রামপাল
১৬ দিন পর ফের উৎপাদন শুরু রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
কয়লা সংকটে বন্ধ থাকার ১৬ দিন পর ফের উৎপাদনে গেল বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
উৎপাদিত ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.)লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাক (ডিজিএম) মো. আনোয়ার উল আজিম বলেন, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বিকাল থেকে উৎপাদিত ৪০০ মেগাওয়াট যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
১৩ (আগস্ট) ৩১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে আসে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে আরও দুইটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসার সিডিউল রয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর সাড়ে সাত মাসে ৬ বার বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
উৎপাদন শুরু পর প্রথম ১৪ জানুয়ারি, এরপর ১৫ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ৩০ জুন, ১৬ ও জুলাই ৩০ জুলাই বন্ধ হয় এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
শিগগিরই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসে জাহাজটি।
এর পর ১২ জুলাই জাহাজটির বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চায়নার সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান এ মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী জাহাজটি আটকের আদেশ দেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটকের আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে তাই বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটি আটকের আদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টায় রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙ্গর হাড়বাড়িয়া-১১ তে ভিড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ‘চুরির সময়’ মালামালসহ ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পু্লিশ। সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে পারভেজ শেখ (২৪), আবু জাফরের ছেলে সালাম শেখ (৩৫) এবং মো. ইয়ামিন শেখের ছেলে ধলু শেখ (২৪)।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ২টার সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিএফসিএল এর নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের উত্তর কোনায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশে কয়েকজন ব্যক্তি তামার তারসহ মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় ৪০ কেজি তামার তার, বিভিন্ন প্রকারের পাইপ ও লোহার ২০০ কেজি মালামাল উদ্ধার করা হয় এবং এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৬
১ বছর আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, দুইদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ
কয়লার সংকট কাটতে না কাটতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্স কাজের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার (০২ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি’র (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটি, ইনস্পেকশন ও মেইন্টেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। চার-পাঁচ অথবা ছয় জুনের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে।
কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৫ জুন আরও একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ কয়লা আসবে। কেন্দ্রে কোনো কয়লা সংকট নেই।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লি. এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশলা কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত বছরের ১১ জুলাই বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় এখানের বিদ্যুৎ। এরপরে কয়লা সংকট ও কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকবার উৎপাদন বন্ধ হলো এই কেন্দ্রটির।
এছাড়া ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট এখনো বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসেনি। আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটি, উৎপাদন বন্ধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১ বছর আগে
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার আংশিক উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনও ডলার সংকটের কারণে এটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি ‘কয়লা’ আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।
কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে আগস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার একটি ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
তিনি প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিট-১ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং সরবরাহকারী ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।
ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ
১ বছর আগে
রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জ্বালানি সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’ এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।
ভারতীয় হাইকমিশনার রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট শনিবার পরিদর্শন করেছেন। যা প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ভারত সরকারের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ অর্থ দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।
প্ল্যান্টটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত।
এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ধাপটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করেন এবং ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শেষ হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
রূপসা রেল সেতু পরিদর্শনে প্রণয় ভার্মা
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় হাইকমিশনার রূপসা রেল সেতু পরিদর্শন করেন, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উপ-অঞ্চলের জন্য বাণিজ্য ও যোগাযোগ জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারকে প্রদত্ত ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) এর আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারিত্বের আওতায় গড়ে ওঠা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।
রূপসা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এবং সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬৯ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে যে সেতুটি রূপসা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং এর নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব, কারণ পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
নেভিগেশন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেতুটিতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড উচ্চ জলের স্তর থেকে ১৮ মিটারেরও বেশি।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলওসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, সেতুটি ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত।
রূপসা রেলসেতু ও খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন পণ্য পরিবহনকে ব্যাপকভাবে সহজতর করবে এবং মোংলা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের কৃষিপণ্যসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার উন্নত করবে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এবং বিশিষ্ট খেলাধুলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায় প্রায় অর্ধেক। কিন্তু অল্প চাহিদার বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যার কারণে মাঘ মাসের শুরুতে খুলনায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো)।
বৃহস্পতিবার অফ পিক আওয়ারে খুলনায় লোডশেডিং ছিলো প্রায় ২৪ মেগাওয়াট এবং আর পিক আওয়ারে লোডশেডিং ছিলো ৪ মেগাওয়াট।
শুক্রবার সকালেও লোডশেডিং ছিলো ৫ মেগাওয়াট। এতে বিদ্যুৎ ছিলো না নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
ওজোপাডিকো থেকে জানা গেছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হঠাৎ কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
জানা গেছে, কয়লার অভাবে গত আটদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনাসহ ওজোপাডিকোতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মার এপারের ২১টি জেলায়।
১৭ ডিসেম্বর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় ১৪ জানুয়ারি সকালে বন্ধ করে দেয়া হয়।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটিতে প্রায় পাঁচ হাজার টন কয়লা লাগত। কয়লা আসত ইন্দোনেশিয়া থেকে। কিন্তু ডলার সংকটে কয়লা আনা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কয়লা সংকটে তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত এই সংকট নিরসনের।
আরও পড়ুন: সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
১ বছর আগে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুলনার রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেল কোম্পানি থেকে কন্সট্রাকশনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১২০০ কেজি লোহার সামগ্রী চুরি অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে খুলনার বটিয়াঘাটা থানার কাতিয়ানাংলা এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ সেময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৩১১ কেজি লোহার সরঞ্জাম ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মিনিট্রাক জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে সাড়ে ৪৮ কেজি গাঁজা জব্দ, যুবক আটক
গ্রেপ্তার রাজু রায় (২৮) জেলার দাকোপ থানার খলিসা গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব-৬ জানায়, ১৫ জানুয়ারি রাতে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেল কোম্পানি থেকে কন্সট্রাকশনের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ১২০০ কেজি লোহার সামগ্রী চুরি হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক লাখ ১০ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় ভেল কোম্পানির সাইট ইনচার্জ অধিনায়ক র্যাব-৬, খুলনা এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর একটি দল তদন্ত শুরু করে। পরে চুরিকৃত মালামাল উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া আসামির বিরুদ্ধে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কোম্পানির ভেল কোম্পানির সিকিউরিটি সুপারভাইজার র্যাবের সহযোগীতায় বাদী হয়ে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
১ বছর আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদীতে কয়লাবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ চড়ে আটকা পড়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় এমভি জুমায়রা-১ নামে ওই কার্গোটি চড়ে আটকে ডেক ফেটে যায়।
তবে এখনও পর্যন্ত ওই জাহাজের ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। জাহাজটিতে থাকা ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিরাপদে রয়েছেন।
বন্দরের হারবারিয়া নোঙ্গর করা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে সাড়ে ৮০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ওই কার্গো জাহাজটি রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসছিল।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে
দুর্ঘটনা কবলিত কার্গো জাহাজের মাস্টার ফারুক গাজী জানান, হারবারিয়ার ৫ নম্বর এ্যাংকোরেজে নোঙ্গর করা বিদেশি জাহাজ এমভি পিথগোরাস জাহাজ থেকে সাড়ে ৮০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসছিল কার্গো জাহাজটি।
পথিমধ্যে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় পৌঁছালে ডুবচরে ধাক্কা লেগে জাহাজের ডেক ফেটে যায়। এসময় জাহাজটি নদীর চড়ে উঠে যায়। ডেক ফেটে গেলেও জাহাজে এখনো পানি প্রবেশ করতে পারেনি। জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।
জাহাজে থাকা ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি নিরাপদে আছে। ক্রেন এনে কয়লা অপসারণ করে জাহাজটিকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজটি চড়ে আটকে থাকার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
কয়লা নিয়ে আরও ২টি জাহাজ মোংলায় ভিড়ল
২ বছর আগে
ফের মেয়াদ বাড়ল চার রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের
ফের মেয়াদ বাড়ল ভাড়ায় চালিত (রেন্টাল) চার বিদ্যুৎকেন্দ্রের। এ ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এই বৈঠকটি হয়।
কর্মকর্তারা বলছে, ভাড়া করা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হলো- একর্ন ইনফ্রাসট্রাকচার সার্ভিস লিমিটেডের চট্টগ্রামের জুলডার ১০০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নর্দান পাওয়ার সলুশনস লিমিটেডের রাজশাহীর ৫০ মেগাওয়াট কাটাখালি পাওয়ার প্ল্যান্ট, পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেডের ১০০ মেগাওয়াট কেরানীগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট, সিনহুয়া পাওয়ার জেনারেশেন কোম্পানি লিমিটেডের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০ মেগাওয়াট আমনুয়ারা পাওয়ার প্ল্যান্ট।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
তারা বলছে, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ভাড়ায় চালিত চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী দুই বছর বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ নিলে টাকা দেয়া হবে, না নিলে টাকা দেয়া হবে না, এমন নতুন নিয়ম শর্তের ভিত্তিতে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নতুন শর্তানুযায়ী বিদ্যুৎ ক্রয়ে নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভাড়ায় চালিত কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে কেবল জ্বালানি খরচ ও নূন্যতম পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
২ বছর আগে