সেটা নিয়ে বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মাথা ব্যথার কোন কারণ নাই। এটা নিয়ে তাদের কিছু যায় আসে না।’
মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশনে বেতুয়া নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে সুধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, রাজনীতি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়ার কোন ভূমিকা নাই।’
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে সব নদীর পলি অপসারণ করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের লালনপালন, মানুষ হত্যা, গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে তার ভূমিকা রয়েছে। খালেদা জিয়া একটি অন্ধকারের নাম। জিয়া পরিবার একটি খুনি পরিবার। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করছে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব,বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক,জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যা নদী তীরের ৩৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ অক্টোবর বেতুয়া নদী বন্দরের গেজেট ঘোষণা করা হয়। দেশে মোট ৩৬ নদী বন্দর রয়েছে। ২৪ অক্টোবর দেশের ৩৬তম নদী বন্দর 'কোম্পানীগঞ্জ-সোনাগাজী নদী বন্দরের' গেজেট ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ নতুন নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়। আরও পাঁচটি নদী বন্দর ঘোষণার প্রস্তাবনা রয়েছে। ৩৬ নদী বন্দরের আওতায় বিআইডব্লিউটিএ'র নিয়ন্ত্রণে ৪৫৭টি ঘাট/পয়েন্ট ইজারা দিয়ে থাকে।