রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে জ্বালানির কয়লার প্রথম চালান পৌঁছেছে এবং অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম জানান, বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি আকিজ হেরিটেজ’ করে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৩১ জুলায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
তিনি জানান, সেখান থেকে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয় এবং তিনটি লাইটার জাহাজে করে বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টার্মিনালে আনা হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
ডিজিএম আনোয়ারুল আজিজ জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে, এরপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যাবে।
এমভি আকিজ হেরিটেজের মালিক ও টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক মো. খানদাকার রিয়াজুল হক জানান, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি ভিড়ে। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে তিনটি লাইটার জাহাজে ওঠানো। বাকি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের মতে, ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচএল),
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিদ্যুৎ সুবিধা বাড়াতে পায়রা ও রামপালের বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচইল) নামে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ।
প্রকল্পটির নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।